আজ থেকে- গ্যাস রেশনিং
সঙ্কট মোকাবেলায় আজ বুধবার থেকে তিতাস গ্যাসের আওতাভুক্ত এলাকায় গ্যাস রেশনিং কার্যক্রম শুরম্ন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পেট্রোবাংলা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গ্যাস রেশনিংয়ের সিদ্ধানত্ম নেয়।
এ প্রক্রিয়ায় যে গ্যাস সাশ্রয় হবে তা দিয়ে রাজধানীর গৃহস্থালির সঙ্কট নিরসন করা হবে। পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, সিরামিক, গস্নাস, কম্পোজিট টেক্সটাইল, স্পিনিং মিল গ্যাস রেশনিংয়ের আওতায় আনা হবে না। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যায় বলে এ সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে।এদিকে সিএনজিতে রেশনিং করার জন্য মঙ্গলবার পেট্রোবাংলার সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক হয়নি। পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, সিএনজি মালিকরা সময় নেয়ার প্রেৰিতে বৈঠকটি পিছিয়ে আগামী সপ্তাহে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সিএনজি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের এক নেতা জানান পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর দেশের বাইরে থাকায় বৈঠকটি পিছিয়ে আগামী সপ্তাহে নেয়া হয়েছে।
তিতাসের আওতাধীন রাজধানী ঢাকার নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরকে ৭টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে শনিবার তিতাসের টিকাটুলী ও মতিঝিল জোন; রবিবার সাভার; সোমবার গাজীপুর (জয়দেবপুর থেকে মাওনা), মানিকগঞ্জ ও তিতাসের লালমাটিয়া জোন; মঙ্গলবার টঙ্গী, গাজীপুর (জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল) ও ময়মনসিংহ, বুধবার নরসিংদী, ঘোড়াশাল, ভালুকা, জিঞ্জিরা, মুন্সীগঞ্জ ও তিতাসের বাড্ডা জোন; বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও ও তিতাসের মিরপুর জোন; শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের ফতুলস্না ও টাঙ্গাইল। গ্যাস রেশনিংয়ের ফলে উলিস্নখিত দিনে কারখানাগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।
পেট্রোবাংলা সূত্র মতে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১৯০ থেকে ১৯৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৩০ কোটি ঘনফুটের। ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি ঘনফুট। শীত মৌসুমে গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাহিদা ৫ কোটি ঘনফুট বেড়ে যাওয়ায় সঙ্কট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
No comments