মধুসূদনের জন্মবার্ষিকী পালন ভীমরতি মঞ্চস্থ- সংস্কৃতি সংবাদ
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৮৬তম জন্মবার্ষিকী ছিল সোমবার। এ উপলৰে রেনেসাঁ সাংস্কৃতিক পরিষদ জাতীয় প্রেসকাবে আয়োজন করেছিল এক আলোচনাসভার। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. মীজানুর রহমান শেলী।
বক্তৃতা করেন মরমী কবি সাবির আহমেদ চৌধুরী, প্রফেসর ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী, প্রফেসর ডা. এএসএম বদরম্নদ্দোজা, কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, সরকার ফিরোজ, মহাকবি যাযাবর ওসমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা কবির জীবনের নানা দিক ও বাংলা সাহিত্যে তাঁর অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে বলেন, ইংরেজীতে মহাকাব্য লিখতে উদ্যত মধুসূদন যখন সাফল্য লাভ করতে পারছিলেন না, তখন তাঁকে বাংলায় লিখতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন বেথুন সাহেব। তাই জীবনের দ্বিতীয় পর্বে মধুসূদন আকৃষ্ট হন মাতৃভাষার প্রতি। প্রথমে নাট্যকার হিসেবে বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে প্রবেশ করেন তিনি। প্রহসন ও কাব্য রচনাও লিখতে শুরম্ন করেন। এক সময় তিনি হয়ে ওঠেন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাৰর ছন্দের প্রবর্তক। রামায়ণ উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদ বধ কাব্য তাঁর অমিত্রাৰর ছন্দের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি।আয়োজকদের প থেকে কবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে মধুসূদন দত্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে রেনেসাঁর পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, এই জন্মজয়নত্মীতে আমরা মহাকবিকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। পাশাপাশি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, সাগরদাঁড়িতে যেন কবির নামে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়। উলেস্নখ্য, সাগরদাঁড়ি থেকে মাত্র ৩০ কিমি দূরেই রয়েছে যশোর এম এম (মাইকেল মধুসূদন) বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
ভীমরতি মঞ্চস্থ
সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের শাসকগোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচারিতার চালচিত্র নিয়ে ভীমরতি নাটকটি তৈরি হয়েছে। সোমবার এই নাটকেরই মঞ্চায়ন হলো শিল্পকলা একাডেমীর নাট্যশালায়। এটি অবয়ব নাট্যদলের ৩৪তম প্রযোজনা। ইউসুফ আলী খোকনের গল্প অবলম্বনে এটির নাট্যরূপ দিয়েছেন শহিদুল হক খান শ্যানন। রফিকুল ইসলামের নির্দেশনায় এতে অভিনয় করেন খালেদ ইবনে ওমর, তুষার, শহিদুল হক খান শ্যানন, সাইফুল ইসলাম সজীব, এসআই হামিদ, বশিরম্নল আলম, শোভন ইসলাম, সাইদুল ইসলাম নয়ন, অনিকুল ইসলাম রেমন, জীবননেসা কুমু, পারভীন আক্তার পারম্ন, সানজিদা ইয়াসমিন শায়লা, নিলুফা আক্তার নিপা প্রমুখ।
স্বৈরাচারিতার স্বরূপই গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে কমেডীয় ধারায় তুলে ধরা হয়েছে এ নাটকে। অদ্ভুত এক রাজ্য, রাজা, সভাসদদের নিয়ে এগিয়েছে নাটকের গল্প। রাজা চলেন ইচ্ছেমতো, সভাসদ ব্যসত্ম নিজেদের নিয়ে। মূলত নাটকের চরিত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের সব রাষ্ট্রনেতা, শাসকগোষ্ঠীর।
ভিকারম্নননিসার বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান আজ
ভিকারম্নননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায়। সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে প্রধান অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত থাকবেন স্কুলের গবর্নিং বডির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। সভাপতিত্ব করবেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যৰ রোকেয়া আকতার বেগম।
No comments