পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষকারীদের বিরুদ্ধে মামলা আসামি ৪শ
রাজধানীতে ইসলামী ও সমমনা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সর্বমোট ৩টি মামলা হয়েছে। মামলায় খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির আহমেদুল্লাহ আশরাফ, ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ নেজামীসহ সর্বমোট প্রায় ৪শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৭৪ জনকে এজাহার নামীয় এবং বাকিদের অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
ইসলামী ও সমমনা ১২ দল মহানবী হযরত মুহম্মদ (স) কে কটূক্তি করে চলচ্চিত্র নির্মাণ, নারীনীতি ও ফতোয়া সম্পর্কে উচ্চ আদালতের দেয়া রায় বাতিলসহ নানা ইস্যুতে শনিবার রাজধানীতে সভা সমাবেশ, মিছিলসহ নানা কর্মসূচী ঘোষণা করে। কর্মসূচীতে নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ তা বাতিল করে। এরপর পুলিশের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে কর্মসূচী পালনকালে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কর্মসূচী পালনকারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ৫২ জনকে এবং পরে আরও ২৫ জনকে আটক করে।
যানবাহনে ভাংচুরে ও অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দ্রুতবিচার আইনে শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় পৃথক ২টি মামলা হয়। মামলার বাদী হন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা। তিনি মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করেন। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করেন। আটক হওয়া ৭৭ জনের মধ্যে ৩৬ জনকে শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাকিদের রবিবার সকালে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
মামলায় খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির আহমেদুল্লাহ আশরাফ, ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ নেজামী, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান ও খেলাফত আন্দোলনের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয় শনিবারের হামলায় পুলিশের প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর মোঃ শহীদ আহত হন। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা পুলিশের প্রিজনভ্যানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সরকারী প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
আমাদের কোর্ট রিপোর্টার জানান, শাহবাগ থানার পৃথক ২টি মামলায় খেলাফত আন্দোলনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুলসহ ৩২ নেতাকর্মীকে সিএমএম আদালতের বিচারক শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান ও সাইফুর রহমানের আদালতে সোর্পদ করে প্রতিটি মামলায় ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা ও মোক্তার হোসেন। আদালত বিচারকদ্বয় ৩০ জনকে প্রতিটি মামলায় ১ দিন করে ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে বিচারক খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির আহমেদুল্লাহ আশরাফ ও ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ নেজামীর রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগে পুলিশের সঙ্গে হরতাল সর্মথকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সকাল ৭টার দিকে মীরহাজীরাবাগে ৫০ থেকে ৬০ জন হরতাল সমর্থনকারী জোরপূর্বক রাস্তায় নামার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থনকারীদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। হরতাল সমর্থনকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে হরতাল সমর্থনকারীরা মীরহাজীরবাগের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের ওপর লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। হামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রুহুল আমীনসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ এ সময় প্রথম দফায় ১২ জন এবং পরে আরও ২৬ জনকে সর্বমোট ৩৮ জনকে আটক করে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আবুল কাসেম জনকণ্ঠকে জানান, পুলিশ সদস্য আহত এবং সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আটককৃত ৩৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও প্রায় ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
যানবাহনে ভাংচুরে ও অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দ্রুতবিচার আইনে শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় পৃথক ২টি মামলা হয়। মামলার বাদী হন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা। তিনি মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করেন। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করেন। আটক হওয়া ৭৭ জনের মধ্যে ৩৬ জনকে শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাকিদের রবিবার সকালে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
মামলায় খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির আহমেদুল্লাহ আশরাফ, ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ নেজামী, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান ও খেলাফত আন্দোলনের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয় শনিবারের হামলায় পুলিশের প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর মোঃ শহীদ আহত হন। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা পুলিশের প্রিজনভ্যানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সরকারী প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
আমাদের কোর্ট রিপোর্টার জানান, শাহবাগ থানার পৃথক ২টি মামলায় খেলাফত আন্দোলনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুলসহ ৩২ নেতাকর্মীকে সিএমএম আদালতের বিচারক শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান ও সাইফুর রহমানের আদালতে সোর্পদ করে প্রতিটি মামলায় ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা ও মোক্তার হোসেন। আদালত বিচারকদ্বয় ৩০ জনকে প্রতিটি মামলায় ১ দিন করে ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে বিচারক খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির আহমেদুল্লাহ আশরাফ ও ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ নেজামীর রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগে পুলিশের সঙ্গে হরতাল সর্মথকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সকাল ৭টার দিকে মীরহাজীরাবাগে ৫০ থেকে ৬০ জন হরতাল সমর্থনকারী জোরপূর্বক রাস্তায় নামার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থনকারীদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। হরতাল সমর্থনকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে হরতাল সমর্থনকারীরা মীরহাজীরবাগের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের ওপর লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। হামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রুহুল আমীনসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ এ সময় প্রথম দফায় ১২ জন এবং পরে আরও ২৬ জনকে সর্বমোট ৩৮ জনকে আটক করে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আবুল কাসেম জনকণ্ঠকে জানান, পুলিশ সদস্য আহত এবং সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আটককৃত ৩৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও প্রায় ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
No comments