আগামীকাল থেকে অধিবেশন শুরু-সিরিয়া ইরান বিক্ষোভের ছায়া জাতিসংঘ অধিবেশনে
সিরিয়ায় সহিংসতা চলছে। ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র 'ইনোসেন্স অব মুসলিমস'-এর প্রতিবাদে মুসলিম বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বিক্ষোভ।
এসব ঘটনা এবারের জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে বিশেষ ছায়াপাত করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিউ ইয়র্কে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশন। বিশ্বনেতাদের এ আসরে এবার ১২০ দেশেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিচ্ছেন। মহাসচিব বান কি মুন আনুষ্ঠানিকভাবে অধিবেশনের সূচনা করবেন। দেড় বছর ধরে চলমান সিরিয়া সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন কার্যত বিভাজিত। এর পরও এ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনার সূচি রাখা হয়নি এবারের অধিবেশনে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ পশ্চিমা নেতারা সিরিয়ার ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাবেন। ওবামা অধিবেশনের প্রথম দিনের অন্যতম বক্তা।
অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। আরো যোগ দিচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সুতরাং আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৈরীভাবাপন্ন দুই দেশের নেতাদের একে অপরের বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণ এবং এক রাষ্ট্রকে অন্য রাষ্ট্রের আমলে না নেওয়ার মতো কঠোর বাক্যবিনিময়ের ঘটনা ঘটবে। স্টুয়ার্ট প্যাট্রিক নামের এক বিশ্লেষক বলেন, এবারের অধিবেশনের 'জাজ্বল্যমান দুই ইস্যুর' একটি সিরিয়া। অপরটি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি। ওবামার বক্তৃতার আগাম পাওয়া অংশ থেকেও তার আভাস পাওয়া গেছে। ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধের ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।
সিরিয়ার সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমি আজ সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়া ইস্যুতে কথা বলবেন। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার অগ্রগতি সেখানে তুলে ধরবেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতিসংঘের একজন কূটনীতিক বলেন, 'সবাই সিরিয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন, আলোচনা করবেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পেঁৗছাতে পারবেন না।' এ ব্যাপারে বিশেষ কোনো অগ্রগতিও হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা আগামী বুধবার। যদি তিনি গতবারের মতো এবারও ইসরায়েল ইস্যুতে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন, তবে পশ্চিমা প্রতিনিধিদের এবারও তাঁর ভাষণের সময় অধিবেশন ত্যাগ করার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভাষণের পর ইরান ইস্যুতে আলোচনায় বসবেন ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। নেতানিয়াহু জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে গেলেও ওবামার সঙ্গে তাঁর এ যাত্রায় কোনো বৈঠক হচ্ছে না। এতে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির ব্যাপারে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এদিকে আগামী শুক্রবার ওআইসিভুক্ত ৫৭ দেশের নেতারা এক টেবিলে বসবেন। ধারণা করা হচ্ছে, 'ইনোসেন্স অব মুসলিমস' সেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। সূত্র : এএফপি।
নিউ ইয়র্কে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশন। বিশ্বনেতাদের এ আসরে এবার ১২০ দেশেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিচ্ছেন। মহাসচিব বান কি মুন আনুষ্ঠানিকভাবে অধিবেশনের সূচনা করবেন। দেড় বছর ধরে চলমান সিরিয়া সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন কার্যত বিভাজিত। এর পরও এ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনার সূচি রাখা হয়নি এবারের অধিবেশনে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ পশ্চিমা নেতারা সিরিয়ার ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাবেন। ওবামা অধিবেশনের প্রথম দিনের অন্যতম বক্তা।
অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। আরো যোগ দিচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সুতরাং আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৈরীভাবাপন্ন দুই দেশের নেতাদের একে অপরের বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণ এবং এক রাষ্ট্রকে অন্য রাষ্ট্রের আমলে না নেওয়ার মতো কঠোর বাক্যবিনিময়ের ঘটনা ঘটবে। স্টুয়ার্ট প্যাট্রিক নামের এক বিশ্লেষক বলেন, এবারের অধিবেশনের 'জাজ্বল্যমান দুই ইস্যুর' একটি সিরিয়া। অপরটি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি। ওবামার বক্তৃতার আগাম পাওয়া অংশ থেকেও তার আভাস পাওয়া গেছে। ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধের ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।
সিরিয়ার সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমি আজ সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়া ইস্যুতে কথা বলবেন। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার অগ্রগতি সেখানে তুলে ধরবেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতিসংঘের একজন কূটনীতিক বলেন, 'সবাই সিরিয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন, আলোচনা করবেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পেঁৗছাতে পারবেন না।' এ ব্যাপারে বিশেষ কোনো অগ্রগতিও হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা আগামী বুধবার। যদি তিনি গতবারের মতো এবারও ইসরায়েল ইস্যুতে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন, তবে পশ্চিমা প্রতিনিধিদের এবারও তাঁর ভাষণের সময় অধিবেশন ত্যাগ করার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভাষণের পর ইরান ইস্যুতে আলোচনায় বসবেন ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। নেতানিয়াহু জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে গেলেও ওবামার সঙ্গে তাঁর এ যাত্রায় কোনো বৈঠক হচ্ছে না। এতে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির ব্যাপারে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এদিকে আগামী শুক্রবার ওআইসিভুক্ত ৫৭ দেশের নেতারা এক টেবিলে বসবেন। ধারণা করা হচ্ছে, 'ইনোসেন্স অব মুসলিমস' সেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। সূত্র : এএফপি।
No comments