ছাত্রলীগ নেতার গুণকীর্তনে বিদ্যালয়ে দেয়াললিখন
ছাত্রলীগের নেতার গুণকীর্তন করে ও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সিলেটের তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়াললিখন হয়েছে। শিশুদের বিদ্যালয়ে ছাত্রনেতার পক্ষে এমন রাজনৈতিক প্রচারণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষকেরা। যাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়াললিখন হয়েছে, তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী। জানা গেছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই দেয়াললিখন হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বিদ্যালয়ের সীমানাদেয়ালে রাজনৈতিক প্রচারণা চালানোকে ‘নিম্ন রুচির মানসিকতা’ বলেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের জিন্দাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মীরাবাজার এলাকার কিশোরীমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেজরটিলা এলাকার দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাদেয়াল রাজনৈতিক প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এমসি কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এসব দেয়াললিখন হয়েছে। এম রায়হান চৌধুরী চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় দেয়াললিখনের মাধ্যমে তাঁকে ‘অভিনন্দন’ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছে না। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাবেষ্টনী দখল করে প্রচারণা চালিয়ে রাজনৈতিক কাজে শিশুদের উৎসাহিত করা ঠিক নয়। এটি বিবেকবর্জিত ও নিম্ন রুচির মানসিকতা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তত পাঁচজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক প্রচারণার উদ্দেশ্যে দুই সপ্তাহ আগে বিদ্যালয়ের দেয়াল দখল করে নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আগে কলেজ পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির প্রচারণায় দেয়াললিখনের ব্যবহার হতো। এখন এই দেয়াললিখন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও বাদ পড়ছে না। এটি বন্ধ হওয়া উচিত।
দেয়াললিখন প্রসঙ্গে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী বলেন, ‘দেয়াললিখনের বিষয়টি আমার জানা নেই। ছাত্রলীগের মতো একটি বৃহৎ সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় হয়তো আমার অনুসারীরা এমনটি করেছেন। বিশেষ করে আমি এমসি কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ায় সংগঠনের কলেজ শাখার নেতারা আবেগে দেয়াললিখন করেছেন। ভবিষ্যতে যেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়াললিখন না হয়, সেটা সবাইকে বলে দেওয়া হবে।’
জিন্দাবাজার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা ইলয়াছুর রহমান বলেন, ‘শিশুদের স্কুলে এ ধরনের রাজনৈতিক প্রচারণা বন্ধ হওয়া উচিত। আগে জাতীয় দুর্যোগ বা রাজনৈতিক সংকটের সময় ছাত্ররা নান্দনিক ভাষায় দেয়াললিখনের মাধ্যমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করত। এখন দেয়াললিখন হয় রাজনৈতিক প্রচারকাজে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটি মেনে নেওয়া গেলেও স্কুলের দেয়ালে রাজনৈতিক স্লোগান থাকা একেবারেই উচিত নয়।’
তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ওই ছাত্রনেতার পক্ষে নগরের চৌহাট্টা এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা এবং টিলাগড় এলাকায় সিলেট এমসি কলেজের নিরাপত্তাবেষ্টনী দখল করেও দেয়াললিখন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের জিন্দাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মীরাবাজার এলাকার কিশোরীমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেজরটিলা এলাকার দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাদেয়াল রাজনৈতিক প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এমসি কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এসব দেয়াললিখন হয়েছে। এম রায়হান চৌধুরী চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় দেয়াললিখনের মাধ্যমে তাঁকে ‘অভিনন্দন’ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছে না। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাবেষ্টনী দখল করে প্রচারণা চালিয়ে রাজনৈতিক কাজে শিশুদের উৎসাহিত করা ঠিক নয়। এটি বিবেকবর্জিত ও নিম্ন রুচির মানসিকতা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তত পাঁচজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক প্রচারণার উদ্দেশ্যে দুই সপ্তাহ আগে বিদ্যালয়ের দেয়াল দখল করে নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আগে কলেজ পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির প্রচারণায় দেয়াললিখনের ব্যবহার হতো। এখন এই দেয়াললিখন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও বাদ পড়ছে না। এটি বন্ধ হওয়া উচিত।
দেয়াললিখন প্রসঙ্গে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী বলেন, ‘দেয়াললিখনের বিষয়টি আমার জানা নেই। ছাত্রলীগের মতো একটি বৃহৎ সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় হয়তো আমার অনুসারীরা এমনটি করেছেন। বিশেষ করে আমি এমসি কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ায় সংগঠনের কলেজ শাখার নেতারা আবেগে দেয়াললিখন করেছেন। ভবিষ্যতে যেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়াললিখন না হয়, সেটা সবাইকে বলে দেওয়া হবে।’
জিন্দাবাজার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা ইলয়াছুর রহমান বলেন, ‘শিশুদের স্কুলে এ ধরনের রাজনৈতিক প্রচারণা বন্ধ হওয়া উচিত। আগে জাতীয় দুর্যোগ বা রাজনৈতিক সংকটের সময় ছাত্ররা নান্দনিক ভাষায় দেয়াললিখনের মাধ্যমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করত। এখন দেয়াললিখন হয় রাজনৈতিক প্রচারকাজে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটি মেনে নেওয়া গেলেও স্কুলের দেয়ালে রাজনৈতিক স্লোগান থাকা একেবারেই উচিত নয়।’
তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ওই ছাত্রনেতার পক্ষে নগরের চৌহাট্টা এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা এবং টিলাগড় এলাকায় সিলেট এমসি কলেজের নিরাপত্তাবেষ্টনী দখল করেও দেয়াললিখন হয়েছে।
No comments