যাত্রাবাড়ীতে যুবককে জবাই ॥ তরুণীর আত্মহত্যা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক যুবককে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। পল্লবীতে এক গার্মেন্টস তরুণী আত্মহত্যা করেছে। নিহতের নাম সোনিয়া (১৭)। পুলিশ জানায়, বাড়িওয়ালা ও বখাটেরা ওই তরুণী গামের্ন্টস কর্মীকে চড়থাপ্পড় ও কুৎসা রটনার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
সবুজবাগে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রামপুরায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। তেজগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টায় পুলিশ উত্তর যাত্রাবাড়ীর ডলফিন গলি থেকে মোঃ মঙ্গল মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমরানুল ইসলাম জানান, নিহত মঙ্গল মিয়া যাত্রাবাড়ী এলাকার কেবল টিভি সংযোগদাতা রশিদ বক্সের হয়ে কাজ করত। সে ওই এলাকার কেবল টিভি সংযোগের লাইনম্যান ছিল। তিনি আরও জানান, মৃতদেহের তাজা রক্ত দেখে মনে হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা ভোরে ওই গলিতেই তাকে জবাই করে। নির্জন ওই গলির আশপাশে কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন রয়েছে। এসআই এমরানুল ইসলাম আরও জানান, তিন মাস আগে রশিদ বক্স বাদী হয়ে মঙ্গল মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। এরপর থেকে মঙ্গল মিয়া পলাতক ছিল। এ ব্যাপারে রশিদ বক্স পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই মামলার পর থেকে মঙ্গল আর তার সঙ্গে কাজ করত না। নিহতের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনায়। নিহত মঙ্গল উত্তর যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া থাকত। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ পল্লবী থানাধীন ১২ নম্বর সেকশনের ৩ নম্বর রোডের ২৬০ নম্বর রোকেয়া বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়ার কক্ষের ফ্লোর থেকে সোনিয়া (১৭) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, সোনিয়া একটি গার্মেন্টসে অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল। রোকেয়া পল্লবীর ওই বাড়িতে র্দীঘদিন ভাড়া থাকত। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সোনিয়ার রুমে তার খালাত ভাই সুজন বেড়াতে আসে। তারা রুমে বসে গল্প করছিল। এ সময় বাড়িওয়ালী রোকেয়া বেগম খারাপ সন্দেহ করে এলাকার বখাটেদের তার বাড়িতে ডেকে আনে। এ সময় বখাটেরা সোনিয়াকে অশ্লীল কথা বলে গালমন্দ করে। পরে বখাটেরা সোনিয়ার সামনে তার খালাত ভাই সুজনকে বেদম প্রহার করে। এতে সোনিয়া প্রতিবাদ করলে বাড়িওয়ালী ও তার সন্তানরা সোনিয়াকেও মারধর করে।
স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়, ওইদিন বিকেলে সোনিয়াকে পুনরায় বাড়িওয়ালী ও তার সন্তানরা অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলে ও তাকে চড়থাপ্পড় দেয়। এতে সোনিয়া অভিমান ও ক্ষোভে ঘরে প্রবেশ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। নিহতের পিতার নাম সালাম শিকদার। গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার দুর্গাপুরে।
একই সময় পুলিশ সবুজবাগ থানাধীন মাদারটেক আদর্শপাড়ার ১৬৬/১২/৪ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলার রুম থেকে লতিকা রানী সরকার (৩৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। সবুজবাগ থানার এসআই বিকাশ চন্দ্র ঘোষ জানান, নিহত লতিকা রাজধানীর শাহবাগ থানার এসআই হিরেন্দ্র নাথ প্রামাণিকের স্ত্রী। তিনি সপরিবারে মাদারটেক আদর্শনগরের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। তিনি আরও জানান, শুক্রবার রাতে ডিউটি শেষে হিরেন্দ্র বাসায় ফিরে তাঁর স্ত্রী লতিকা রানী সরকারকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি সবুজবাগ থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। এসআই বিকাশ আরও জানান, লতিকা রানীর হাতের কনুই থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত জমাট রক্ত পাওয়া গেছে। নিহতের বড় ভাই অমরেশ সরকার জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে লতিকা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। নিহতের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার কামনগরে।
অপরদিকে শনিবার দুপুরে পুলিশ রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ৪২১/বি নম্বর বাড়ির থেকে মিজানুর রহমান (২২) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে মিজানুর আড়ার সঙ্গে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পিতার নাম আঃ হালিম। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার উলআলীতে। অন্যদিকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও এফডিসি রেললাইনে ট্রেনে ধাক্কায় নাজমুল হোসেন নান্নু (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বন্ধু জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মিরপুরের মাজার রোডে তাঁর বাসা। শুক্রবার বিকেলে নাজমুল সিরাজগঞ্জ থেকে তাঁর বাসায় বেড়াতে আসেন। তিনি জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও রেললাইন দিয়ে দুই বন্ধু হেঁটে মগবাজারে দিকে যাচ্ছিলেন। এফডিসি এলাকায় পৌঁছলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেন নান্নুকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যান। পরে নান্নুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টায় পুলিশ উত্তর যাত্রাবাড়ীর ডলফিন গলি থেকে মোঃ মঙ্গল মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমরানুল ইসলাম জানান, নিহত মঙ্গল মিয়া যাত্রাবাড়ী এলাকার কেবল টিভি সংযোগদাতা রশিদ বক্সের হয়ে কাজ করত। সে ওই এলাকার কেবল টিভি সংযোগের লাইনম্যান ছিল। তিনি আরও জানান, মৃতদেহের তাজা রক্ত দেখে মনে হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা ভোরে ওই গলিতেই তাকে জবাই করে। নির্জন ওই গলির আশপাশে কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন রয়েছে। এসআই এমরানুল ইসলাম আরও জানান, তিন মাস আগে রশিদ বক্স বাদী হয়ে মঙ্গল মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। এরপর থেকে মঙ্গল মিয়া পলাতক ছিল। এ ব্যাপারে রশিদ বক্স পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই মামলার পর থেকে মঙ্গল আর তার সঙ্গে কাজ করত না। নিহতের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনায়। নিহত মঙ্গল উত্তর যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া থাকত। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ পল্লবী থানাধীন ১২ নম্বর সেকশনের ৩ নম্বর রোডের ২৬০ নম্বর রোকেয়া বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়ার কক্ষের ফ্লোর থেকে সোনিয়া (১৭) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, সোনিয়া একটি গার্মেন্টসে অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল। রোকেয়া পল্লবীর ওই বাড়িতে র্দীঘদিন ভাড়া থাকত। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সোনিয়ার রুমে তার খালাত ভাই সুজন বেড়াতে আসে। তারা রুমে বসে গল্প করছিল। এ সময় বাড়িওয়ালী রোকেয়া বেগম খারাপ সন্দেহ করে এলাকার বখাটেদের তার বাড়িতে ডেকে আনে। এ সময় বখাটেরা সোনিয়াকে অশ্লীল কথা বলে গালমন্দ করে। পরে বখাটেরা সোনিয়ার সামনে তার খালাত ভাই সুজনকে বেদম প্রহার করে। এতে সোনিয়া প্রতিবাদ করলে বাড়িওয়ালী ও তার সন্তানরা সোনিয়াকেও মারধর করে।
স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়, ওইদিন বিকেলে সোনিয়াকে পুনরায় বাড়িওয়ালী ও তার সন্তানরা অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলে ও তাকে চড়থাপ্পড় দেয়। এতে সোনিয়া অভিমান ও ক্ষোভে ঘরে প্রবেশ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। নিহতের পিতার নাম সালাম শিকদার। গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার দুর্গাপুরে।
একই সময় পুলিশ সবুজবাগ থানাধীন মাদারটেক আদর্শপাড়ার ১৬৬/১২/৪ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলার রুম থেকে লতিকা রানী সরকার (৩৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। সবুজবাগ থানার এসআই বিকাশ চন্দ্র ঘোষ জানান, নিহত লতিকা রাজধানীর শাহবাগ থানার এসআই হিরেন্দ্র নাথ প্রামাণিকের স্ত্রী। তিনি সপরিবারে মাদারটেক আদর্শনগরের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। তিনি আরও জানান, শুক্রবার রাতে ডিউটি শেষে হিরেন্দ্র বাসায় ফিরে তাঁর স্ত্রী লতিকা রানী সরকারকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি সবুজবাগ থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। এসআই বিকাশ আরও জানান, লতিকা রানীর হাতের কনুই থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত জমাট রক্ত পাওয়া গেছে। নিহতের বড় ভাই অমরেশ সরকার জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে লতিকা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। নিহতের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার কামনগরে।
অপরদিকে শনিবার দুপুরে পুলিশ রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ৪২১/বি নম্বর বাড়ির থেকে মিজানুর রহমান (২২) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে মিজানুর আড়ার সঙ্গে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পিতার নাম আঃ হালিম। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার উলআলীতে। অন্যদিকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও এফডিসি রেললাইনে ট্রেনে ধাক্কায় নাজমুল হোসেন নান্নু (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বন্ধু জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মিরপুরের মাজার রোডে তাঁর বাসা। শুক্রবার বিকেলে নাজমুল সিরাজগঞ্জ থেকে তাঁর বাসায় বেড়াতে আসেন। তিনি জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও রেললাইন দিয়ে দুই বন্ধু হেঁটে মগবাজারে দিকে যাচ্ছিলেন। এফডিসি এলাকায় পৌঁছলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেন নান্নুকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যান। পরে নান্নুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
No comments