ছিটমহল বিনিময়ে রাজি মমতা
অবশেষে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়
নিয়ে সব আপত্তি তুলে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে এরকমই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এবার তা হয়তো বাস্তবে রূপ নিতে
যাচ্ছে। বুধবার কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, ৬৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাটির সমাধানে সম্মতি জানিয়ে কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের এই অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়ে আজ কুচবিহারে এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছ থেকে ঘোষণাও আসতে পারে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার জন্য ছিটমহল লাগোয়া কোনো মাঠ বাছার নির্দেশ আসে। তখনই স্পষ্ট হয়, জনসভায় ছিটমহল নিয়ে বড় খবর ঘোষণা করতে চান মমতা। শেষ পর্যন্ত কুচবিহারের প্রত্যন্ত এলাকা ডাকুর হাটকে জনসভার জন্য বেছে নেয়া হয়। সেখানে তার মঞ্চের শদেড়েক মিটার পেছনেই বাংলাদেশী ছিটমহল করলা। তার বক্তৃতা শুনতে যে ওই ছিটমহলের বাসিন্দারাও আসবেন, মমতা তা বিলক্ষণ জানেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের শেষ দিকে পাঠানো মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্রের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতিগত কোনো আপত্তি নেই। তবে ছিটমহলের যে অংশ পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হবে, সেখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রণয়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। রাজ্য চায় সে আর্থিক দায়িত্বের পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকার নিক।
মমতার মনোভাব বদলানোরও ইঙ্গিত পাওয়া যায় সেপ্টেম্বরে, যখন কলকাতায় বাংলাদেশের সাবেক ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম তার সঙ্গে দেখা করতে যান। মমতা তার কাছে ছিটমহলবাসীর দুঃখ-দুর্দশার কথা বর্ণনা করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের সংসদ সদস্যদের একটি দলের কাছেও মমতা বলেন, অসুখ হলে ডাক্তার-হাসপাতাল নেই, পড়াশোনার স্কুল-কলেজ নেই, থানা-পুলিশ নেই, নাগরিকত্বের পরিচয়টুকুও নেই, ৬৫ বছর ধরে এই অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ- ভাবা যায়?
ছিটমহল বিনিময়ের বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল সংসদে পাস হওয়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা। আশার আলো দেখছেন দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫৬ হাজার অধিবাসী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক পার্লামেন্টারি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংবিধান সংশোধনের বিলের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রতিনিধি সুগত বসু ও মুমতাজ সংঘমিত্রা চুক্তির পক্ষে সায় দেন। ছিটমহল পুনর্বাসনের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ৩০৮ কোটি টাকার একটি তহবিলও গঠন করেছে।
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় একটি প্রটোকল সই হয়। প্রটোকলটি কার্যকরে ভারতের সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। এজন্য পার্লামেন্টে একটি বিলও তোলা হলে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা সে সময়ের বিরোধী দল বিজেপিসহ মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় তা ঝুলে যায়। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদির অবস্থান পরিবর্তন হয়।
রাজ্য সরকারের এই অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়ে আজ কুচবিহারে এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছ থেকে ঘোষণাও আসতে পারে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার জন্য ছিটমহল লাগোয়া কোনো মাঠ বাছার নির্দেশ আসে। তখনই স্পষ্ট হয়, জনসভায় ছিটমহল নিয়ে বড় খবর ঘোষণা করতে চান মমতা। শেষ পর্যন্ত কুচবিহারের প্রত্যন্ত এলাকা ডাকুর হাটকে জনসভার জন্য বেছে নেয়া হয়। সেখানে তার মঞ্চের শদেড়েক মিটার পেছনেই বাংলাদেশী ছিটমহল করলা। তার বক্তৃতা শুনতে যে ওই ছিটমহলের বাসিন্দারাও আসবেন, মমতা তা বিলক্ষণ জানেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের শেষ দিকে পাঠানো মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্রের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতিগত কোনো আপত্তি নেই। তবে ছিটমহলের যে অংশ পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হবে, সেখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রণয়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। রাজ্য চায় সে আর্থিক দায়িত্বের পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকার নিক।
মমতার মনোভাব বদলানোরও ইঙ্গিত পাওয়া যায় সেপ্টেম্বরে, যখন কলকাতায় বাংলাদেশের সাবেক ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম তার সঙ্গে দেখা করতে যান। মমতা তার কাছে ছিটমহলবাসীর দুঃখ-দুর্দশার কথা বর্ণনা করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের সংসদ সদস্যদের একটি দলের কাছেও মমতা বলেন, অসুখ হলে ডাক্তার-হাসপাতাল নেই, পড়াশোনার স্কুল-কলেজ নেই, থানা-পুলিশ নেই, নাগরিকত্বের পরিচয়টুকুও নেই, ৬৫ বছর ধরে এই অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ- ভাবা যায়?
ছিটমহল বিনিময়ের বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল সংসদে পাস হওয়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা। আশার আলো দেখছেন দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫৬ হাজার অধিবাসী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক পার্লামেন্টারি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংবিধান সংশোধনের বিলের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রতিনিধি সুগত বসু ও মুমতাজ সংঘমিত্রা চুক্তির পক্ষে সায় দেন। ছিটমহল পুনর্বাসনের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ৩০৮ কোটি টাকার একটি তহবিলও গঠন করেছে।
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় একটি প্রটোকল সই হয়। প্রটোকলটি কার্যকরে ভারতের সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। এজন্য পার্লামেন্টে একটি বিলও তোলা হলে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা সে সময়ের বিরোধী দল বিজেপিসহ মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় তা ঝুলে যায়। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদির অবস্থান পরিবর্তন হয়।
No comments