পোশাক কারখানায় আগুন- নিখোঁজদের লাশ, ক্ষতিপূরণ আর মালিকের শাস্তির দাবি স্বজনদের
দুই বোন নাসরীন বেগম ও মাজেদা বেগম। দুজনই কাজ করতেন আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে। গত ২৪ নভেম্বর কারখানায় আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন নাসরীন বেগম।
কিন্তু মাজেদার বা তাঁর লাশের খোঁজ মেলেনি, কোনো ক্ষতিপূরণও পাননি নাসরীন। একদিকে বোনের জন্য কষ্ট, অন্যদিকে ক্ষতিপূরণ ও বিচার না পাওয়ার ক্ষোভ ছিল তাঁর কণ্ঠে।
নাসরীনের মতো কষ্ট ও ক্ষোভ জানাতে গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এসেছিলেন তাজরীনের নিখোঁজ ৪৬ জন শ্রমিকের স্বজন। এসেছিলেন কয়েকজন আহত শ্রমিকও। তাঁরা জোরালো গলায় চাইলেন নিখোঁজ কর্মীদের লাশ, ক্ষতিপূরণ আর তাজরীনের মালিকের শাস্তি। বললেন, ১০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।
তাজরীনের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য উঠে আসে। কয়েকজন নৃবিজ্ঞানী ও পোশাকশ্রমিকদের দুটি সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, প্রভাষক মাহমুদ সুমন, শ্রমিকনেত্রী মোশরেফা মিশু, গবেষক সায়দিয়া গুলরুখ ও নাজনীন শেফা, শ্রমিক সংগঠক তাসলিমা আখতার প্রমুখ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহীদুল ইসলাম।
নিখোঁজ শ্রমিক রোখসানা বেগমের স্বামী মো. জিয়ারুল বলেন, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি ঘরে ফিরে ভাত রান্না করছিলেন। ওই সময় শোনেন, তাজরীনে আগুন লেগেছে। দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখেন, প্রবেশপথের ওপরেই আগুন জ্বলছে। সেখান দিয়ে কারখানায় ঢুকতে না পেরে পেছনের দিকে যান। তিনি অন্ধকার ওই ভবন থেকে অনেকের চিৎকার ও কান্না শোনেন। ভিড়ে মানুষের হইচই ছাপিয়ে এ সময় ওপর থেকে পড়া মানুষের চিৎকার শোনা যায়। তিনি বলেন, স্ত্রীর খোঁজে একটু পর তিনি বাঁশ বেয়ে উঠে দেখেন, তাজরীনের পুরো তিনতলা নিস্তব্ধ। মেঝেতে অনেক মানুষ পড়ে রয়েছেন।
জিয়ারুল বলেন, তাঁদের তিনটি শিশুসন্তান রয়েছে। তিনি ছেলেমেয়েদের তাদের মায়ের শেষ চিহ্ন দেখানোর জন্য স্ত্রীর লাশ শনাক্তের দাবি জানান।
নিখোঁজ শ্রমিক সালমা বেগমের বাবা সাহেব আলী মেয়ের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। তিনি মুষ্টি উঁচিয়ে বলেন, মালিকের বিচার না হলে আশুলিয়ার সব কারখানা বন্ধ করা হবে। উপস্থিত অন্য নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজন ও আহত শ্রমিকেরা তাঁর এই বক্তব্যে সমর্থন জানান। স্বজনেরা নিখোঁজ শ্রমিকদের বেতন ও লাশ শনাক্তকরণের প্রক্রিয়ায় হয়রানির অভিযোগ করেন। নিখোঁজ আইনূর বেগমের স্বামী রুহুল হান্নান বলেন, তাঁর স্ত্রী ১৮ মাস ওই কারখানায় কাজ করেছেন। কিন্তু তিনি এখনো স্ত্রীর বকেয়া বেতন পাননি। বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ঘোরাঘুরি করেছেন। তিনি বলেন, এখনো স্ত্রীর লাশ খুঁজছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, নিহত ৪৩ জন শ্রমিকের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ৫৭ জনের পরিবারকে ছয় লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে অনিয়ম ও অরাজকতা চলছে। লিখিত বক্তব্যে ওই ঘটনায় নিহত, নিখোঁজ ও আহত সব শ্রমিককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
নাসরীনের মতো কষ্ট ও ক্ষোভ জানাতে গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এসেছিলেন তাজরীনের নিখোঁজ ৪৬ জন শ্রমিকের স্বজন। এসেছিলেন কয়েকজন আহত শ্রমিকও। তাঁরা জোরালো গলায় চাইলেন নিখোঁজ কর্মীদের লাশ, ক্ষতিপূরণ আর তাজরীনের মালিকের শাস্তি। বললেন, ১০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।
তাজরীনের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য উঠে আসে। কয়েকজন নৃবিজ্ঞানী ও পোশাকশ্রমিকদের দুটি সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, প্রভাষক মাহমুদ সুমন, শ্রমিকনেত্রী মোশরেফা মিশু, গবেষক সায়দিয়া গুলরুখ ও নাজনীন শেফা, শ্রমিক সংগঠক তাসলিমা আখতার প্রমুখ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহীদুল ইসলাম।
নিখোঁজ শ্রমিক রোখসানা বেগমের স্বামী মো. জিয়ারুল বলেন, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি ঘরে ফিরে ভাত রান্না করছিলেন। ওই সময় শোনেন, তাজরীনে আগুন লেগেছে। দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখেন, প্রবেশপথের ওপরেই আগুন জ্বলছে। সেখান দিয়ে কারখানায় ঢুকতে না পেরে পেছনের দিকে যান। তিনি অন্ধকার ওই ভবন থেকে অনেকের চিৎকার ও কান্না শোনেন। ভিড়ে মানুষের হইচই ছাপিয়ে এ সময় ওপর থেকে পড়া মানুষের চিৎকার শোনা যায়। তিনি বলেন, স্ত্রীর খোঁজে একটু পর তিনি বাঁশ বেয়ে উঠে দেখেন, তাজরীনের পুরো তিনতলা নিস্তব্ধ। মেঝেতে অনেক মানুষ পড়ে রয়েছেন।
জিয়ারুল বলেন, তাঁদের তিনটি শিশুসন্তান রয়েছে। তিনি ছেলেমেয়েদের তাদের মায়ের শেষ চিহ্ন দেখানোর জন্য স্ত্রীর লাশ শনাক্তের দাবি জানান।
নিখোঁজ শ্রমিক সালমা বেগমের বাবা সাহেব আলী মেয়ের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। তিনি মুষ্টি উঁচিয়ে বলেন, মালিকের বিচার না হলে আশুলিয়ার সব কারখানা বন্ধ করা হবে। উপস্থিত অন্য নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজন ও আহত শ্রমিকেরা তাঁর এই বক্তব্যে সমর্থন জানান। স্বজনেরা নিখোঁজ শ্রমিকদের বেতন ও লাশ শনাক্তকরণের প্রক্রিয়ায় হয়রানির অভিযোগ করেন। নিখোঁজ আইনূর বেগমের স্বামী রুহুল হান্নান বলেন, তাঁর স্ত্রী ১৮ মাস ওই কারখানায় কাজ করেছেন। কিন্তু তিনি এখনো স্ত্রীর বকেয়া বেতন পাননি। বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ঘোরাঘুরি করেছেন। তিনি বলেন, এখনো স্ত্রীর লাশ খুঁজছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, নিহত ৪৩ জন শ্রমিকের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ৫৭ জনের পরিবারকে ছয় লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে অনিয়ম ও অরাজকতা চলছে। লিখিত বক্তব্যে ওই ঘটনায় নিহত, নিখোঁজ ও আহত সব শ্রমিককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
No comments