ভবিষ্যতের মুক্তির একমাত্র পথ সামাজিক ব্যবসা by সাজ্জাদ শরিফ
নিছক মুনাফানির্ভর ব্যবসায় পৃথিবীর মুক্তি নেই। সে জন্য দরকার সামাজিক ব্যবসা। তার মধ্য দিয়ে জন্ম নেবে ভবিষ্যতের অজস্র উদ্যোক্তা। ভবিষ্যতের সে পথ সুগম করার জন্য সারা বিশ্বের নবীন উদ্যোক্তাদের একে অপরের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে কাজ করে যেতে হবে। দুই দিনের বিশ্ব সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন গতকাল শনিবার শেষ হলো এই আশা রেখে।
সম্মেলনের সূচনা হয়েছিল ২৭ নভেম্বর। এতে অংশ নিতে ৫০টি দেশের ৭৫০ জন মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে জড়ো হন। এখানে এসে পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সামাজিক উদ্যোক্তারা পরস্পরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন ও যোগাযোগ গড়ে তোলেন। ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সামাজিক উদ্যোগের নতুন নতুন ধারণা ও অভিজ্ঞতার কেন্দ্রীয় ভান্ডার তৈরির পদক্ষেপও নেওয়া হয়।
সম্মেলনের প্রথম দিনের মতো কাল সারা দিনও পার হয়েছে একাধিক অধিবেশনে গাঁথা কয়েক পর্বের আলোচনার মধ্য দিয়ে। এবারের সম্মেলনের স্লোগান ছিল ‘২০২০ সালের পৃথিবীকে রূপ দিতে সামাজিক ব্যবসার রূপায়ণ’। তাই সামাজিক ব্যবসা প্রসারের উপায় খোঁজা এবং সে উদ্দেশ্যে এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্তরের মানুষের সংযোগ ঘটানো ছিল এ সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য। আলোচনার প্রসঙ্গও ছিল সেভাবেই সাজানো—‘ভবিষ্যতের বিষয়সূচি’, ‘সামাজিক ব্যবসার জগতে অভিনবত্ব কী’ এবং ‘সহযোগিতা বাড়াতে বিভিন্ন খাতের বিভাজক দেয়াল উপড়ে ফেলা’।
আটটি দেশ থেকে আসা অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের একটি দল সবার জন্য সতর্কবার্তা দিয়ে যান। তাঁরা বলেন, ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে সবার জীবনযাত্রার ধরন পাল্টাতে হবে। মানুষ এখন যেভাবে ভোগ্যপণ্য উপভোগ করে, তা না পাল্টালে পৃথিবী বাঁচবে না। সামনের পৃথিবী হতে হবে পরিবেশবান্ধব। সামনের পৃথিবীর সাধারণ পরিবর্তনে এই তরুণ-তরুণীরা আশ্বস্ত হতে চান না। তাঁরা চান সবকিছুর ব্যাপক বদল।
এ সুরটিই আরও গভীর হয়ে ওঠে পরের আলোচনায়। সেখানে ‘সামাজিক ব্যবসা’ ধারণার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বর্তমান অর্থনীতির লক্ষ্য মুনাফা। এ অর্থনীতির পরিসর বাড়লেও বেকারত্ব কমছে না। কারণ, এ ব্যবস্থায় তৈরি করা নিত্যনতুন প্রযুক্তি মানুষেরই প্রয়োজন কমিয়ে ফেলছে। কাজেই ভবিষ্যতের মুক্তির একমাত্র পথ সামাজিক ব্যবসা।’
নানা আলোচনার শেষে সম্মেলনের সমাপনী পর্ব ঘনিয়ে আসে। সমাপনী বক্তব্য দিতে ওঠেন সম্মেলনের মধ্যমণি মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ২০২০ সালে সামাজিক ব্যবসাকে বিশ্ব অর্থনীতির অন্তত এক শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। এটুকু হলেই মানুষের মধ্যে প্রেরণার যে জোয়ার জেগে উঠবে, তা-ই তাকে বাড়িয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য সবাইকে তিনি পৃথিবীর কোণে কোণে উদ্যোক্তা গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। অধ্যাপক ইউনূসের সমাপনী বক্তব্য শেষ হলে সম্মেলনকক্ষ করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে।
একেবারে শেষে আগামী সম্মেলনের স্থান ঘোষণা করা হয়। সপ্তম সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন হবে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে। ২০১৫ সালের ৫ ও ৬ নভেম্বর সেখানে আবার দেখা হবে, এ প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে অনেকে সম্মেলন শেষে ফিরে যান।
সম্মেলনের সূচনা হয়েছিল ২৭ নভেম্বর। এতে অংশ নিতে ৫০টি দেশের ৭৫০ জন মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে জড়ো হন। এখানে এসে পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সামাজিক উদ্যোক্তারা পরস্পরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন ও যোগাযোগ গড়ে তোলেন। ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সামাজিক উদ্যোগের নতুন নতুন ধারণা ও অভিজ্ঞতার কেন্দ্রীয় ভান্ডার তৈরির পদক্ষেপও নেওয়া হয়।
সম্মেলনের প্রথম দিনের মতো কাল সারা দিনও পার হয়েছে একাধিক অধিবেশনে গাঁথা কয়েক পর্বের আলোচনার মধ্য দিয়ে। এবারের সম্মেলনের স্লোগান ছিল ‘২০২০ সালের পৃথিবীকে রূপ দিতে সামাজিক ব্যবসার রূপায়ণ’। তাই সামাজিক ব্যবসা প্রসারের উপায় খোঁজা এবং সে উদ্দেশ্যে এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্তরের মানুষের সংযোগ ঘটানো ছিল এ সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য। আলোচনার প্রসঙ্গও ছিল সেভাবেই সাজানো—‘ভবিষ্যতের বিষয়সূচি’, ‘সামাজিক ব্যবসার জগতে অভিনবত্ব কী’ এবং ‘সহযোগিতা বাড়াতে বিভিন্ন খাতের বিভাজক দেয়াল উপড়ে ফেলা’।
আটটি দেশ থেকে আসা অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের একটি দল সবার জন্য সতর্কবার্তা দিয়ে যান। তাঁরা বলেন, ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে সবার জীবনযাত্রার ধরন পাল্টাতে হবে। মানুষ এখন যেভাবে ভোগ্যপণ্য উপভোগ করে, তা না পাল্টালে পৃথিবী বাঁচবে না। সামনের পৃথিবী হতে হবে পরিবেশবান্ধব। সামনের পৃথিবীর সাধারণ পরিবর্তনে এই তরুণ-তরুণীরা আশ্বস্ত হতে চান না। তাঁরা চান সবকিছুর ব্যাপক বদল।
এ সুরটিই আরও গভীর হয়ে ওঠে পরের আলোচনায়। সেখানে ‘সামাজিক ব্যবসা’ ধারণার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বর্তমান অর্থনীতির লক্ষ্য মুনাফা। এ অর্থনীতির পরিসর বাড়লেও বেকারত্ব কমছে না। কারণ, এ ব্যবস্থায় তৈরি করা নিত্যনতুন প্রযুক্তি মানুষেরই প্রয়োজন কমিয়ে ফেলছে। কাজেই ভবিষ্যতের মুক্তির একমাত্র পথ সামাজিক ব্যবসা।’
নানা আলোচনার শেষে সম্মেলনের সমাপনী পর্ব ঘনিয়ে আসে। সমাপনী বক্তব্য দিতে ওঠেন সম্মেলনের মধ্যমণি মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ২০২০ সালে সামাজিক ব্যবসাকে বিশ্ব অর্থনীতির অন্তত এক শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। এটুকু হলেই মানুষের মধ্যে প্রেরণার যে জোয়ার জেগে উঠবে, তা-ই তাকে বাড়িয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য সবাইকে তিনি পৃথিবীর কোণে কোণে উদ্যোক্তা গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। অধ্যাপক ইউনূসের সমাপনী বক্তব্য শেষ হলে সম্মেলনকক্ষ করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে।
একেবারে শেষে আগামী সম্মেলনের স্থান ঘোষণা করা হয়। সপ্তম সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন হবে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে। ২০১৫ সালের ৫ ও ৬ নভেম্বর সেখানে আবার দেখা হবে, এ প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে অনেকে সম্মেলন শেষে ফিরে যান।
No comments