অনুমোদন ছাড়াই ভবন করেছেন মান্নান খান
অনুমোদন ছাড়াই গ্রামের বাড়ি ঢাকার দোহারের কাটাখালিতে আলীশান
ভবন নির্মাণ করেছেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল
মান্নান খান। তিনি ও তার স্ত্রী সৈয়দা হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত
মামলার তদন্তকালে এ তথ্য জানতে পেরেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। অভিযোগ
রয়েছে, আবদুল মান্নান খান গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে কোটি
কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। প্লট, ফ্ল্যাট, জমি ক্রয়, ভবন
নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় দেখিয়ে অধিকাংশ অর্থের তথ্যই তিনি গোপন করেন।
অনুসন্ধানকালে সম্পদের রেকর্ডপত্র সামান্যই হস্তগত হয় দুদকের। ২১ আগস্ট
মান্নান খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় ৭৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের
অভিযোগ আনা হয়। ২১ অক্টোবর মান্নান খানের স্ত্রী সৈয়দা হাসিনা সুলতানার
মামলায় ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯১২ টাকার সম্পদ গোপনের অভিযোগ আনে দুদক।
দুটি মামলাই তদন্ত করছেন দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন। সূত্র মতে,
তদন্তের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু হয় অক্টোবর থেকে। এ প্রক্রিয়ায় মান্নান
খানের গ্রামের বাড়িতে নির্মিত আলীশান ভবনের নির্মাণ ব্যয় এবং বর্তমান মূল্য
নির্ণয়ের চেষ্টা করছে দুদক। তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলতি মাসের
শুরুতে দোহার পৌরসভার কাছে তথ্য-উপাত্ত চায় দুদক। ১৯ নভেম্বর পৌর মেয়র মো.
আবদুর রহিম স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়, সুতারপাড়া ইউনিয়নের অধীন কাটাখালি
গ্রামে ৮০৮/৮০৮/২০ হোল্ডিং নম্বরের জমি আবদুল মান্নান খান, বোরহান উদ্দিন
খান ও মোতালেব খানের নামে নামজারি রয়েছে। তাদের পৌরকর হালনাগাদ পরিশোধ
রয়েছে। তবে ভবন নির্মাণের সময় নকশার অনুমোদন গ্রহণ করেননি। অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণের কারণে দুর্নীতি মামলার তদন্তে আরও একাধিক ধারা যুক্ত হতে পারে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
No comments