সম্পাদকীয় ॥- মৈত্রী ট্রেন ॥ সেবার মান বাড়ানো জরুরী

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের সেতুবন্ধ রচনার জন্য ২০০৮ সালের বৈশাখে চালু হয়েছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন। উদ্দেশ্যÑদু’দেশের মধ্যে বন্ধন আরো জোরদার হবে। কিন্তু যাত্রী হয়রানি আর নানা দুর্ভোগের কারণে শুরু থেকেই খুঁড়িয়ে চলছে মৈত্রী এক্সপ্রেস।
সঙ্গে আর্থিক ক্ষতিও সাধিত হয়েছে। প্রথমে তিন বছরের জন্য চুক্তি হলেও চলতি বছর এর মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়। কিন্তু বাড়েনি যাত্রীসেবা বা হয়রানি। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যাও কমতে থাকে। যাত্রী সঙ্গটের কারণে এই ট্রেনের বগিও কমিয়ে ফেলা হয়েছে। সব মিলে মৈত্রী ট্রেনকে প্রতিমাসে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এর প্রধান কারণ যাত্রী হয়রানি। ঢাকা-কলকাতা গমনের ১৩ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে কেবল ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে চেকিং আর কাস্টমসের জন্য। কিন্তু চাইলে এই সময় অনেক কমানো যায়। আবার মালামাল দ্রুত স্ক্যানিং বা এক ট্রেনের টিকেট অন্য ট্রেনে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া ভারতের অসহযোগিতাও বড় কারণ। ভারতের হাইকমিশন থেকে ভিসা দিতে অসহযোগিতা, ভারত সীমান্তে যাত্রী হয়রানি, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে সময়ের কারণে মৈত্রী ট্রেন জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলছে। এ জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও দুদেশের সহযোগিতা। আশা করি, দুদেশের রেল কর্তৃপক্ষ এবং সরকার এর সঙ্গে কাজ করবে। সবচেয়ে বড় কথা মৈত্রী ট্রেনের জনপ্রিয়তা বাড়াতে দরকার মৈত্রীর মনোভাব।

জাহেদুর রহমান ইকবাল,
পুরানা পল্টন, ঢাকা।


কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চাই

উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বিভাগীয় শহর রাজশাহী। শিক্ষানগরী হিসেবে রয়েছে রাজশাহীর সমান খ্যাতি। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিল্পের প্রসার না হওয়ায় রাজশাহী অঞ্চল পিছিয়ে আছে। কর্মসংস্থানের তেমন কোন সুযোগ এখানে নেই। বেকারত্ব যেভাবে বাড়ছে সেভাবে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের অভাবে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান না থাকায় এ অঞ্চলের বিপুল জনগোষ্ঠীর অনেকে নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে। এতে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এদের ফিরিয়ে আনতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। কর্মমুখী শিক্ষা ছাড়া বিদেশেও ভাল করা সম্ভব নয়। কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা নিতে হবে। এভাবে চা, মৎস্য ও পশুপালন, পোল্ট্রি, গ্লাস এ্যান্ড সিরামিক, পর্যটক, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, রেস্টুরেন্ট, বেকারি বিষয়ক প্রশিক্ষণভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে। এসব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজশাহী কারিগরি শিক্ষা বোর্ড স্থাপনই হবে রাজশাহী অঞ্চলের উন্নয়নে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।

ইকবাল
বাগমারা, রাজশাহী।


অর্থনৈতিক মন্দা ও অন্যান্য

অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবিক বিপর্যয়। তাছাড়া আরেকটি হলো অধিকহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিন্তু সেই হারে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নয় এবং মানুষে মানুষে অসহযোগিতা বা মানবিকতা হ্রাস ও নৈতিকতার মৃত্যু। বর্তমানে কেউ কাউকে আপন ভাবে না বরং সমাজে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, প্রতিহিংসা, প্রতারণা বৃদ্ধি পেয়ে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে; যা জলবায়ু পরিবর্তনের মতোই। ফলে জীবনযাত্রার মান দিন দিন নিম্নদিকে ধাবিত হচ্ছে। যেমনÑখুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, গুম, নির্যাতন, অপহরণ, সহিংসতা, প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্র্ধগতি এবং বাড়তি মানুষের ভিড়ের চাপ। এ ব্যাপারে কেউই কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

শরীফ উদ্দিন,
তেজকুনিপাড়া,ঢাকা।

প্রচলিত বিধি থাকা সত্ত্বেও বাতিল

প্রচলিত বিধি থাকা সত্ত্বেও ০৯.০৪.১৯৯২ থেকে ৩০.০৬.১৯৯৭ পর্যন্ত রাজস্ব খাতে নিয়মিতকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা (টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড) অর্থ বিভাগের ২৪.০৩.২০০৮ ও ২২.০৯.২০১১ তারিখে বাতিল করায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রচলিত বিধিবিধান পাশ কাটিয়ে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা কর্তন, নানাবিধ জটিলতা ও চরম হয়রানির ফলে সরকারের কর্মকর্তা/কর্মচারী অঙ্গনে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। অর্থ বিভাগের ঐ দুটি পত্র জারির ফলে বিধিমালাকে খাটো করা হয়েছে। সরকারের এজি অফিসগুলো শত শত কর্মচারীর প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা কর্তন করছে। শত শত পেন্ডিং কেস ঝুলে আছে। পেনশনভোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার। শত শত কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ মেধা বিকাশের পথে অসহনীয় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বর্তমান বাজারমূল্য ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, কতিপয় কর্মকর্তার গাফিলতি, সরকারের নিষ্ক্রিয়তা, এজি অফিসের দৌরাত্ম্য ও প্রশাসনিক হয়রানি আমাদের জীবন্ত বন্দী করে রেখেছে। সরকারের নিয়মিত কর্মচারী হয়েও আমরা অসহায়। এক কর্মচারী আরেক কর্মচারীর ক্ষতি করছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বিধিমালা স্বয়ং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মানছে না। অর্থ বিভাগের নোটিফিকেশন স্বয়ং অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা আমলে নিচ্ছে না। একই বিধিমালার একই ধারার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত থাকা সত্ত্বেও সলিসিটর উইং অনুসরণ করছে না। হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের মতামত এজি অফিস গুরুত্ব দিচ্ছে না, সংসদীয় কমিটির সুপারিশ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুরোধ বিদ্রƒপে পরিণত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে না। শুধু কি তাই, অর্থ বিভাগের ইতোপূর্বেকার মতামত ও ব্যাখ্য সংশ্লিষ্ট বিধিমালার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক ও অসঙ্গতিপূর্ণ। সরকারের কর্মচারীদের আর্থিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষাকল্পে অর্থ বিভাগের ঐ দুটি পত্র বাতিল করে এসআরও অনুযায়ী চাকরিতে যোগদানের তারিখ হতে সুযোগ-সুবিধা বহাল রাখার জন্য মহামান্য সুপ্রীমকোটের হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলা দায়ের হলো। প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত কর্মচারীরা ন্যায্য প্রাপ্যতা ফিরে পেতে কোর্ট প্রাঙ্গণে গেলো। জনগণের অবস্থা কি দাঁড়াল? সরকারের কর্মঘণ্টা নষ্ট হলো। গরিব কর্মচারীদের পকেটের টাকা খরচ হলো। অবশেষে রায় হলো। ওই রায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মনগড়া নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করল। যথাসময়ের রায়ের বাস্তবায়ন হলো না, সরকার করল না। ন্যায়বিচার, সাম্য প্রতিষ্ঠা ও বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদতে শুরু করল; অথচ এদের মুখেই আবার সাম্যের গান, মানুষের গান, দেশের গান, আইন-আদালতের জয়গান। যাই হোক, অনাকাক্সিক্ষত বিলম্ব হলো। দীর্ঘসূত্রতা বাড়ল। ব্যাপক অসন্তোষ ও চরম হতাশা দেখা দিলো।
এতে লাভ-ক্ষতি কার? সরকার না জনগণের? ক্ষতি কার? ভুক্তভোগীদের না সুশাসনের? কাকে অনুসরণ করবে? বিধিমালাকে না একক কোন মন্ত্রণালয়ের মতামতকে? বাস্তবায়ন কি হবে? মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায় না নীতিভ্রষ্ট কর্মকর্তার এক কলমের খোঁচা? ভাবতে অবাক লাগে-হলমার্কের দুর্নীতি করা হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের নিকট কিছুই না; আর সরকারের কাজে দীর্ঘমেয়াদে নিয়োজিত কর্মচারীদের প্রাপ্যতা অন্যায়ভাবে কেটে নিতে আজব নানা অজুহাত সরকার হজম করে নেয়। কর্মচারীদের প্রাপ্যতা অন্যায়ভাবে শুধু টাকা লাগবে, সরকারের ব্যয় বাড়বে এই অজুহাতে বার বার প্রতিবন্ধকতা প্রতিবন্ধকতা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়! আসল বাস্তবতা হলো কোন বাড়তি টাকাই লাগবে না। কেননা, ঐ সময়কালের জনবলের ব্যয়ভার বহনের হিসাব প্রতিটি পে-স্কেলেই নিরূপিত হয়ে আসছে। অতিরিক্ত টাকার হিসাবের প্রশ্নই আসে না। সরকার কি বুঝেও বুঝে না। ইচ্ছাকৃত এই হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

নজরুল ইসলাম
মুরাদনগর, কুমিল্লা।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা...!

আমরা বাংলাদেশি। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরব। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখিয়ে তাদের সন্তানদের জন্য চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু করেছে। এটা বাঙালী জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে। বর্তমানে বাংলাদেশের সব সরকারী চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু আছে। কিন্তু দেখা যায় বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রের বিশাল একটা অংশজুড়ে রয়েছে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর অসংখ্য পদ শূন্য হয়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু না থাকায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই দেরি না করে খুব তাড়াতাড়ি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু করে কর্মক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সুযোগ দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, কর্তৃপক্ষ ও সরকারের শুভ দৃষ্টি কামনা করছি।

শান্তনু দে
ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।

দুর্ঘটনা রোধ করুন

প্রতিদিনই তীব্র যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। এতে দেশের মানুষ প্রচ- ক্ষতি ও ঝুঁকির মধ্যে অনিরাপদভাবে জীবন-যাপন করছে। অনেকে রাস্তায়ই সময় হারাচ্ছে। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন আর্থিক ও সময়ের। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ওভারটেকিং ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাই যানবাহন চলাচল সংক্রান্ত নতুন আইন করে ও তা প্রয়োগ করে দুর্ঘটনা রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।

শরীফ উদ্দিন
তেজকুনিপাড়া, ঢাকা।

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুল গঠন

আমরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১২-এর পুলের অন্তর্ভুক্ত। সংসারের অভাব অনটন ও নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে লেখাপড়া শিখেছি। আশা দরিদ্র মা বাবার মুখে একটু হাসি ফুটানো। বাবা-মার সুখের কথা চিন্তা করে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে আমার মতো অনেকেরই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ হয় না। “বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানো যেমন উচিত নয় তেমনি বড় কোন চাকরির আশা ও করছি না” চাকরি নামক সোনা হরিণ খুঁজতে গিয়ে বার বার ব্যর্থ হয়েছি। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ঠাঁই হয়েছে পুলের তালিকা। এখানেই শেষ নয়! এবার অপেক্ষার পালা। বইতে পড়েছিলাম “সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা আশা তার একমাত্র ভেলা।” কিন্তু সেই আশা ও ধূলিসাৎ হতে বসেছে। আমাদেরই অনেকেরই চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পথে। এছাড়া আগামীতে এসএসসি ও এইচএসসি পাস কোন শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়া হবে না। শিক্ষা অফিস থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেল এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা, আসেনি। এমতাবস্থায় আমাদের কি হবে? তাই নিরূপায় হয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে শরণাপন্ন হলাম। এ পর্যায়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলের তালিকাভুক্তদের স্থায়ী চাকরির সযোগ সৃষ্টির জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন করছি।
শারমিন আক্তার
কলেজ রোড, নোয়াখালী।

সত্যের সন্ধানে ক্লান্ত...


গণতন্ত্রের সারমর্ম নিয়ে তৈরি হয় ইতিহাস। ইতিহাস অনুসরণ করে গণতন্ত্রের আলো বিতরণ করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে। গণতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র ও রাজতন্ত্র এক সঙ্গে অবস্থান করতে পারে না। গণতন্ত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে স্বাধীন জনগণকে। প্রজাতন্ত্রে আটকা পড়ে আছে রাজতন্ত্রের সিংহাসনে। রাজতন্ত্রের শুদ্ধ নাম পরিবারতন্ত্র।
প্রতিটি রাজনৈতিক দল এক গণতন্ত্রকে টানা হেঁচড়া করে প্রজাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। ক্লান্ত গণতন্ত্র সত্যের সন্ধানে দৌড়াদৌড়ি করছে। রাজাকারদের ঘরে গণতন্ত্র। শান্তি কমিটি, আলবদর, অলশামস, বাংলাভাই, আবদুর রহমান গংয়ের ঘরে ঘরে গণতন্ত্র। যুদ্ধাপরাধীদের পকেটে, গানের ক্যাসেটে গণতন্ত্র, লজ্জায় জবান বন্ধ করে বোবা হয়ে গেছে। এ শ্রেণীকে তথা যুদ্ধাপরাধীদের যারা সমর্থন করছে তারাও গণতন্ত্র বিলিবন্টন করছে প্রজাদের ঘরে ঘরে। গণতন্ত্র যেন সত্যকে খুঁজ করে পাচ্ছে না।

মোঃ মেছের আলী
শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ।


কমলালেবুর পুষ্টি


কমলালেবুর রয়েছে অনেক গুণ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। এটি শীতকালীন ঠা-াজনিত রোগব্যাধি ও দুর্বলতার সমস্যাগুলো দূর করে। রোদে থাকা সূর্যের অতি বেগুনিরশ্মি বা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। কমলালেবু ত্বককে শক্তিশালী অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচায়। কমলালেবু দাঁত, চুল, ত্বক ও নখের পুষ্টি যোগায়। এই ফল রক্তে চর্বির পরিমাণ কমায়। ভিটামিন সি আমাদের প্রতিদিন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ভিটামিন সি আমাদের দেহে জমা থাকে না। তাই সম্ভব হলে নিয়মিত এই ফল খাওয়া দরকার। ঠোঁট ফাটা,পায়ের তলা ফেটে যাওয়া রোধ করে কমলালেবু। ত্বকের মর্সৃণ ভাব বজায় রাখতে এর ভূমিকা অপরিসিম। এই ফলে কোন চর্বি নেই। চোখের রোগব্যাধি দূর করার জন্য দরকার ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’। যা রয়েছে কমলালেবুতে। বৃদ্ধ ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, মাতৃদুগ্ধদানকারী মহিলাদের জন্য এই ফল অপরিহার্য। সর্বোপরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কমলালেবুর ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

ছালামত প্রধান
মহাখালী নিউডিওএইচএস, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.