সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিট সেকশনে প্রকাশ্যেই ঘুষ!
সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিট সেকশন। সব মামলার
এফিডেভিট হয় এখানে। নিচতলায় দুই এফিডেভিট কমিশনার মাহবুবুর রহমান ও মফিজুল
ইসলামের কক্ষ। তাদের সামনে প্রায় অর্ধশত লোক দাঁড়িয়ে। সবার হাতেই মামলার
নথিপত্র, এফিডেভিট করার জন্য এসেছেন। সবারই তাড়াহুড়ো। প্রত্যেকেই একটি
এফিডেভিট করার পর কিছু টাকা বের করে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১টার দিকের চিত্র এটি। এই সেকশনে আগে থেকেও টাকা লেনদেনের অভিযোগ ছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি এটি আরও বেড়ে গেছে। বেশির ভাগ কাজে এখানে টাকা লাগে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরেজমিন যাওয়া হয় এফিডেভিট সেকশনে। কমিশনার কক্ষ থেকে বের হয়ে আসার পর একজন মুহুরির কাছে জানতে চাওয়া হল, কিসের টাকা দিলেন? জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুহুরি বলেন, এখানে এফিডেভিট করাতে হলেই দিতে হয়। না দিলে কাজ করে না। এখন টাকা দেয়াটা একটা নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। কত টাকা দিলেন?-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩০০ টাকা দিয়েছি। জানা গেছে, এই সেকশনে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারশ মামলার এফিডেভিট হয়। প্রতিটি মামলার এফিডেভিটের জন্য একশ থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এফিডেভিট কমিশনারের রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কথা হয় সেকশনের সহকারী রেজিস্ট্রার-৯ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মিয়ার সঙ্গে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যারা সময়মতো কাজ করাতে পারেন না, তারা অভিযোগ করে থাকেন। তাছাড়া এই সেকশনে লোকবল অনেক কম। তিনজন সহকারী রেজিস্ট্রার থাকার কথা তা নেই। দুজন এফিডেভিট কমিশনার রাত ৮টা পর্যন্ত পরিশ্রম করেন। তিনি বলেন, কারও অভিযোগ থাকলে তা রেজিস্ট্রারকে বলতে পারে। লিখিতভাবে অভিযোগ করতে পারে। এ রকম প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এফিডেভিট সেকশনে দুর্নীতি নিয়ে আইনজীবীরা আমার কাছে অনেক অভিযোগ করেছেন। গত সপ্তাহে আমার কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কক্ষে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছি। শুনেছি, দুই এফিডেভিট কমিশনারকে রেজিস্ট্রার ডেকে নিয়েছিলেন। এরপর কী হয়েছে তা জানি না।
ব্যারিস্টার খোকন আরও বলেন, আমরা চাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হোক। প্রয়োজনে লোকবল বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রধান বিচারপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম কুদ্দুস জামান শনিবার যুগান্তরকে বলেন, এফিডেভিট কমিশনার নিয়োগের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে খুবই সতর্ক রয়েছি। প্রতিদিন অন্তত একবার করে আমি ওই সেকশনে যেতাম। কিন্তু গত সপ্তাহে দুদিন ঢাকার বাইরে থাকায় যাওয়া হয়নি। তাই ঘুষ গ্রহণের ব্যাপারে এখন আপাতত কিছু বলতে পারব না। তবে সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের অভিযোগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, উনি ভুল বলেছেন। আমার রুমে উনি আসেননি। তবে শুনেছি, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শওকত আলী চৌধুরীর রুমে দেখা করে অভিযোগ দিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১টার দিকের চিত্র এটি। এই সেকশনে আগে থেকেও টাকা লেনদেনের অভিযোগ ছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি এটি আরও বেড়ে গেছে। বেশির ভাগ কাজে এখানে টাকা লাগে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরেজমিন যাওয়া হয় এফিডেভিট সেকশনে। কমিশনার কক্ষ থেকে বের হয়ে আসার পর একজন মুহুরির কাছে জানতে চাওয়া হল, কিসের টাকা দিলেন? জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুহুরি বলেন, এখানে এফিডেভিট করাতে হলেই দিতে হয়। না দিলে কাজ করে না। এখন টাকা দেয়াটা একটা নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। কত টাকা দিলেন?-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩০০ টাকা দিয়েছি। জানা গেছে, এই সেকশনে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারশ মামলার এফিডেভিট হয়। প্রতিটি মামলার এফিডেভিটের জন্য একশ থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এফিডেভিট কমিশনারের রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কথা হয় সেকশনের সহকারী রেজিস্ট্রার-৯ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মিয়ার সঙ্গে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যারা সময়মতো কাজ করাতে পারেন না, তারা অভিযোগ করে থাকেন। তাছাড়া এই সেকশনে লোকবল অনেক কম। তিনজন সহকারী রেজিস্ট্রার থাকার কথা তা নেই। দুজন এফিডেভিট কমিশনার রাত ৮টা পর্যন্ত পরিশ্রম করেন। তিনি বলেন, কারও অভিযোগ থাকলে তা রেজিস্ট্রারকে বলতে পারে। লিখিতভাবে অভিযোগ করতে পারে। এ রকম প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এফিডেভিট সেকশনে দুর্নীতি নিয়ে আইনজীবীরা আমার কাছে অনেক অভিযোগ করেছেন। গত সপ্তাহে আমার কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কক্ষে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছি। শুনেছি, দুই এফিডেভিট কমিশনারকে রেজিস্ট্রার ডেকে নিয়েছিলেন। এরপর কী হয়েছে তা জানি না।
ব্যারিস্টার খোকন আরও বলেন, আমরা চাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হোক। প্রয়োজনে লোকবল বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রধান বিচারপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম কুদ্দুস জামান শনিবার যুগান্তরকে বলেন, এফিডেভিট কমিশনার নিয়োগের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে খুবই সতর্ক রয়েছি। প্রতিদিন অন্তত একবার করে আমি ওই সেকশনে যেতাম। কিন্তু গত সপ্তাহে দুদিন ঢাকার বাইরে থাকায় যাওয়া হয়নি। তাই ঘুষ গ্রহণের ব্যাপারে এখন আপাতত কিছু বলতে পারব না। তবে সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের অভিযোগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, উনি ভুল বলেছেন। আমার রুমে উনি আসেননি। তবে শুনেছি, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শওকত আলী চৌধুরীর রুমে দেখা করে অভিযোগ দিয়ে গেছেন।
No comments