শিক্ষার্থীর মৃত্যু : আগুনে পুড়ল ইবি, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
গাড়ি ধাক্কায় কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদুর রহমান টিটু নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে ফুসে উঠে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের প্রায় সব বাসে আগুন দিয়েছে তারা। প্রশাসন ভবনসহ প্রায় সব ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তৌহিদুর রহমান টিটু ক্যাম্পাসের ঝিনাইদহগামী রাজমটর পরিবহনের একটি বাসে উঠার চেষ্টা করেন। চালক হঠাৎ বাসটি দ্রুত চালালে তিনি উঠতে ব্যর্থ হন। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগামী ‘সাগর পরিবহন’ (ঝিনাইদহ-ব ১১-০০১) নামের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে গলা ছিড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তৌহিদ। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামে।
এদিকে ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা মেইন গেট ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। শিক্ষার্থী নিহতের খবর পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সব শিক্ষার্থী এসে বিক্ষোভে যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করে।
এদিকে নিহত টিটুর লাশ ক্যাম্পাসে প্রায় তিন ঘণ্টা পড়ে থাকলেও প্রক্টরের কোনো ভূমিকা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকার বহিরাগতরা সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কে দেয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেইন গেটের পাশে থাকা ক্যাম্পাসের ভাড়া করা গাড়িসহ মেডিক্যাল ভবনের পাশে বাসস্ট্যান্ডে থাকা বাসগুলোতেও আগুন দেয়। ফলে ক্যাম্পাসের ভাড়া করা প্রায় ৩০টি বাস (সব বাস) পুড়ে যায়। এছাড়া কিছু বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাংলোর ভিতরে ঢুকানো হলে সেগুলো অক্ষত থাকে।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন, অনুষদ ভবন, আইন অনুষদ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবন, টিএসসিসহ প্রায় সব ভবনে ভাঙচুর চালায়। পরে তারা লাঠিসোটা নিয়ে ক্যাম্পাসে ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিক্ষোভ চলাকালে পৌনে ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা আবারো ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। পুলিশ এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ব্যপক সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ শিক্ষাথীদের উপর রাবার বুলেট ও টেয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু করে।
এসময় সজল, আকাশ, মিথুন, নাইম, তৌহিদ, জহির ও মেহেদিসহ ৩০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়াও সজল নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয়।
পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, বিুব্ধ ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও ভাড়া করা ৩০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং ১০টি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে গুলি ছোড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক বলেন, টিটু আমার খুব প্রিয় ও মেধাবী ছাত্র ছিলো। সে এভাবে আমাদের কাঁদিয়ে চলে যাবে কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। তার মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের ভাড়া করা প্রায় প্রতিটি বাসের চালাকসহ হেলপাররা খুবই রুঢ় স্বভাবের। তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থী কাউকে পাত্তা দেয় না। ক্যাম্পাস সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য নিজস্ব বাসের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার প্রিয় ছাত্রের নিহতের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেটে জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদের আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ও ছাত্রীদের আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান বলেন, আমরা শোকাহত। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দখলে নেয় বলে জেনেছি। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা বিষয়গুলো কঠোরভাবে খতিয়ে দেখবো এবং শাস্তির ব্যাবস্থা করব।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, অনাকাঙ্খিত এ ঘটনায় যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর নিহত ছাত্রের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার শোকাহত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তৌহিদুর রহমান টিটু ক্যাম্পাসের ঝিনাইদহগামী রাজমটর পরিবহনের একটি বাসে উঠার চেষ্টা করেন। চালক হঠাৎ বাসটি দ্রুত চালালে তিনি উঠতে ব্যর্থ হন। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগামী ‘সাগর পরিবহন’ (ঝিনাইদহ-ব ১১-০০১) নামের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে গলা ছিড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তৌহিদ। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামে।
এদিকে ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা মেইন গেট ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। শিক্ষার্থী নিহতের খবর পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সব শিক্ষার্থী এসে বিক্ষোভে যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করে।
এদিকে নিহত টিটুর লাশ ক্যাম্পাসে প্রায় তিন ঘণ্টা পড়ে থাকলেও প্রক্টরের কোনো ভূমিকা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকার বহিরাগতরা সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কে দেয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেইন গেটের পাশে থাকা ক্যাম্পাসের ভাড়া করা গাড়িসহ মেডিক্যাল ভবনের পাশে বাসস্ট্যান্ডে থাকা বাসগুলোতেও আগুন দেয়। ফলে ক্যাম্পাসের ভাড়া করা প্রায় ৩০টি বাস (সব বাস) পুড়ে যায়। এছাড়া কিছু বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাংলোর ভিতরে ঢুকানো হলে সেগুলো অক্ষত থাকে।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন, অনুষদ ভবন, আইন অনুষদ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবন, টিএসসিসহ প্রায় সব ভবনে ভাঙচুর চালায়। পরে তারা লাঠিসোটা নিয়ে ক্যাম্পাসে ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিক্ষোভ চলাকালে পৌনে ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা আবারো ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। পুলিশ এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ব্যপক সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ শিক্ষাথীদের উপর রাবার বুলেট ও টেয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু করে।
এসময় সজল, আকাশ, মিথুন, নাইম, তৌহিদ, জহির ও মেহেদিসহ ৩০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়াও সজল নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয়।
পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, বিুব্ধ ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও ভাড়া করা ৩০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং ১০টি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে গুলি ছোড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক বলেন, টিটু আমার খুব প্রিয় ও মেধাবী ছাত্র ছিলো। সে এভাবে আমাদের কাঁদিয়ে চলে যাবে কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। তার মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের ভাড়া করা প্রায় প্রতিটি বাসের চালাকসহ হেলপাররা খুবই রুঢ় স্বভাবের। তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থী কাউকে পাত্তা দেয় না। ক্যাম্পাস সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য নিজস্ব বাসের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার প্রিয় ছাত্রের নিহতের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেটে জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদের আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ও ছাত্রীদের আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান বলেন, আমরা শোকাহত। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দখলে নেয় বলে জেনেছি। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা বিষয়গুলো কঠোরভাবে খতিয়ে দেখবো এবং শাস্তির ব্যাবস্থা করব।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, অনাকাঙ্খিত এ ঘটনায় যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর নিহত ছাত্রের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার শোকাহত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments