লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা by রেজওয়ান সিদ্দিকী
প্রতিটি দিবস উদযাপন তার প্রতিপাদ্য সম্পর্কে সবাইকে স্মরণ করে দেয় এর গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং সংগ্রাম ও বঞ্চনার ইতিহাস। ঠিক তেমনি ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস আমাদের স্মরণ করে দেয় নারীদের অধিকারহীনতা, বঞ্চনা এবং সে সঙ্গে তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াই।
যখন এ বছর ৮ মার্চ নারী দিবস উদযাপন করব, তখনও পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে নারীরা বঞ্চিত হবেন, হারাবেন তার সম্ভ্রম-সম্মান। তাদের অবস্থান হবে দরিদ্রদের মধ্যে দরিদ্রতর। আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে মনে করে দেওয়ার আয়োজন এই ৮ মার্চ, যা নারীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়, সংগঠিত হওয়ার প্রেক্ষাপট দেয়, বদলে দেওয়ার সাহস জোগায় এবং সে সঙ্গে তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসে অংশীদার করে নেয় আমাদের সবাইকে। ৮ মার্চ শুধু একটি দিবস উদযাপনই নয়, এটি একটি অধিকার আদায়ের পথপরিক্রমায় সবাইকে অংশীদার করে নেওয়ার প্রক্রিয়া।
সমাজের সব পর্যায়েই রয়েছে নারীর অধস্তনতা টিকিয়ে রাখার পুরো আয়োজন এবং এর পক্ষে অবস্থান। সাধারণ মানুষ থেকে নীতিনির্ধারণী পর্যায়, সবখানেই এ অবস্থা বিরাজমান। ধনী ও দরিদ্র দু'ধরনের সমাজ কাঠামোতেই নারীরা অধস্তন। হয়তো অবস্থাভেদে এর ধরন ও প্রক্রিয়া ভিন্ন। এই অধস্তনতার মূলে রয়েছে মতাদর্শিক অবস্থান, ক্ষমতার সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক আচরণ। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবকিছুই এ মতাদর্শ বিনির্মাণ এবং সযত্নে তা লালনও করে চলছে। নারীকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি ও মতাদর্শ নির্মাণ প্রক্রিয়ার পরিবর্তন না হলে সমাজে নারীর অধস্তনতার পরিবর্তন আসবে না।
কোনো দেশে নারীর সামগ্রিক অবস্থা সাধারণত সব সময়ই কিছু মৌলিক সূচক দ্বারা নিরূপিত হয়ে থাকে যেমন_ মাতৃমৃত্যুর অনুপাত, স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশগম্যতা, প্রসবপূর্ববর্তী এবং প্রসবপরবর্তী সেবা ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি। কিন্তু দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় সব ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রতি লাখে ১৯৪ জন মাতৃমৃত্যু হয় এবং প্রায় ছয় লাখ নারী প্রসবসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হয়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সমগ্র মাতৃমৃত্যুর ১৪ শতাংশ সংঘটিত হয় মাতৃত্বকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার কারণে। যার সংখ্যা যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, চর্মরোগ, টিউমার এবং ক্যান্সারে মৃত্যুবরণকারী নারীর চেয়েও দ্বিগুণ (বিবিএস ১৯৯২)। মাতৃত্বকালীন সময়ে নারীর যে নূ্যনতম চারবার স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন, সেখানে সারাদেশে গড়ে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার হার মাত্র একবার। অর্থাৎ জৈবিক ও সামাজিক পুনরুৎপাদনের ভার নারীর ওপরে পড়ে; কিন্তু এ সংক্রান্ত সব দায় নারীকেই সামলাতে হয়। এসব মৌলিক সূচক নারীর প্রতি অবহেলা ও অসম্মানের প্রকাশ ঘটায় এবং যা নারীর ওপর পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, একমাত্র চিকিৎসাসেবা দিয়ে নারীর স্বাস্থ্যের অবস্থার উত্তরণ ঘটানো সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানই নারীবান্ধব নয়। এছাড়া নারীর প্রতি সেবাকর্মীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, পারিবারিক পর্যায়ে নারীর প্রতি অবজ্ঞা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। এগুলোর ফলাফল নারীর স্বাস্থ্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। এছাড়া অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক পর্যায়সহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই অধস্তনতার পর্যায়ে রয়েছে। নারীর অবস্থার পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন সমাজের সব পর্যায়ে মানুষের সচেতনতা, ঐক্য এবং সমাজের প্রবল পুরুষ মতাদর্শিক অবস্থানের পরিবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়ন হবে।
সমাজের সব পর্যায়েই রয়েছে নারীর অধস্তনতা টিকিয়ে রাখার পুরো আয়োজন এবং এর পক্ষে অবস্থান। সাধারণ মানুষ থেকে নীতিনির্ধারণী পর্যায়, সবখানেই এ অবস্থা বিরাজমান। ধনী ও দরিদ্র দু'ধরনের সমাজ কাঠামোতেই নারীরা অধস্তন। হয়তো অবস্থাভেদে এর ধরন ও প্রক্রিয়া ভিন্ন। এই অধস্তনতার মূলে রয়েছে মতাদর্শিক অবস্থান, ক্ষমতার সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক আচরণ। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবকিছুই এ মতাদর্শ বিনির্মাণ এবং সযত্নে তা লালনও করে চলছে। নারীকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি ও মতাদর্শ নির্মাণ প্রক্রিয়ার পরিবর্তন না হলে সমাজে নারীর অধস্তনতার পরিবর্তন আসবে না।
কোনো দেশে নারীর সামগ্রিক অবস্থা সাধারণত সব সময়ই কিছু মৌলিক সূচক দ্বারা নিরূপিত হয়ে থাকে যেমন_ মাতৃমৃত্যুর অনুপাত, স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশগম্যতা, প্রসবপূর্ববর্তী এবং প্রসবপরবর্তী সেবা ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি। কিন্তু দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় সব ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রতি লাখে ১৯৪ জন মাতৃমৃত্যু হয় এবং প্রায় ছয় লাখ নারী প্রসবসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হয়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সমগ্র মাতৃমৃত্যুর ১৪ শতাংশ সংঘটিত হয় মাতৃত্বকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার কারণে। যার সংখ্যা যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, চর্মরোগ, টিউমার এবং ক্যান্সারে মৃত্যুবরণকারী নারীর চেয়েও দ্বিগুণ (বিবিএস ১৯৯২)। মাতৃত্বকালীন সময়ে নারীর যে নূ্যনতম চারবার স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন, সেখানে সারাদেশে গড়ে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার হার মাত্র একবার। অর্থাৎ জৈবিক ও সামাজিক পুনরুৎপাদনের ভার নারীর ওপরে পড়ে; কিন্তু এ সংক্রান্ত সব দায় নারীকেই সামলাতে হয়। এসব মৌলিক সূচক নারীর প্রতি অবহেলা ও অসম্মানের প্রকাশ ঘটায় এবং যা নারীর ওপর পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, একমাত্র চিকিৎসাসেবা দিয়ে নারীর স্বাস্থ্যের অবস্থার উত্তরণ ঘটানো সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানই নারীবান্ধব নয়। এছাড়া নারীর প্রতি সেবাকর্মীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, পারিবারিক পর্যায়ে নারীর প্রতি অবজ্ঞা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। এগুলোর ফলাফল নারীর স্বাস্থ্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। এছাড়া অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক পর্যায়সহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই অধস্তনতার পর্যায়ে রয়েছে। নারীর অবস্থার পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন সমাজের সব পর্যায়ে মানুষের সচেতনতা, ঐক্য এবং সমাজের প্রবল পুরুষ মতাদর্শিক অবস্থানের পরিবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়ন হবে।
No comments