জীবন দিয়ে হলেও ট্রানজিট চুক্তি বাসত্মবায়ন করা হবে- লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চট্টগ্রামের মেয়র মহিউদ্দিন
চট্টগ্রাম অফিস জীবন দিয়ে হলেও ট্রানজিট চুক্তি বাসত্মবায়ন করতে হবে। চুক্তির বিরোধিতাকারীরা চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ বিদ্বেষী। তাদের ষড়যন্ত্র রম্নখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ।
এ চুক্তি বাসত্মবায়িত হলে দেশের অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত হবে। আর এ চুক্তি বাসত্মবায়নে আমরা প্রস্তুত।সোমবার বিকেলে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এক গণসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। জাতীয় অর্থনীতির চাবিকাঠি চট্টগ্রাম বন্দরকে ভারত, ভুটান ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানে শেখ হাসিনা গৃহীত সিদ্ধানত্ম বাসত্মবায়নের উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিএনপি-জামায়াতকে ইঙ্গিত করে মেয়র বলেন, যারা দেশের স্বার্থ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তারাই ট্রানজিটের বিরোধিতা করছে। তাদের অহেতুক বিরোধিতার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। দেশের জনগণকে শোষণ এবং অর্থনীতির গতিপথ স্থবির করে দিতে মহলগুলো ট্রানজিটের বিরোধিতা করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এসব মহল দেশবিরোধী ও দালাল। তারা স্বাধীনতার জন্য কোন ধরনের ত্যাগ স্বীকার করেনি। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আলহাজ এছহাক মিয়া, সহসভাপতি একেএম বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ বদিউল আলম, চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক ছগীর আহমদ, কাউন্সিলর এ্যাডভোকেট আবু নাসের।
ট্রানজিট দেয়ার জন্য চট্টগ্রামবাসী প্রস্তুত রয়েছে উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, ট্রানজিটের ফলে ভারতের সেভেন সিস্টার, মিয়ানমার, নেপাল ও ভূটানসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্পর্ক সম্প্রসারিত হবে। এতে উভয় পৰই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। এ ট্রানজিট দেয়ার জন্য চট্টগ্রামবাসীর পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। এ লৰ্যে চট্টগ্রাম সিটি এলাকাকে ৬০ বর্গমাইল থেকে ১২০ বর্গমাইলে সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্দরের কর্ম দৰতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদৰেপ নেয়া হবে। তবে শ্রমিক কর্মকর্তা কর্মচারীরাই বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। অন্য কেউ নয়।
ট্রানজিট বাসত্মবায়িত হলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে উলেস্নখ করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। বন্দরের বর্তমান আয় ২০ কোটি ছাড়িয়ে ১ হাজার কোটি টাকা হবে। দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতী এখানে কাজ পাবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধানত্মকে সঠিক বলে মনত্মব্য করেন। তিনি নেতাকমর্ীদেরকে প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে সমাবেশের নির্দেশ দেন।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে কাজ করতে গেলে কিছু মহল সব সময় বাধাগ্রসত্ম করে। তবে তাদের বিরম্নদ্ধে নেতাকমর্ীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একটি গোষ্ঠী চুক্তির কোনকিছু না জেনে বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে চলেছে। কারই তারা দেশ ও জাতির উন্নয়ন চায় না। বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের বন্দর ব্যবহার করে উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশও একদিন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
No comments