অষ্টম সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস- সন্ধ্যা ও রুনা পেলেন আজীবন সম্মাননা
‘কবে আমি বাহির হলেম, তোমারই গান গেয়ে, সে তো আজকে নয়, সে আজকে নয়।’ গানটি গেয়ে শোনালেন ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। পুরো এক বছর পর মঞ্চে আবার গান গাইলেন, আর তা কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই। বললেন, ‘আমি তো অনেক বছর হলো গান থেকে সরে এসেছি। এখন আর গাইতে পারি না।’
ভারতের কলকাতায় গ্র্যান্ড ওবেরয় হোটেলের বলরুমে গত বৃহস্পতিবার রাতে অষ্টম সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। এই সম্মাননা এবার আরও পেয়েছেন বাংলাদেশের রুনা লায়লা। তাঁদের হাতে আজীবন সম্মাননার ক্রেস্ট, সনদ, উত্তরীয় এবং এক লাখ রুপির চেক তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী।গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় জামদানি শাড়ি, মুক্তার মালা আর ইমপ্রেস অডিও ভিশন থেকে প্রকাশিত কিছু অডিও সিডি এবং নাটক ও চলচ্চিত্রের ডিভিডি। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের হাতে তা তুলে দেন রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীন। অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অনুরোধে তাঁর জনপ্রিয় গান ‘কে তুমি আমারে ডাকো’ গেয়ে শোনান সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমীন।
ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘অষ্টম সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানটি আমরা তিনটি দেশে আয়োজন করেছি। শুরুতে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে, এবার ভারতের কলকাতায় এবং মূল অনুষ্ঠানটি হবে বাংলাদেশে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিটিসেলের করপোরেট কমিউনিকেশন ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান তসলিম আহমেদ।
‘শুদ্ধ সংগীতের বিশ্বায়নে’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠান শুরু হয় ওয়ার্দা রিহাবের নেতৃত্বে একটি দলীয় নাচ দিয়ে। ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ গানের সঙ্গে যৌথভাবে এই নাচের নির্দেশনা দিয়েছেন ওয়ার্দা রিহাব ও কাজল হাজরা। অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও শ্রীকান্ত আচার্য।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধান শাইখ সিরাজ, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, এম এ মান্নান, আকরামুল ইসলাম, সুবীর নন্দী, শাহীন সামাদ, ডালিয়া নওশীন, শাম্মী আখতার, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, কুমার বিশ্বজিৎ, লীনা তাপসী খান, দিনাত জাহান, গীতিকার কবির বকুলসহ অনেকে।পুরো আয়োজন পরিচালনা করেছেন শহিদুল আলম সাচ্চু।
No comments