ইতিহাসের দায়বদ্ধতা
ইতিহাস হলো মানবসভ্যতার উত্থানপতনের সদাজাগ্রত অনুলিপিকার। ঘটিত এবং ঘটমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ লিপিবদ্ধ হয় ইতিহাসের পাতায়। এ কারণে ব্যক্তির মৃত্যু হয়, শাসক পরিবর্তন হয়, দেশও অনেক সময় ভাঙ্গা-গড়ার মুখে পড়ে। কিন্তু ইতিহাস এগিয়ে চলে যুগ থেকে যুগান্তরে, কাল থেকে কালান্তরে।
ইতিহাসের পাতা থেকেই উত্তরপ্রজন্ম জানতে পারে অতীতের নানা ঘটনা, সফলতা-ব্যর্থতার নানা কাহিনী। ইতিহাস শুধু পূর্বপ্রজন্মের নানা ঘটনার নির্ভরযোগ্য দলিলই নয়; তা নানা শিক্ষনীয় বিষয় এবং সাহস, অনুপ্রেরণার উৎসস্থলও। এ কারণে বিশ্বব্যাপী ইতিহাসের সযতœ সংরক্ষণ, পঠন-পাঠন ও পরিচর্যার বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়ার ব্যবস্থা নেই। ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ প্রফেসর মুনতাসীর মামুন এবং সারাদেশ থেকে আগত ইতিহাসের অধ্যাপকবৃন্দের বক্তব্য থেকে বাংলাদেশে ইতিহাসের পঠন-পাঠনের বিষয়ে ঘোরতর দৈন্যের চিত্র ফুটে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, দেশের ২৫৩ সরকারী কলেজের মধ্যে ৯৮টিতে ইতিহাস পড়ানো হয় না। খোদ রাজধানী শহরের মাত্র চারটি কলেজে ইতিহাস বিভাগ আছে। এছাড়া দেশের ৮ জেলার ৩০টি সরকারী কলেজের কোনটিতেই ইতিহাস পড়ানো হয় না।
পরিসংখ্যানের বহর আর না বাড়িয়ে বলা যায়, দেশে ইতিহাস চর্চার এই দুর্গতি জাতির জন্য হতাশাজনক। একসাগর রক্তের বিনিময়ে এই দেশটি স্বাধীন হয়েছে প্রায় এক চল্লিশ বছর আগে। এত বড় গৌরবময় ইতিহাসের লালনভূমি এই বাংলাদেশের অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিহাস চর্চার ব্যবস্থা নেই; এটা মেনে নেয়া যায় না। এই প্রেক্ষাপটে ইতিহাস সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ বক্তাগণ সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়কে অবশ্যপাঠ্য করার যে দাবি উত্থাপন করেছেন, তা খুবই যৌক্তিক। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবম-িত এবং তা জাতিসত্তার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। সেই ইতিহাস কোন ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছা বা খেয়ালখুশিমাফিক রচিত বা চর্চিত হবে না এই নীতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত ও অক্ষুণœ রাখতে হলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইতিহাস চর্চার বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। ইতিহাস চর্চার অভাবে মানুষ তাদের অতীত ঐতিহ্য বিস্মৃত হয়। সে হয়ে পড়ে শেকড়হীন পরগাছার মতো। আবার এই চর্চাহীনতার সুযোগে ইতিহাসের নামে অনেক জঞ্জালও জমা হয়; যা জাতির স্বাভাবিক গতিধারাকে বাধা দিয়ে অনেক সময় বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের সরকার তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ সত্যটি গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে যে, ইতিহাসের পঠন-পাঠন ও চর্চা-অনুশীলনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার শৈথিল্য বা পরিকল্পনাহীনতা প্রশ্রয় পেলে জাতির জন্য তা ভয়াবহ ক্ষতির উপলক্ষ সৃষ্টি করতে পারে। এত বিপুলসংখ্যক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিহাস পড়ানোর ব্যবস্থা নেই; আবার, যেখানে ইতিহাস পড়ানো হয় সেখানেও রয়েছে শিক্ষক স্বল্পতা। এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে পর্যায়ক্রমে সকল উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরীভিত্তিতে ইতিহাস বিভাগ চালু, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং ইতিহাস বিষয় বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়টি অবশ্যপাঠ্য বিষয় হিসেবে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়ার ব্যবস্থা নেই। ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ প্রফেসর মুনতাসীর মামুন এবং সারাদেশ থেকে আগত ইতিহাসের অধ্যাপকবৃন্দের বক্তব্য থেকে বাংলাদেশে ইতিহাসের পঠন-পাঠনের বিষয়ে ঘোরতর দৈন্যের চিত্র ফুটে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, দেশের ২৫৩ সরকারী কলেজের মধ্যে ৯৮টিতে ইতিহাস পড়ানো হয় না। খোদ রাজধানী শহরের মাত্র চারটি কলেজে ইতিহাস বিভাগ আছে। এছাড়া দেশের ৮ জেলার ৩০টি সরকারী কলেজের কোনটিতেই ইতিহাস পড়ানো হয় না।
পরিসংখ্যানের বহর আর না বাড়িয়ে বলা যায়, দেশে ইতিহাস চর্চার এই দুর্গতি জাতির জন্য হতাশাজনক। একসাগর রক্তের বিনিময়ে এই দেশটি স্বাধীন হয়েছে প্রায় এক চল্লিশ বছর আগে। এত বড় গৌরবময় ইতিহাসের লালনভূমি এই বাংলাদেশের অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিহাস চর্চার ব্যবস্থা নেই; এটা মেনে নেয়া যায় না। এই প্রেক্ষাপটে ইতিহাস সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ বক্তাগণ সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়কে অবশ্যপাঠ্য করার যে দাবি উত্থাপন করেছেন, তা খুবই যৌক্তিক। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবম-িত এবং তা জাতিসত্তার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। সেই ইতিহাস কোন ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছা বা খেয়ালখুশিমাফিক রচিত বা চর্চিত হবে না এই নীতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত ও অক্ষুণœ রাখতে হলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইতিহাস চর্চার বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। ইতিহাস চর্চার অভাবে মানুষ তাদের অতীত ঐতিহ্য বিস্মৃত হয়। সে হয়ে পড়ে শেকড়হীন পরগাছার মতো। আবার এই চর্চাহীনতার সুযোগে ইতিহাসের নামে অনেক জঞ্জালও জমা হয়; যা জাতির স্বাভাবিক গতিধারাকে বাধা দিয়ে অনেক সময় বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের সরকার তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ সত্যটি গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে যে, ইতিহাসের পঠন-পাঠন ও চর্চা-অনুশীলনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার শৈথিল্য বা পরিকল্পনাহীনতা প্রশ্রয় পেলে জাতির জন্য তা ভয়াবহ ক্ষতির উপলক্ষ সৃষ্টি করতে পারে। এত বিপুলসংখ্যক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিহাস পড়ানোর ব্যবস্থা নেই; আবার, যেখানে ইতিহাস পড়ানো হয় সেখানেও রয়েছে শিক্ষক স্বল্পতা। এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে পর্যায়ক্রমে সকল উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরীভিত্তিতে ইতিহাস বিভাগ চালু, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং ইতিহাস বিষয় বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়টি অবশ্যপাঠ্য বিষয় হিসেবে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক।
No comments