উত্তরায় আলাউদ্দিন টাওয়ারে আগুন-হতাহত ও নিখোঁজের খবর নেই
রাজধানীর উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরে গতকাল রবিবার রাতে 'ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার' নামে এক বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ১৬ তলা ভবনটির ছয় তলা পর্যন্ত মার্কেট ও ওপরে আবাসিক ফ্ল্যাট রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনটিতে অর্ধশতাধিক মানুষ আটকা পড়েন বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
দুই ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভবন থেকে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়া সাতজনসহ ২৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। কোনো প্রাণহানি হয়নি বলে দাবি করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
তবে গভীর রাত পর্যন্ত ভবনটির ব্যবসায়ী, বাসিন্দা, সংবাদকর্মীসহ কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কারণে আগুনে নিহত হওয়ার বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে কেউ নিখোঁজ আছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কোনো হতাহত হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনে আপাতত প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাল (আজ) দুপুর ১২টার দিকে তদন্ত কমিটি মার্কেটটি পরিদর্শন করবে। এরপর ভবনের কর্তৃপক্ষকে তা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।'
রাতে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা আনজুম রশিদ জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের রাজলক্ষ্মী এলাকার ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ারের আন্ডরগ্রাউন্ডে আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিচ তলার জেনারেটর কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আর বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলাউদ্দিন টাওয়ারের নিচের অংশে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া দেখা যায়। দ্বিতীয় থেকে ওপরের কয়েকটি তলার লোকজন দ্রুত রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ফ্ল্যাটের অনেক বাসিন্দাই আটকা পড়েন। ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকেই বেশি আগুনের শিখা দেখা গেছে। রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে ভবনে আর আগুনের শিখা দেখা যায়নি। তবে ধোঁয়া বের হতে থাকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের বিভিন্ন তলা ও ছাদে আটকা পড়া মানুষের আহাজারিতে ব্যাপক উৎকণ্ঠা। রাত সাড়ে ৮টার পর ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা মই দিয়ে ভবনটিতে আটকা পড়া লোকজনকে নামিয়ে আনতে শুরু করেন। মাইকিং করে আটকা পড়া মানুষকে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিতে বলা হয়।
ভবনের পঞ্চম তলার 'প্রভাতী পার্ল হাউজ' নামে একটি স্বর্ণের দোকানের মালিক সুবোধ কর্মকার জানান, গতকাল হরতালের কারণে মার্কেটের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। আগুন লাগার পর সব ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা নিরাপদে বের হয়েছেন বলে জেনেছেন তিনি। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কী অবস্থা তা জানেন না সুবোধ।
ষষ্ঠ তলার খাবারের দোকান এসএফসির মালিক ফয়সাল আহমেদ পলাশ বলেন, আগুন লাগার পর দোকানের কর্মচারীসহ ১৩ জনকে নিয়ে তিনিই সবার শেষে ভবন থেকে বের হন। তিনি জানান, আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ হয়। পরে দুই তলায়ও আগুন দেখা গেছে। ঝাঁঝালো ধোঁয়া ছিল চারদিকে।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির লিফটম্যান সাইদুল ইসলাম জানান, নিচ তলার জেনারেটর বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এ সময় ভবনের বেসমেন্টে পার্ক করা কয়েকটি গাড়িও পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, নিচ তলার জেনারেটর থেকে আগুনের সূত্রপাত। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি জানা যায়নি। ধোঁয়ায় সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়া সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাদ ও বিভিন্ন ফ্লোর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২২ জনকে। প্রাণহানির খবরের ভিত্তি নেই।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, উদ্ধার ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি অসুস্থ পঞ্চম তলার আল আমিন জুয়েলার্সের মালিক মাহফুজুর রহমান। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কয়েকটি টিম উপস্থিত হয়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ছাড়া অন্য টিমগুলো এলাকা ছাড়ে। তবে ওই সময়ও ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি মার্কেটের সামনে ছিল।
মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম দর্জি বলেন, 'ভেতরে কী অবস্থা আমরা জানি না। আমি নিজেও ভেতরে ঢুকতে পারিনি। কাল (আজ) জানানো হবে বলে পুলিশ বলছে।'
পুলিশের উত্তরা অঞ্চলের উপ-কমিশনার নিসারুল আরিফ জানান, আগুন নিচতলায় লাগলেও ধোঁয়ার কারণে আতঙ্ক ছড়ায়। উদ্ধার তৎপরতা চালাতে রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছিল। তারা অসুস্থ কয়েকজনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদ ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। জনগণের যেন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে গভীর রাত পর্যন্ত ভবনটির ব্যবসায়ী, বাসিন্দা, সংবাদকর্মীসহ কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কারণে আগুনে নিহত হওয়ার বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে কেউ নিখোঁজ আছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কোনো হতাহত হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনে আপাতত প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাল (আজ) দুপুর ১২টার দিকে তদন্ত কমিটি মার্কেটটি পরিদর্শন করবে। এরপর ভবনের কর্তৃপক্ষকে তা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।'
রাতে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা আনজুম রশিদ জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের রাজলক্ষ্মী এলাকার ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ারের আন্ডরগ্রাউন্ডে আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিচ তলার জেনারেটর কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আর বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলাউদ্দিন টাওয়ারের নিচের অংশে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া দেখা যায়। দ্বিতীয় থেকে ওপরের কয়েকটি তলার লোকজন দ্রুত রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ফ্ল্যাটের অনেক বাসিন্দাই আটকা পড়েন। ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকেই বেশি আগুনের শিখা দেখা গেছে। রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে ভবনে আর আগুনের শিখা দেখা যায়নি। তবে ধোঁয়া বের হতে থাকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের বিভিন্ন তলা ও ছাদে আটকা পড়া মানুষের আহাজারিতে ব্যাপক উৎকণ্ঠা। রাত সাড়ে ৮টার পর ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা মই দিয়ে ভবনটিতে আটকা পড়া লোকজনকে নামিয়ে আনতে শুরু করেন। মাইকিং করে আটকা পড়া মানুষকে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিতে বলা হয়।
ভবনের পঞ্চম তলার 'প্রভাতী পার্ল হাউজ' নামে একটি স্বর্ণের দোকানের মালিক সুবোধ কর্মকার জানান, গতকাল হরতালের কারণে মার্কেটের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। আগুন লাগার পর সব ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা নিরাপদে বের হয়েছেন বলে জেনেছেন তিনি। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কী অবস্থা তা জানেন না সুবোধ।
ষষ্ঠ তলার খাবারের দোকান এসএফসির মালিক ফয়সাল আহমেদ পলাশ বলেন, আগুন লাগার পর দোকানের কর্মচারীসহ ১৩ জনকে নিয়ে তিনিই সবার শেষে ভবন থেকে বের হন। তিনি জানান, আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ হয়। পরে দুই তলায়ও আগুন দেখা গেছে। ঝাঁঝালো ধোঁয়া ছিল চারদিকে।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির লিফটম্যান সাইদুল ইসলাম জানান, নিচ তলার জেনারেটর বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এ সময় ভবনের বেসমেন্টে পার্ক করা কয়েকটি গাড়িও পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, নিচ তলার জেনারেটর থেকে আগুনের সূত্রপাত। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি জানা যায়নি। ধোঁয়ায় সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়া সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাদ ও বিভিন্ন ফ্লোর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২২ জনকে। প্রাণহানির খবরের ভিত্তি নেই।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, উদ্ধার ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি অসুস্থ পঞ্চম তলার আল আমিন জুয়েলার্সের মালিক মাহফুজুর রহমান। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কয়েকটি টিম উপস্থিত হয়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ছাড়া অন্য টিমগুলো এলাকা ছাড়ে। তবে ওই সময়ও ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি মার্কেটের সামনে ছিল।
মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম দর্জি বলেন, 'ভেতরে কী অবস্থা আমরা জানি না। আমি নিজেও ভেতরে ঢুকতে পারিনি। কাল (আজ) জানানো হবে বলে পুলিশ বলছে।'
পুলিশের উত্তরা অঞ্চলের উপ-কমিশনার নিসারুল আরিফ জানান, আগুন নিচতলায় লাগলেও ধোঁয়ার কারণে আতঙ্ক ছড়ায়। উদ্ধার তৎপরতা চালাতে রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছিল। তারা অসুস্থ কয়েকজনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদ ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। জনগণের যেন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
No comments