সরকারি কাজে পরিবর্তন আসন্ন
সরকারি কর্মপদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন
আসছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি কর্মপদ্ধতিতে জনবান্ধব দিকগুলো বাংলাদেশে চালু
করা হবে। সহজভাবে কাজ করা, সময় বাঁচানো এবং মানুষের ভোগান্তি কমাতেই এ
পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। এজন্য ভারত, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভুটান ও
আফ্রিকাসহ ১১টি দেশের উত্তম চর্চা নিয়ে সরকার কাজ করছে। ওইসব দেশের
কর্মপদ্ধতিগুলো পর্যালোচনা করে প্রস্তাবিত ব্যবস্থাপনার খসড়া তৈরি হবে।
এজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. নজরুল ইসলামকে
সভাপতি করে ৮ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ কমিটি
প্রস্তাবিত পদ্ধতি চালু করতে কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে তাও নিরূপণ
করবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নবগঠিত কোর কমিটির প্রধান ও মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. নজরুল ইসলাম শনিবার
যুগান্তরকে বলেন, উন্নত বিশ্বের আদলে বাংলাদেশের সরকারি দফতরগুলোতে
কর্মসম্পাদন পদ্ধতির পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বছরের শুরুতেই
অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হবে। সে অনুযায়ী যে কোনো মূল্যে তা বাস্তবায়ন
করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো অজুহাত আমলে নেয়া হবে না। এ লক্ষ্যে সরকার একটি
কোর কমিটিও করেছে। শিগগিরই এ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত পদ্ধতি চালু হলে চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগতসহ সব যোগ্যতার সত্যায়িত কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে না। অনলাইনে এক পাতার আবেদন করলেই হবে। এর সঙ্গে কোনো সংযুক্তি দিতে হবে না। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, আবেদনের সঙ্গে একগাদা কাগজপত্র জমা দেয়া এবং তার জন্য একাডেমিক কাগজপত্র সত্যায়িত করার বিষয়টি প্রার্থীদের জন্য হয়রানিমূলক। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারের নীতিনির্ধারণী বৈঠকগুলোতে আলোচনাও হয়েছে। কাগজপত্রের বেশিরভাগ সত্যায়নই ভুয়া বলে মনে করেন তারা। কারণ রাজধানীর নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে অল্প টাকায় এসব সিল বানানো সম্ভব। কাজেই সরকারি কাজে বা চাকরির আবেদনে সত্যায়ন প্রথা তুলে দেয়ার পক্ষে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল। প্রার্থী নিজেই অঙ্গীকার করবেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তার কাছে রক্ষিত আছে। নিয়োগের চূড়ান্ত পর্যায়ে মূল সনদ অবশ্যই দেখাতে হবে। এতে করে চাকরিদাতা কর্তৃপক্ষকে বস্তায় বস্তায় আবেদনপত্র ঘাঁটতে হবে না। আবেদনপত্র সংরক্ষণও করতে বেগ পেতে হবে না। এতে কর্তৃপক্ষের যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি প্রার্থীরও হয়রানি কম হবে। প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত বিধি-বিধানও সংশোধন করা হবে বলে সূত্র জানায়। এ ধরনের সহজ ও জনবান্ধব পদ্ধতি চালু হবে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৮ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করে পরিপত্র জারি করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন করে প্রতিনিধি। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (সংস্কার)।
কমিটিকে ৬টি কাজ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এদের কার্যপরিধিতে বলা হয়- অন্যান্য দেশের উৎকৃষ্ট চর্চা (বেস্ট প্র্যাক্টিজ) সমূহ পর্যালোচনা করে বাংলাদেশে চালু করার মতো কার্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত খসড়া তৈরি করবে। প্রস্তাবিত কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে বর্তমানে প্রচলিত প্রশাসনিক পদ্ধতির সমন্বয় সাধন করবে। এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও কৌশল উদ্বোধন এবং বিদ্যমান পদ্ধতির উন্নয়ন সাধনের সুপারিশ করবে কমিটি। এজন্য প্রচলিত বিধি-বিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা যাচাই ও এ সম্পর্কে করণীয় নির্ধারণ করবেন কমিটির সদস্যরা। কমিটিকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে না দিলেও প্রতি মাসে বৈঠক করে কমিটির কাজের অগ্রগতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়া হয় পরিপত্রে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত পদ্ধতি চালু হলে চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগতসহ সব যোগ্যতার সত্যায়িত কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে না। অনলাইনে এক পাতার আবেদন করলেই হবে। এর সঙ্গে কোনো সংযুক্তি দিতে হবে না। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, আবেদনের সঙ্গে একগাদা কাগজপত্র জমা দেয়া এবং তার জন্য একাডেমিক কাগজপত্র সত্যায়িত করার বিষয়টি প্রার্থীদের জন্য হয়রানিমূলক। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারের নীতিনির্ধারণী বৈঠকগুলোতে আলোচনাও হয়েছে। কাগজপত্রের বেশিরভাগ সত্যায়নই ভুয়া বলে মনে করেন তারা। কারণ রাজধানীর নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে অল্প টাকায় এসব সিল বানানো সম্ভব। কাজেই সরকারি কাজে বা চাকরির আবেদনে সত্যায়ন প্রথা তুলে দেয়ার পক্ষে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল। প্রার্থী নিজেই অঙ্গীকার করবেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তার কাছে রক্ষিত আছে। নিয়োগের চূড়ান্ত পর্যায়ে মূল সনদ অবশ্যই দেখাতে হবে। এতে করে চাকরিদাতা কর্তৃপক্ষকে বস্তায় বস্তায় আবেদনপত্র ঘাঁটতে হবে না। আবেদনপত্র সংরক্ষণও করতে বেগ পেতে হবে না। এতে কর্তৃপক্ষের যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি প্রার্থীরও হয়রানি কম হবে। প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত বিধি-বিধানও সংশোধন করা হবে বলে সূত্র জানায়। এ ধরনের সহজ ও জনবান্ধব পদ্ধতি চালু হবে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৮ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করে পরিপত্র জারি করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন করে প্রতিনিধি। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (সংস্কার)।
কমিটিকে ৬টি কাজ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এদের কার্যপরিধিতে বলা হয়- অন্যান্য দেশের উৎকৃষ্ট চর্চা (বেস্ট প্র্যাক্টিজ) সমূহ পর্যালোচনা করে বাংলাদেশে চালু করার মতো কার্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত খসড়া তৈরি করবে। প্রস্তাবিত কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে বর্তমানে প্রচলিত প্রশাসনিক পদ্ধতির সমন্বয় সাধন করবে। এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও কৌশল উদ্বোধন এবং বিদ্যমান পদ্ধতির উন্নয়ন সাধনের সুপারিশ করবে কমিটি। এজন্য প্রচলিত বিধি-বিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা যাচাই ও এ সম্পর্কে করণীয় নির্ধারণ করবেন কমিটির সদস্যরা। কমিটিকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে না দিলেও প্রতি মাসে বৈঠক করে কমিটির কাজের অগ্রগতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়া হয় পরিপত্রে।
No comments