চট্টগ্রামে বিলাসবহুল হোটেলে বসে চুরি ডাকাতির পরিকল্পনা- আটকের পর চক্রের চার সদস্যের চাঞ্চল্যকর তথ্য by মাকসুদ আহমদ
অবশেষে বিলাসবহুল হোটেল ভাড়া করেই অপরাধীদের চট্টগ্রামে অবস্থান নেয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতেই হোটেল ভাড়া করার কাহিনী বর্ণনা করল অপরাধী চক্রের ৪ সদস্য। দেশী-বিদেশী যে কোন তালা মাত্র ১৫/২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে খুলেই নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়াই তাদের কাজ।
নিরাপত্তারক্ষী থাকেনা এমন বাড়িই তাদের টার্গেট। এছাড়াও সকালে যেসব অভিভাবক সন্তানদের নিয়ে স্কুলে যায় ঐ সব ঘরেই রেকি করে তারা দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটায় বলে জানাল গ্রেফতারকৃত ৪ সদস্য। খুন বা রাহাজানির উদ্দেশ্যে না হলেও দলের সদস্যদের বাঁচাতে তারা নিজেরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের তথ্যে প্রকাশ পেয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নগরীর স্টেশন রোডের হোটেল হার্ট অব সিটিতে ঢাকা থেকে আসা দুর্ধর্ষ অপরাধী চক্রের ৪ হোতা অবস্থান নিয়েছে। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এসব অপরাধী কখনও চুরি, বাধা দিলে খুনসহ গুরুতর আহত করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালায়। সিঁধেল চুরি মূলত টার্গেট হলেও খুন করতে দ্বিধাবোধ করে না ধরা পড়ার ভয়ে। এমন একটি দলের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে ১টি এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি স্ক্রু ড্রাইভার, ১৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি চোরাই মোবাইল সেট, সিটি গোল্ডের অলঙ্কারের ভাঙ্গা অংশ ও কম্পিউটারের মডেমসহ বিভিন্ন মালামাল।
অভিযোগ রয়েছে, আবাসস্থলের তালা বন্ধ করে অভিভাবকগণ অফিস, স্কুলে কিংবা জরুরী প্রয়োজনে কিছু সময়ের জন্য বাইরে গেলেই চোরের অপারেশন শুরু হয়। তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও সহজে বহনযোগ্য মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্ধর্ষ এসব চোর। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে স্টেশন রোডের হোটেল হার্ট অব সিটিতে অভিযান চালিয়ে ৪জন দুর্ধর্ষ সিঁধেল চোরকে গ্রেফতার করে। এ হোটেলের কক্ষ থেকে অস্ত্র-গুলি, তালা ভাঙ্গার সরঞ্জামাদি সেইসঙ্গে ১৫৫পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
থানায় আসামিরা স্বীকার করেছে, নাম পরিচয় গোপন করেই তারা হোটেলে অবস্থান নেয়। বিভিন্ন সময় তারা ঢাকা হতে ৪/৫জনের একটি দল চট্টগ্রামে আসে। আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেই তারা অপরাধের পরিকল্পপনা করে। খুব ভোরে হোটেল থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন বাড়ি রেকি করাই তাদের প্রথম কাজ। যে সব বাসার দারোয়ান থাকে না এবং বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকে ঐ সকল বাড়িতে একজন প্রবেশ করে বন্ধ ফ্ল্যাট রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে। টপ সিকিউরিটি তালা থাকলেও কোন সমস্যা নেই। দলের অপর সদস্যদের ফোনে অবহিত করে এক সঙ্গে মিলিত হয় এবং দু’জন বাসার সামনে থাকে একজন গেটের আশপাশে অপরজন আরও একটু দূরে অবস্থান নেয়। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মাত্র ১৫/২০ সেকেন্ডে টপ সিকিউরিটি তালা ভেঙ্গে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে। কোতোয়ালি থানার অভিযানে গ্রেফতার হওয়া এসব সদস্যরা হলোÑ ঢাকার মিরপুর গুদারাঘাট এলাকার আব্দুল জলিল, একই এলাকার রফিক প্রকাশ প্রিয়াজ, মিরপুর বালুর মাঠ এলাকার মনির প্রকাশ বরাত হোসেন প্রকাশ বশির প্রকাশ বক্সিন ও মিরপুর পুতুল হাউসে মোঃ শরীফুল ইসলাম প্রকাশ শরীফ এদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত সদীপ কুমার জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, আবাসিক হোটেলেই তাদের অবস্থান। এ চক্রটি ঢিলেঢালা ও অসচেতন বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়াদের টার্গেট করেই অভিযান পরিচালনা করে। নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান ও সহজে বহনযোগ্য জিনিসই তারা লুটে নেয়। এ চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে পুরো চক্রকে গ্রেফতারে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের তথ্যে প্রকাশ পেয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নগরীর স্টেশন রোডের হোটেল হার্ট অব সিটিতে ঢাকা থেকে আসা দুর্ধর্ষ অপরাধী চক্রের ৪ হোতা অবস্থান নিয়েছে। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এসব অপরাধী কখনও চুরি, বাধা দিলে খুনসহ গুরুতর আহত করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালায়। সিঁধেল চুরি মূলত টার্গেট হলেও খুন করতে দ্বিধাবোধ করে না ধরা পড়ার ভয়ে। এমন একটি দলের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে ১টি এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি স্ক্রু ড্রাইভার, ১৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি চোরাই মোবাইল সেট, সিটি গোল্ডের অলঙ্কারের ভাঙ্গা অংশ ও কম্পিউটারের মডেমসহ বিভিন্ন মালামাল।
অভিযোগ রয়েছে, আবাসস্থলের তালা বন্ধ করে অভিভাবকগণ অফিস, স্কুলে কিংবা জরুরী প্রয়োজনে কিছু সময়ের জন্য বাইরে গেলেই চোরের অপারেশন শুরু হয়। তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও সহজে বহনযোগ্য মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্ধর্ষ এসব চোর। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে স্টেশন রোডের হোটেল হার্ট অব সিটিতে অভিযান চালিয়ে ৪জন দুর্ধর্ষ সিঁধেল চোরকে গ্রেফতার করে। এ হোটেলের কক্ষ থেকে অস্ত্র-গুলি, তালা ভাঙ্গার সরঞ্জামাদি সেইসঙ্গে ১৫৫পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
থানায় আসামিরা স্বীকার করেছে, নাম পরিচয় গোপন করেই তারা হোটেলে অবস্থান নেয়। বিভিন্ন সময় তারা ঢাকা হতে ৪/৫জনের একটি দল চট্টগ্রামে আসে। আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেই তারা অপরাধের পরিকল্পপনা করে। খুব ভোরে হোটেল থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন বাড়ি রেকি করাই তাদের প্রথম কাজ। যে সব বাসার দারোয়ান থাকে না এবং বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকে ঐ সকল বাড়িতে একজন প্রবেশ করে বন্ধ ফ্ল্যাট রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে। টপ সিকিউরিটি তালা থাকলেও কোন সমস্যা নেই। দলের অপর সদস্যদের ফোনে অবহিত করে এক সঙ্গে মিলিত হয় এবং দু’জন বাসার সামনে থাকে একজন গেটের আশপাশে অপরজন আরও একটু দূরে অবস্থান নেয়। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মাত্র ১৫/২০ সেকেন্ডে টপ সিকিউরিটি তালা ভেঙ্গে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে। কোতোয়ালি থানার অভিযানে গ্রেফতার হওয়া এসব সদস্যরা হলোÑ ঢাকার মিরপুর গুদারাঘাট এলাকার আব্দুল জলিল, একই এলাকার রফিক প্রকাশ প্রিয়াজ, মিরপুর বালুর মাঠ এলাকার মনির প্রকাশ বরাত হোসেন প্রকাশ বশির প্রকাশ বক্সিন ও মিরপুর পুতুল হাউসে মোঃ শরীফুল ইসলাম প্রকাশ শরীফ এদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত সদীপ কুমার জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, আবাসিক হোটেলেই তাদের অবস্থান। এ চক্রটি ঢিলেঢালা ও অসচেতন বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়াদের টার্গেট করেই অভিযান পরিচালনা করে। নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান ও সহজে বহনযোগ্য জিনিসই তারা লুটে নেয়। এ চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে পুরো চক্রকে গ্রেফতারে।
No comments