বেড়ে উঠুক নিজগুণে
আপনার সোনামণি দিনে দিনে বড় হয়ে উঠছে। বাড়ন্ত শিশুর যতেœ প্রত্যেক মা-বাবাই একটু বেশি মনোযোগী থাকেন। আপনার বাড়ন্ত শিশুর জন্য দরকার পুষ্টিকর খাবার। এখন সময় হয়েছে তাকে পরিবারের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার।
সাধারণত ২ থেকে ৬ বছরের শিশুদের খাদ্যাভ্যাস কিছুটা অন্যরকম হয়। এ বয়সে শিশুর খাবারের কি পরিমাণ পুষ্টি থাকা প্রয়োজন ও এ বয়সী শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে আপনার কি করা উচিত এখানে সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
২ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। কারণ এ সময় স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে পরিচিতি ঘটে তার। এছাড়া শিশুর বৃদ্ধি ও পুষ্টি গ্রহণের যথার্থ সময়ও বলা যায় এ বয়সকে। এ বয়সী শিশুর সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন তা হলো
প্রথমেই বয়স অনুযায়ী শিশুর কি পরিমাণ সুষম খাদ্য প্রয়োজন তা মাকে জানতে হবে।
* শিশুকে ঘরে তৈরি খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত করুন। বাচ্চার পছন্দ -অপছন্দের দিকে লক্ষ্য রাখুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবারের ব্যাপারে প্রাধান্য দিতে হবে।
* শিশুর খাবারের সময় সঠিকভাবে নির্ধারণ করে প্রতিদিন সেই সময়েই তাকে খেতে বসান। সাধারণত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর পর শিশুকে খাওয়াতে হয়।
* শিশুর খাবার নরম হওয়া বাঞ্ছনীয়। যে খাবার চিবাতে ও গিলতে অসুবিধা হয় সে খাবার শিশুকে না খাওয়ানোই ভাল।
* শিশু খেতে চায় না বলে অনেকেই টিভি ছেড়ে কিংবা গান শুনিয়ে অন্যমনস্ক করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শিশুকে এ ধরনের খাওয়ানোর পদ্ধতি উপযোগী নয়।
* শিশু সুস্থ-সবল হওয়া সত্ত্বেও অনেক মা-বাবা মনে করেন যে তাদের বাচ্চা খাচ্ছে না। এ ধরনের মনোভাবের বাবা-মাকে আসলে কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন।
* খাবারের জন্য শিশুকে পারতপক্ষে জোরজবরদস্তি না করাই উত্তম। একসঙ্গে পরিমাণে বেশি না খেতে দিয়ে অল্প পরিমাণে বার বার খাওয়ান।
* সব সময়ই রুটিনমাফিক খাওয়াতে হবে এমন কোন কথা নেই। মাঝে মাঝে রুটিন ভাঙা যেতেই পারে। তা না হলে একঘেয়েমিতে পেয়ে বসবে আপনার শিশুকে।
আমার বাচ্চা একদমই খেতে চায় না, এমনই অভিযোগ শোনা যায় অনেক মায়ের মুখে। এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে সচেষ্ট থাকতে হবে মাকেই। এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে সচেষ্ট থাকতে হবে বাবাকেও। এক্ষেত্রে তারও ভূমিকা রয়েছে। শিশুর প্রয়োজনীয় খাবারগুলো শিশুর মুখে তুলে নিতে প্রয়োজন একটু কৌশল অবলম্বন। এবার জেনে নেয়া প্রয়োজন কিভাবে খাওয়াবেন শিশুর অপছন্দের খাবার। এক্ষেত্রে আপনার শিশুর মেজাজ ও রুচির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সপ্তাহ শেষে আপনার শিশুকে নিয়ে বসুন। ব্যালেন্স ডায়েটে কি ধরনের খাবার থাকা উচিত, সেগুলো খেলে কি উপকার হবে, খাবার সংক্রান্ত বই-ম্যাগাজিন, ভিডিও, ওয়েবসাইট ঘাটুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার কথাগুলো যেন কাটখোট্টা না ঠেকে। প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর কিছু মুখরোচক ফ্রুট সালাদ, মিল্ক শেক, চপ, ভেজিটেবলস স্যুপ, ভেজিটেবলস নুডলস, ভেজিটেবলস পরোটা, কাস্টার্ড খেতে দিন। পরিবারের সবাই এক সঙ্গে বসে খাবারের চেষ্টা করুন। সবাইকে খেতে দেখে শিশুও খেতে উৎসাহী হবে।
* দুধের মধ্যে চকোলেট, ভ্যানিলা, স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন মুখরোচক ফ্লেভার যোগ করুন। ফলে সে তা খেতে উৎসাহী হবে।
* সফট ড্রিংকসের পরিবর্তে রিয়েল ফ্রেশ ফ্রুট জুস যেমন আম, কমলা, তরমুজ, পেয়ারা, লেবুর জুস বা শরবত খাওয়ান।
* মৌসুমী ফল যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়ান।
* সবজি দিয়ে গরম ভেজিটেবলস স্যুপ খাওয়ান। দিনের যে কোন সময় এটি খাওয়াতে পারেন।
শসা, টমেটো, পিঁয়াজ অন্যান্য ফল মিশিয়ে স্ন্যাকস হিসেবে সার্ভ করুন।
* বাড়িতে চকোলেট মিষ্টি বা পেস্ট্রি জাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখুন। দেখবেন আপনার সোনামণি ফ্রিজ থেকে নিয়ে নিয়ে খাচ্ছে।
* শিশুকে একনাগাড়ে বেশি খাওয়াবেন না। এক সঙ্গে বেশি খেলে বমি করে দিতে পারে কিংবা খাবারে অরুচি হতে পারে। অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাওয়াতে চেষ্টা করুন।
* বাজার করার সময় যদি সম্ভব হয় আপনার শিশুকে নিয়ে যান। নানা ধরনের শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ চেনাতে থাকুন এভাবে।
* চিপস, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি খেতে আজকাল শিশুরা বেশি আগ্রহ দেখায়। এগুলোর ক্ষতিকারক দিকগুলো বুঝিয়ে বলুন। এসব ক্ষতিকর খাবার খেতে অনুৎসাহিত করুন।
ফারহানা তাসনিম
২ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। কারণ এ সময় স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে পরিচিতি ঘটে তার। এছাড়া শিশুর বৃদ্ধি ও পুষ্টি গ্রহণের যথার্থ সময়ও বলা যায় এ বয়সকে। এ বয়সী শিশুর সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন তা হলো
প্রথমেই বয়স অনুযায়ী শিশুর কি পরিমাণ সুষম খাদ্য প্রয়োজন তা মাকে জানতে হবে।
* শিশুকে ঘরে তৈরি খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত করুন। বাচ্চার পছন্দ -অপছন্দের দিকে লক্ষ্য রাখুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবারের ব্যাপারে প্রাধান্য দিতে হবে।
* শিশুর খাবারের সময় সঠিকভাবে নির্ধারণ করে প্রতিদিন সেই সময়েই তাকে খেতে বসান। সাধারণত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর পর শিশুকে খাওয়াতে হয়।
* শিশুর খাবার নরম হওয়া বাঞ্ছনীয়। যে খাবার চিবাতে ও গিলতে অসুবিধা হয় সে খাবার শিশুকে না খাওয়ানোই ভাল।
* শিশু খেতে চায় না বলে অনেকেই টিভি ছেড়ে কিংবা গান শুনিয়ে অন্যমনস্ক করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শিশুকে এ ধরনের খাওয়ানোর পদ্ধতি উপযোগী নয়।
* শিশু সুস্থ-সবল হওয়া সত্ত্বেও অনেক মা-বাবা মনে করেন যে তাদের বাচ্চা খাচ্ছে না। এ ধরনের মনোভাবের বাবা-মাকে আসলে কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন।
* খাবারের জন্য শিশুকে পারতপক্ষে জোরজবরদস্তি না করাই উত্তম। একসঙ্গে পরিমাণে বেশি না খেতে দিয়ে অল্প পরিমাণে বার বার খাওয়ান।
* সব সময়ই রুটিনমাফিক খাওয়াতে হবে এমন কোন কথা নেই। মাঝে মাঝে রুটিন ভাঙা যেতেই পারে। তা না হলে একঘেয়েমিতে পেয়ে বসবে আপনার শিশুকে।
আমার বাচ্চা একদমই খেতে চায় না, এমনই অভিযোগ শোনা যায় অনেক মায়ের মুখে। এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে সচেষ্ট থাকতে হবে মাকেই। এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে সচেষ্ট থাকতে হবে বাবাকেও। এক্ষেত্রে তারও ভূমিকা রয়েছে। শিশুর প্রয়োজনীয় খাবারগুলো শিশুর মুখে তুলে নিতে প্রয়োজন একটু কৌশল অবলম্বন। এবার জেনে নেয়া প্রয়োজন কিভাবে খাওয়াবেন শিশুর অপছন্দের খাবার। এক্ষেত্রে আপনার শিশুর মেজাজ ও রুচির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সপ্তাহ শেষে আপনার শিশুকে নিয়ে বসুন। ব্যালেন্স ডায়েটে কি ধরনের খাবার থাকা উচিত, সেগুলো খেলে কি উপকার হবে, খাবার সংক্রান্ত বই-ম্যাগাজিন, ভিডিও, ওয়েবসাইট ঘাটুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার কথাগুলো যেন কাটখোট্টা না ঠেকে। প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর কিছু মুখরোচক ফ্রুট সালাদ, মিল্ক শেক, চপ, ভেজিটেবলস স্যুপ, ভেজিটেবলস নুডলস, ভেজিটেবলস পরোটা, কাস্টার্ড খেতে দিন। পরিবারের সবাই এক সঙ্গে বসে খাবারের চেষ্টা করুন। সবাইকে খেতে দেখে শিশুও খেতে উৎসাহী হবে।
* দুধের মধ্যে চকোলেট, ভ্যানিলা, স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন মুখরোচক ফ্লেভার যোগ করুন। ফলে সে তা খেতে উৎসাহী হবে।
* সফট ড্রিংকসের পরিবর্তে রিয়েল ফ্রেশ ফ্রুট জুস যেমন আম, কমলা, তরমুজ, পেয়ারা, লেবুর জুস বা শরবত খাওয়ান।
* মৌসুমী ফল যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়ান।
* সবজি দিয়ে গরম ভেজিটেবলস স্যুপ খাওয়ান। দিনের যে কোন সময় এটি খাওয়াতে পারেন।
শসা, টমেটো, পিঁয়াজ অন্যান্য ফল মিশিয়ে স্ন্যাকস হিসেবে সার্ভ করুন।
* বাড়িতে চকোলেট মিষ্টি বা পেস্ট্রি জাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখুন। দেখবেন আপনার সোনামণি ফ্রিজ থেকে নিয়ে নিয়ে খাচ্ছে।
* শিশুকে একনাগাড়ে বেশি খাওয়াবেন না। এক সঙ্গে বেশি খেলে বমি করে দিতে পারে কিংবা খাবারে অরুচি হতে পারে। অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাওয়াতে চেষ্টা করুন।
* বাজার করার সময় যদি সম্ভব হয় আপনার শিশুকে নিয়ে যান। নানা ধরনের শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ চেনাতে থাকুন এভাবে।
* চিপস, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি খেতে আজকাল শিশুরা বেশি আগ্রহ দেখায়। এগুলোর ক্ষতিকারক দিকগুলো বুঝিয়ে বলুন। এসব ক্ষতিকর খাবার খেতে অনুৎসাহিত করুন।
ফারহানা তাসনিম
No comments