অবৈধ ভিওআইপি-বিটিসিএলকে দায়ী করল বিটিআরসি by রেজা রায়হান
এত দিন রেখে-ঢেকে বলা হলেও এবার আন্তর্জাতিক আগমনী (ইনকামিং) কল অর্ধেকে নেমে আসায় অবৈধ ভিওআইপির (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কম্পানি লিমিটেডকে (বিটিসিএল) সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আন্তর্জাতিক কল হ্রাসের কারণ জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো কার্যপত্রে সরাসরি বিটিসিএলকে দায়ী করেছে। সংসদীয় কমিটির সভা আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হবে।
বিটিসিএলের অবৈধ ভিওআইপির কারণে বৈদেশিক কল এক বছরে বৃদ্ধির পরিবর্তে অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত বছরের অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ কোটি ২০ লাখ মিনিট বৈদেশিক কল এলেও গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাত্র দুই কোটি ৫২ লাখ মিনিট কল এসেছে। এ অবস্থায় সংসদীয় কমিটির আজকের সভায় নতুন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন অবৈধ ভিওআইপির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থার ঘোষণা দেন সেটাই দেখার বিষয়। সাবেক মন্ত্রী রাজি উদ্দিন রাজুর নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে তিনি বিটিসিএলে বড় ধরনের রদবদল করতে পারেন বলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় রদবদলের পরপরই রাজু পেছনের তারিখ দিয়ে বিটিসিএলের চলতি দায়িত্বের এমডিকে অবৈধভাবে স্থায়ী নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়মানুযায়ী বিটিসিএল বোর্ড এমডি নিয়োগ দেবে। এ জন্য দুই দফা বিজ্ঞাপন দিয়ে দুই বার সাক্ষাৎকার নিয়েও এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যোগ্যতার অভাবে যিনি আবেদন করতেই পারেননি, মন্ত্রী অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তাঁকেই নিয়োগ দিয়ে গেছেন। তবে বিটিসিএলের দুই সাবেক এমডির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টেলিকম ক্যাডার কর্মকর্তাকে এমডি নিয়োগের ক্ষমতা মন্ত্রীর নেই। এ নিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিই দিতে পারেন। ফলে তা অবৈধ বলে কথা উঠেছে। অবশ্য নতুন মন্ত্রীর ওপরই সব কিছু নির্ভর করছে।
গত ১ আগস্ট সংসদীয় কমিটির সভায় সভাপতি হাসানুল হক ইনু অবৈধ ভিওআইপিসহ বিটিসিএলের সার্বিক ব্যবস্থাপনার ওপর আলোচনার সূত্রপাত করে আন্তর্জাতিক কল দৈনিক পাঁচ কোটি মিনিট থেকে কমে তিন কোটি মিনিটে নেমে গেল কেন, তা জানতে চান। তিনি সে সময় এমডির অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী মো. আজিজুল ইসলামকে সংস্থাটির অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা, কল টার্মিনেশন সিডিআরে রেকর্ড না হওয়া, অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে বিটিসিএলের বদনাম ইত্যাদি বিষয়ে কমিটিকে অবহিত করার আহ্বান জানান। তবে এমডি এসব বিষয়ে কোনো কথাই বলেননি। বিটিআরসির তদানীন্তন চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ (সম্প্রতি প্রয়াত) সংসদীয় কমিটির ওই সভায় বলেন, বিটিসিএলের কাছে বিটিআরসির এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা পাওনা আছে। বারবার তাগাদা দিয়েও জবাব পাওয়া যায় না।
এই প্রেক্ষাপটে বিটিআরসির তৈরি আজকের সভার কার্যপত্রে অবৈধ ভিওআইপির জন্য বিটিসিএলকে দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে : দীর্ঘদিন যাবৎ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল আন্তর্জাতিক কল পরিচালনা করলেও পুরনো যন্ত্রপাতি ও জনবলের সীমাবদ্ধতা, সঠিকভাবে কল পরিচালনায় উদাসীনতার কারণে কল বাইপাসের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন ও বিটিসিএলের তথ্যাদি পর্যালোচনা করে এর সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটি এবং ডিএনসিসির সভায় অভিযোগ করা হলেও বিটিসিএল সব সময়ই নিরুত্তর থেকেছে।
অবৈধ ভিওআইপির বিষয়ে বিটিসিএলকে বিটিআরসি বিভিন্ন সময়ে অনেকবার নির্দেশনা ও চিঠি দিলেও প্রতিষ্ঠানটি কোনো সহযোগিতা করেনি। ফলে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা যায়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিসিএলের স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল।
কার্যপত্রে বলা হয়, বিটিসিএলের ইন্টারন্যাশনাল ট্রাংক এক্সচেঞ্জ (আইটিএক্স)-৫, ৬ ও ৭ টিডিএম-ভিত্তিক এবং এর বিলিং পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয় না হওয়ায় সিস্টেমটি সমন্বিত নয়। ফলে কলের প্রকৃত পরিমাণ বা সংখ্যা পাওয়া যায় না। স্বয়ংক্রিয় না হওয়ায় 'বিলিং ডাটা'য় পরিবর্তনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে। ২০০৭ সালে আইএলডিটিএস নীতিমালা অনুযায়ী বিটিসিএল একই সঙ্গে আন্তসংযোগ (আইসিএক্স) লাইসেন্সপ্রাপ্ত। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ আইসিএক্স না হওয়ায় বিটিআরসির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক কল মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে না।
কার্যপত্রে বলা হয়, বিটিআরসি ২০০৮ থেকে আইসিএক্স স্থাপনের জন্য বারবার পত্র দিলেও বিটিসিএল এটি ক্রয়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানায়। অবশেষে ২০১১ সালে যে এনজিএন ট্রাংক এক্সচেঞ্জ স্থাপন করেছে. তাতেও তথ্য পরিবর্তনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে। বিটিসিএলের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েকে (আইজিডাব্লিউ) আন্তর্জাতিক ট্রাফিকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসটিএম-১ সংযোগ ব্যবহার নিশ্চিত করা বাঞ্ছনীয়। বিটিসিএলের বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কলের পরিমাণের (নিট এক কোটি মিনিটের নিচে) তুলনায় ৫৮টি এসটিএম-১ সংযোগ অযৌক্তিক। প্রায় সমপরিমাণ কলের জন্য বেসরকারি আইজিডাব্লিউগুলোর মোট ১৪টি এসটিএম-১ সংযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত এসটিএম-১ সংযোগগুলোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এর মধ্যে কিছু সার্কিট বন্ধের প্রক্রিযায় রয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু পরে দেখা যায়, বিটিসিএল অতিরিক্ত এসটিএম-১ বন্ধ না করে আরো বৃদ্ধি করেছে। বিটিআরসি থেকে জানতে চাওয়া হলেও এর উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বিটিসিএলের আইসিএক্স চালু না করায় বিভিন্ন অপারেটরের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় আন্তসংযোগ মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ওই সংযোগের মাধ্যমে অবৈধ কল পরিচালনার সুযোগ থেকে যাচ্ছে।
বিটিসিএলের আন্তর্জাতিক ট্রাংক এক্সচেঞ্জগুলোয় দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহির আওতায় না আনা পর্যন্ত বিটিসিএল তথা সরকার রাজস্ব হারাতে থাকবে। ফলে অন্যরাও অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কল আনতে উৎসাহিত হবে বলে কার্যপত্রে বলা হয়েছে। বিটিসিএলের দাপ্তরিক দুর্বলতা ও কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশের সুযোগ নিয়ে অনেক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার জাল ব্যাংক গ্যারান্টি ও কাগজপত্র জমা দিয়ে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান করে। এর মধ্যে অনেক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বিটিসিএলের অর্থ পরিশোধ না করে উধাও হয়ে গেলেও এ বিষয়ে বিটিসিএল প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেনি বলে বিটিআরসি দাবি করেছে।
বিটিসিএলের অবৈধ ভিওআইপির কারণে বৈদেশিক কল এক বছরে বৃদ্ধির পরিবর্তে অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত বছরের অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ কোটি ২০ লাখ মিনিট বৈদেশিক কল এলেও গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাত্র দুই কোটি ৫২ লাখ মিনিট কল এসেছে। এ অবস্থায় সংসদীয় কমিটির আজকের সভায় নতুন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন অবৈধ ভিওআইপির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থার ঘোষণা দেন সেটাই দেখার বিষয়। সাবেক মন্ত্রী রাজি উদ্দিন রাজুর নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে তিনি বিটিসিএলে বড় ধরনের রদবদল করতে পারেন বলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় রদবদলের পরপরই রাজু পেছনের তারিখ দিয়ে বিটিসিএলের চলতি দায়িত্বের এমডিকে অবৈধভাবে স্থায়ী নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়মানুযায়ী বিটিসিএল বোর্ড এমডি নিয়োগ দেবে। এ জন্য দুই দফা বিজ্ঞাপন দিয়ে দুই বার সাক্ষাৎকার নিয়েও এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যোগ্যতার অভাবে যিনি আবেদন করতেই পারেননি, মন্ত্রী অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তাঁকেই নিয়োগ দিয়ে গেছেন। তবে বিটিসিএলের দুই সাবেক এমডির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টেলিকম ক্যাডার কর্মকর্তাকে এমডি নিয়োগের ক্ষমতা মন্ত্রীর নেই। এ নিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিই দিতে পারেন। ফলে তা অবৈধ বলে কথা উঠেছে। অবশ্য নতুন মন্ত্রীর ওপরই সব কিছু নির্ভর করছে।
গত ১ আগস্ট সংসদীয় কমিটির সভায় সভাপতি হাসানুল হক ইনু অবৈধ ভিওআইপিসহ বিটিসিএলের সার্বিক ব্যবস্থাপনার ওপর আলোচনার সূত্রপাত করে আন্তর্জাতিক কল দৈনিক পাঁচ কোটি মিনিট থেকে কমে তিন কোটি মিনিটে নেমে গেল কেন, তা জানতে চান। তিনি সে সময় এমডির অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী মো. আজিজুল ইসলামকে সংস্থাটির অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা, কল টার্মিনেশন সিডিআরে রেকর্ড না হওয়া, অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে বিটিসিএলের বদনাম ইত্যাদি বিষয়ে কমিটিকে অবহিত করার আহ্বান জানান। তবে এমডি এসব বিষয়ে কোনো কথাই বলেননি। বিটিআরসির তদানীন্তন চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ (সম্প্রতি প্রয়াত) সংসদীয় কমিটির ওই সভায় বলেন, বিটিসিএলের কাছে বিটিআরসির এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা পাওনা আছে। বারবার তাগাদা দিয়েও জবাব পাওয়া যায় না।
এই প্রেক্ষাপটে বিটিআরসির তৈরি আজকের সভার কার্যপত্রে অবৈধ ভিওআইপির জন্য বিটিসিএলকে দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে : দীর্ঘদিন যাবৎ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল আন্তর্জাতিক কল পরিচালনা করলেও পুরনো যন্ত্রপাতি ও জনবলের সীমাবদ্ধতা, সঠিকভাবে কল পরিচালনায় উদাসীনতার কারণে কল বাইপাসের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন ও বিটিসিএলের তথ্যাদি পর্যালোচনা করে এর সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটি এবং ডিএনসিসির সভায় অভিযোগ করা হলেও বিটিসিএল সব সময়ই নিরুত্তর থেকেছে।
অবৈধ ভিওআইপির বিষয়ে বিটিসিএলকে বিটিআরসি বিভিন্ন সময়ে অনেকবার নির্দেশনা ও চিঠি দিলেও প্রতিষ্ঠানটি কোনো সহযোগিতা করেনি। ফলে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা যায়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিসিএলের স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল।
কার্যপত্রে বলা হয়, বিটিসিএলের ইন্টারন্যাশনাল ট্রাংক এক্সচেঞ্জ (আইটিএক্স)-৫, ৬ ও ৭ টিডিএম-ভিত্তিক এবং এর বিলিং পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয় না হওয়ায় সিস্টেমটি সমন্বিত নয়। ফলে কলের প্রকৃত পরিমাণ বা সংখ্যা পাওয়া যায় না। স্বয়ংক্রিয় না হওয়ায় 'বিলিং ডাটা'য় পরিবর্তনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে। ২০০৭ সালে আইএলডিটিএস নীতিমালা অনুযায়ী বিটিসিএল একই সঙ্গে আন্তসংযোগ (আইসিএক্স) লাইসেন্সপ্রাপ্ত। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ আইসিএক্স না হওয়ায় বিটিআরসির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক কল মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে না।
কার্যপত্রে বলা হয়, বিটিআরসি ২০০৮ থেকে আইসিএক্স স্থাপনের জন্য বারবার পত্র দিলেও বিটিসিএল এটি ক্রয়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানায়। অবশেষে ২০১১ সালে যে এনজিএন ট্রাংক এক্সচেঞ্জ স্থাপন করেছে. তাতেও তথ্য পরিবর্তনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে। বিটিসিএলের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েকে (আইজিডাব্লিউ) আন্তর্জাতিক ট্রাফিকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসটিএম-১ সংযোগ ব্যবহার নিশ্চিত করা বাঞ্ছনীয়। বিটিসিএলের বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কলের পরিমাণের (নিট এক কোটি মিনিটের নিচে) তুলনায় ৫৮টি এসটিএম-১ সংযোগ অযৌক্তিক। প্রায় সমপরিমাণ কলের জন্য বেসরকারি আইজিডাব্লিউগুলোর মোট ১৪টি এসটিএম-১ সংযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত এসটিএম-১ সংযোগগুলোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এর মধ্যে কিছু সার্কিট বন্ধের প্রক্রিযায় রয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু পরে দেখা যায়, বিটিসিএল অতিরিক্ত এসটিএম-১ বন্ধ না করে আরো বৃদ্ধি করেছে। বিটিআরসি থেকে জানতে চাওয়া হলেও এর উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বিটিসিএলের আইসিএক্স চালু না করায় বিভিন্ন অপারেটরের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় আন্তসংযোগ মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ওই সংযোগের মাধ্যমে অবৈধ কল পরিচালনার সুযোগ থেকে যাচ্ছে।
বিটিসিএলের আন্তর্জাতিক ট্রাংক এক্সচেঞ্জগুলোয় দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহির আওতায় না আনা পর্যন্ত বিটিসিএল তথা সরকার রাজস্ব হারাতে থাকবে। ফলে অন্যরাও অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কল আনতে উৎসাহিত হবে বলে কার্যপত্রে বলা হয়েছে। বিটিসিএলের দাপ্তরিক দুর্বলতা ও কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশের সুযোগ নিয়ে অনেক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার জাল ব্যাংক গ্যারান্টি ও কাগজপত্র জমা দিয়ে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান করে। এর মধ্যে অনেক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বিটিসিএলের অর্থ পরিশোধ না করে উধাও হয়ে গেলেও এ বিষয়ে বিটিসিএল প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেনি বলে বিটিআরসি দাবি করেছে।
No comments