সংসদের চলতি অধিবেশনে যোগ দিতে পারে বিএনপি
জাতীয় সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে পারে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ও আলোচনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সরকার যদি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করার বিল সংসদে আনে, তাহলে বিএনপি অবশ্যই সংসদে যাবে। দলের এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।২৭ জানুয়ারি এ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রীতি অনুযায়ী বছরের শুরুর এই অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভাষণে বিরোধী দলকে সংসদ যোগ দেওয়ার আহ্বান ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবির বিষয়ে কী বলেন, তা দেখবে তারা। তাই অধিবেশনের শুরুর দিকে বিএনপির যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম।
অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এক মাস আগে থেকে বিভিন্ন আলোচনা সভা ও সমাবেশে বিএনপির সংসদমুখী হওয়ার ইঙ্গিত দেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজপথ ও সংসদ—উভয় পথে আমাদের আন্দোলনকে জোরদার করার স্বার্থে আমরা সংসদে যাওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি।’
বিএনপি এবং তাদের দুই শরিক জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সাংসদেরা টানা ৭৭ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকার পর সর্বশেষ গত বছরের ১৮ মার্চ সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন।
তখন মূলত তাঁরা সদস্যপদ রক্ষার জন্য সংসদে গিয়েছিলেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে তখনই আলোচনা ছিল। সেই অধিবেশনের শেষ দিন ২৯ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা সংসদে ছিলেন।
এ ছাড়া টানা ৮৩ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকার পর সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া সর্বশেষ সংসদে যোগ দিয়েছিলেন গত বছরের ২০ মার্চ। সেদিন তিনি সংসদে এক ঘণ্টা ৫৩ মিনিট বক্তব্য দেন।
এরপর গত বছর আরও তিনটি অধিবেশন বসে, তাতে বিএনপিসহ জোটের সাংসদেরা আর যোগ দেননি। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ অধিবেশন পর্যন্ত বিএনপির সাংসদেরা মোট ৫০ কার্যদিবস অনুপস্থিত রয়েছেন।
No comments