রেলের ভাড়া বাস্তবে বাড়ছে ১১৫ শতাংশ! by ভূঁইয়া নজরুল
প্রায় ২০ বছর পর বাড়ানো রেলের ভাড়ায় 'শুভঙ্করের ফাঁকি' রয়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়লেও প্রকৃতপক্ষে বাড়ছে সর্বোচ্চ ১১৫ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়ায় 'অজুহাত' হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে বিশেষ রেয়াত সুবিধা কর্তন।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর এ বর্ধিত ভাড়া অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১৫০ টাকার শোভন চেয়ারের ভাড়া হবে ৩২০ টাকা। ভাড়া বৃদ্ধির এই হার প্রায় ১১৫ শতাংশ। বাড়তি ভাড়া শুধু শোভন চেয়ারে নয়, সব শ্রেণীর কোচের জন্য প্রযোজ্য।
তবে একই সময়ে রেয়াত সুবিধা বাতিল ও ৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধিতে রেলের ভাড়া ১১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তাফাজ্জল হোসেন।
রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রেলের ভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেও রেয়াত সুবিধা বাতিলের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি বলে কমিটি সূত্র জানায়। এই বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রেয়াতের বিষয়টি রেলের কোনো কর্মকর্তা আমাদের অবহিত করেননি। রেয়াত আগে যে ধরনের ছিল, এখনো সেই ধরনের থাকার কথা। আমরা শুধু রেলের সেবার মান বাড়িয়ে বর্তমান ভাড়ার ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিলাম।'
মতিউর রহমান আরো বলেন, 'রেলের ভাড়া বেশি হলে দেশের মানুষ কষ্ট পাবে। তাদের কথা বিবেচনা করে ২০ বছর পর আমরা এই ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলাম।'
রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ১ মার্চ রেলের ভাড়া বৃদ্ধির পর যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে বর্ধিত ভাড়ার ওপর সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। আর এই সুবিধার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে শোভন চেয়ারের ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা দিয়ে ২১৩ টাকার ভাড়া কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর এই ভাড়ায় যাত্রীরা যাতায়াত করতেন। একইভাবে শোভন, প্রথম শ্রেণী, প্রথম শ্রেণী সিট, প্রথম শ্রেণী বার্থ, স্নিগ্ধা, এসি সিট ও এসি বার্থ সব শ্রেণীর টিকিটের ক্ষেত্রে এই রেয়াত সুবিধা ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট ছাড়াও রেলের পূর্ব ও পশ্চিম দুই অঞ্চলের সব রুটের ট্রেনেই এই সুবিধা ছিল।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন রুটে রেলের বর্ধিত ভাড়া কেমন হবে তা জানতে গতকাল রবিবার সকালে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের সদর দপ্তর সিআরবির বাণিজ্যিক বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা পর্যন্ত সবাই রেলের বর্ধিত ভাড়া তৈরিতে ব্যস্ত। ইতিমধ্যে বর্ধিত ভাড়ার নতুন নীতিমালা সব রেলওয়ে স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বর্ধিত ভাড়ার বিষয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তৎকালীন সরকার রেলের ভাড়ার ওপরে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত রেয়াত সুবিধা দেওয়ায় রেলের বিভিন্ন রুটে ভাড়া কমে গিয়েছিল। কিন্তু এখন ৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি অবশ্যই রেলের মূল ভাড়ার ওপরে বাড়ানো হচ্ছে।'
একই সময়ে রেয়াত সুবিধা বাতিল করা ও ৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধিতে রেলের ভাড়া বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে। এতে রেলের যাত্রী পরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, 'রেলের বর্ধিত ভাড়া সড়ক পরিবহনের তুলনায় এখনো অনেক কম। তা ছাড়া ট্রেনে যাত্রী সুবিধা বেশি বলে অবশ্যই যাত্রীরা রেলপথে ভ্রমণ করবেন। আর রেয়াতের বিষয়টি সরকারই বিবেচনা করবে।'
রেলের ভাড়া বাড়লে সেবার মান বাড়বে- এই নিশ্চয়তা রেল কর্তৃপক্ষ দেবে কি না তা ভাবতে হবে জানিয়ে বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, '৫০ শতাংশের বেশি ভাড়া কখনো জনগণ মেনে নিবে না। এতে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। সেবার মান নিশ্চিত করে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। তবে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাসের ভাড়া আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে।'
রেলের নতুন ভাড়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আন্তনগর ট্রেনের শোভন ১২৫ থেকে বেড়ে ২৬৫, শোভন চেয়ার ১৫০ থেকে ৩২০, প্রথম শ্রেণী সিট ২৯০ থেকে ৪২৫, প্রথম শ্রেণী বার্থ ৪৫৫ থেকে ৬৩৫, স্নিগ্ধা ৩৮০ থেকে ৬১০, এসি সিট ৪৯৫ থেকে ৭৩১, এসি বার্থ ৭৫৬ থেকে ১১৪৩ টাকা হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট রুটে আন্তনগর ট্রেনের শোভন ১৫০ থেকে ২৪৫, শোভন চেয়ার ১৮০ থেকে ২৯৫, প্রথম শ্রেণী চেয়ার ২৭০ থেকে ৩৯৫, প্রথম শ্রেণী বার্থ ৪২৫ থেকে ৫৯০, স্নিগ্ধা ৪৬০ থেকে ৫৬৪, এসি সিট ৪৬০ থেকে ৬৮৯ ও এসি বার্থ ৬৯৮ থেকে ১০৫৮ টাকা। ঢাকা-রাজশাহী রুটে আন্তনগর ট্রেনের শোভন চেয়ার ১৬৫ থেকে ৩১৫, স্নিগ্ধা ৩৩৪ থেকে ৬০৫, এসি সিট ৪৬৬ থেকে ৭২৫ ও এসি বার্থ ৬৮০ থেকে ১০৮৫ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার ১৬৫ থেকে ৩৫৫ ও এসি সিট ৩৮০ থেকে ৬৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত রেলের ভাড়া ১৬ দফা বাড়ানো হলেও গত ২০ বছরে কোনো ভাড়া বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এই সময়ে জ্বালানি তেলের দাম ৪২০ শতাংশ বেড়েছে এবং কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বেড়েছে। আর এ জন্যই রেলের ভাড়া বৃদ্ধির জন্য সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছিল।
তবে একই সময়ে রেয়াত সুবিধা বাতিল ও ৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধিতে রেলের ভাড়া ১১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তাফাজ্জল হোসেন।
রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রেলের ভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেও রেয়াত সুবিধা বাতিলের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি বলে কমিটি সূত্র জানায়। এই বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রেয়াতের বিষয়টি রেলের কোনো কর্মকর্তা আমাদের অবহিত করেননি। রেয়াত আগে যে ধরনের ছিল, এখনো সেই ধরনের থাকার কথা। আমরা শুধু রেলের সেবার মান বাড়িয়ে বর্তমান ভাড়ার ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিলাম।'
মতিউর রহমান আরো বলেন, 'রেলের ভাড়া বেশি হলে দেশের মানুষ কষ্ট পাবে। তাদের কথা বিবেচনা করে ২০ বছর পর আমরা এই ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলাম।'
রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ১ মার্চ রেলের ভাড়া বৃদ্ধির পর যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে বর্ধিত ভাড়ার ওপর সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। আর এই সুবিধার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে শোভন চেয়ারের ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা দিয়ে ২১৩ টাকার ভাড়া কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর এই ভাড়ায় যাত্রীরা যাতায়াত করতেন। একইভাবে শোভন, প্রথম শ্রেণী, প্রথম শ্রেণী সিট, প্রথম শ্রেণী বার্থ, স্নিগ্ধা, এসি সিট ও এসি বার্থ সব শ্রেণীর টিকিটের ক্ষেত্রে এই রেয়াত সুবিধা ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট ছাড়াও রেলের পূর্ব ও পশ্চিম দুই অঞ্চলের সব রুটের ট্রেনেই এই সুবিধা ছিল।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন রুটে রেলের বর্ধিত ভাড়া কেমন হবে তা জানতে গতকাল রবিবার সকালে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের সদর দপ্তর সিআরবির বাণিজ্যিক বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা পর্যন্ত সবাই রেলের বর্ধিত ভাড়া তৈরিতে ব্যস্ত। ইতিমধ্যে বর্ধিত ভাড়ার নতুন নীতিমালা সব রেলওয়ে স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বর্ধিত ভাড়ার বিষয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তৎকালীন সরকার রেলের ভাড়ার ওপরে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত রেয়াত সুবিধা দেওয়ায় রেলের বিভিন্ন রুটে ভাড়া কমে গিয়েছিল। কিন্তু এখন ৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি অবশ্যই রেলের মূল ভাড়ার ওপরে বাড়ানো হচ্ছে।'
একই সময়ে রেয়াত সুবিধা বাতিল করা ও ৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধিতে রেলের ভাড়া বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে। এতে রেলের যাত্রী পরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, 'রেলের বর্ধিত ভাড়া সড়ক পরিবহনের তুলনায় এখনো অনেক কম। তা ছাড়া ট্রেনে যাত্রী সুবিধা বেশি বলে অবশ্যই যাত্রীরা রেলপথে ভ্রমণ করবেন। আর রেয়াতের বিষয়টি সরকারই বিবেচনা করবে।'
রেলের ভাড়া বাড়লে সেবার মান বাড়বে- এই নিশ্চয়তা রেল কর্তৃপক্ষ দেবে কি না তা ভাবতে হবে জানিয়ে বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, '৫০ শতাংশের বেশি ভাড়া কখনো জনগণ মেনে নিবে না। এতে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। সেবার মান নিশ্চিত করে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। তবে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাসের ভাড়া আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে।'
রেলের নতুন ভাড়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আন্তনগর ট্রেনের শোভন ১২৫ থেকে বেড়ে ২৬৫, শোভন চেয়ার ১৫০ থেকে ৩২০, প্রথম শ্রেণী সিট ২৯০ থেকে ৪২৫, প্রথম শ্রেণী বার্থ ৪৫৫ থেকে ৬৩৫, স্নিগ্ধা ৩৮০ থেকে ৬১০, এসি সিট ৪৯৫ থেকে ৭৩১, এসি বার্থ ৭৫৬ থেকে ১১৪৩ টাকা হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট রুটে আন্তনগর ট্রেনের শোভন ১৫০ থেকে ২৪৫, শোভন চেয়ার ১৮০ থেকে ২৯৫, প্রথম শ্রেণী চেয়ার ২৭০ থেকে ৩৯৫, প্রথম শ্রেণী বার্থ ৪২৫ থেকে ৫৯০, স্নিগ্ধা ৪৬০ থেকে ৫৬৪, এসি সিট ৪৬০ থেকে ৬৮৯ ও এসি বার্থ ৬৯৮ থেকে ১০৫৮ টাকা। ঢাকা-রাজশাহী রুটে আন্তনগর ট্রেনের শোভন চেয়ার ১৬৫ থেকে ৩১৫, স্নিগ্ধা ৩৩৪ থেকে ৬০৫, এসি সিট ৪৬৬ থেকে ৭২৫ ও এসি বার্থ ৬৮০ থেকে ১০৮৫ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার ১৬৫ থেকে ৩৫৫ ও এসি সিট ৩৮০ থেকে ৬৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত রেলের ভাড়া ১৬ দফা বাড়ানো হলেও গত ২০ বছরে কোনো ভাড়া বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এই সময়ে জ্বালানি তেলের দাম ৪২০ শতাংশ বেড়েছে এবং কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বেড়েছে। আর এ জন্যই রেলের ভাড়া বৃদ্ধির জন্য সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছিল।
No comments