কাউন্সিলরকে স্যান্ডেল দিয়ে পিটিয়েছেন সাংসদ শাহরিয়ার!
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাংসদ শাহরিয়ার আলম পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে এক পৌর কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের নেতাকে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সাংসদ শাহরিয়ারের দাবি, মাদ্রাসার এক তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় তিনি বড় ভাই হিসেবে ওই নেতাকে ‘শাসন’ করেছেন।
ঘটনার শিকার মুক্তার আলী বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর যুবলীগের সভাপতি। তিনি আড়ানী পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আড়ানী পৌর এলাকার উম্মে কাছেমুল উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও একজন সদস্য গতকাল সোমবার একটি আবেদন নিয়ে সাংসদ শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান। তাঁরা সাংসদের সঙ্গে কথা বলে বের হওয়ার সময় পৌর কাউন্সিলর মুক্তার আলী ওই বাড়িতে ঢুকছিলেন। এ সময় তাঁরা মুক্তারকে সালাম দিলে মুক্তার নানা কটূক্তি করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ফিরে গিয়ে সাংসদের কাছে নালিশ করেন। এরপর সাংসদ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর পায়ের স্যান্ডেল খুলে মুক্তারকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
কাউন্সিলর মুক্তার প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, ওই কওমি মাদ্রাসায় জেএমবির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই মাদ্রাসার সভাপতি সাংসদের আত্মীয় হওয়ায় বিভিন্ন সময় তিনি (মুক্তার) প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। এই প্রতিবাদের জন্য সাংসদ তাঁকে নাজেহাল করেছেন। তিনি দাবি করেন, গতকালের ঘটনার সময় তিনি ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের কিছুই বলেননি।
জেএমবির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ওই মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এলাকার সবাই তাঁর মাদ্রাসা সম্পর্কে জানে। তিনি জানান, মাদ্রাসার একটি ছেলে মুক্তারের বাগানে পড়ে থাকা একটি আম নিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার পরও মুক্তার তাঁকে ডেকে নিয়ে অপমান করেছেন। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে থানায় জানিয়েছেন। এর পর থেকে মুক্তার তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
সাংসদ শাহরিয়ার বলেন, মুক্তার তাঁর দলের একজন কর্মী এবং কাছের মানুষ। তাঁকে তিনিই পৌর যুবলীগের সভাপতি করেছেন। মাদ্রাসার এক হুজুরের সঙ্গে এর আগেও মুক্তার খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। তাই বড় ভাই হিসেবে তাঁকে শাসন করেছেন।
কাউন্সিলর মুক্তার প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, ওই কওমি মাদ্রাসায় জেএমবির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই মাদ্রাসার সভাপতি সাংসদের আত্মীয় হওয়ায় বিভিন্ন সময় তিনি (মুক্তার) প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। এই প্রতিবাদের জন্য সাংসদ তাঁকে নাজেহাল করেছেন। তিনি দাবি করেন, গতকালের ঘটনার সময় তিনি ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের কিছুই বলেননি।
জেএমবির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ওই মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এলাকার সবাই তাঁর মাদ্রাসা সম্পর্কে জানে। তিনি জানান, মাদ্রাসার একটি ছেলে মুক্তারের বাগানে পড়ে থাকা একটি আম নিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার পরও মুক্তার তাঁকে ডেকে নিয়ে অপমান করেছেন। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে থানায় জানিয়েছেন। এর পর থেকে মুক্তার তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
সাংসদ শাহরিয়ার বলেন, মুক্তার তাঁর দলের একজন কর্মী এবং কাছের মানুষ। তাঁকে তিনিই পৌর যুবলীগের সভাপতি করেছেন। মাদ্রাসার এক হুজুরের সঙ্গে এর আগেও মুক্তার খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। তাই বড় ভাই হিসেবে তাঁকে শাসন করেছেন।
No comments