মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ-জনদুর্ভোগ সৃষ্টি অনাকাঙ্ক্ষিত
জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু নিজ এলাকা সফর করতে যাওয়ার আগেই সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে। সফরের দুই দিন আগে তাঁর এলাকা নরসিংদী শহরে লোকমান সমর্থকগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠন ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজন করে।
নির্বাচিত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে এমন প্রতিরোধ প্রত্যাশিত ছিল না। আবার যে কারণে স্থানীয় জনগণ এই প্রতিরোধ তৈরি করেছে, তা-ও উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রায় বছরকাল আগে সেখানকার নির্বাচিত পৌর মেয়র লোকমান হোসেন খুন হন প্রকাশ্যে। জনগণ সেই হত্যার বিচার চেয়ে আসছে সেই সময় থেকেই। সরকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার সম্পন্ন করবে। আশা করা গিয়েছিল, সুষ্ঠু ও অবিতর্কিত তদন্তের মাধ্যমে সরকারদলীয় একজন স্থানীয় নেতা ও নির্বাচিত পৌর মেয়র হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর লোকমান সমর্থকরা তা যথাযথ মনে করেনি। যে কারণে ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও সেই ক্ষোভ নিরসনের কোনো সাংগঠনিক উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকারি দল। জেলার একজন প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় জনগণ মন্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান চাইতে পারে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তদন্তকাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উত্থাপিত হয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই। নরসিংদীর বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে এই কারণই কাজ করছে। সঙ্গে সঙ্গে কিছু প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে এ পরিস্থিতি। প্রয়াত পৌর মেয়রের পরিবার ও তাঁর সমর্থকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মন্ত্রীর ভাই জড়িত। এমন অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর মন্ত্রী তাঁর নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন। যদি অভিযোগ মিথ্যা হয়ে থাকে, তাহলে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য তিনি উদ্যোগ নিতে পারতেন। অথচ তিনি নরসিংদীর অধিবাসীদের এই ক্ষোভ নিরসনের জন্য শান্তিপূর্ণ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করলেন না। যার সূত্র ধরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রীর নিজ এলাকা থেকে দূরে অবস্থান সেই সন্দেহকে ঘনীভূত করেছে।
সরকারও দেখেছে, সেখানে নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভ নিরসন করাটা শুধু লোকমান সমর্থকদের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্যই নয়, সম্ভাব্য দুর্ঘটনা রোধ করার জন্যও জরুরি। অথচ দেখা গেল, সেখানে সরকারি আশ্বাস দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে নরসিংদীর আইনশৃঙ্খলার আরো অবনতি হলে সরকারও এর দায় এড়াতে পারবে না। অন্যদিকে লোকমান সমর্থকদেরও বিক্ষোভ প্রকাশকালে এমন কোনো আচরণ করা উচিত নয়, যাতে রাষ্ট্রীয় কোনো সম্পত্তির ক্ষতি হয়। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে এমন কোনো কর্মসূচিও গ্রহণ করা উচিত নয়। ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। ক্ষোভ প্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা ঠিক নয়। আজও তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আছে, নরসিংদীর মানুষ সেদিকেও খেয়াল রাখবে, যাতে পরিস্থিতির আরো অবনতি
না ঘটে।
সরকারও দেখেছে, সেখানে নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভ নিরসন করাটা শুধু লোকমান সমর্থকদের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্যই নয়, সম্ভাব্য দুর্ঘটনা রোধ করার জন্যও জরুরি। অথচ দেখা গেল, সেখানে সরকারি আশ্বাস দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে নরসিংদীর আইনশৃঙ্খলার আরো অবনতি হলে সরকারও এর দায় এড়াতে পারবে না। অন্যদিকে লোকমান সমর্থকদেরও বিক্ষোভ প্রকাশকালে এমন কোনো আচরণ করা উচিত নয়, যাতে রাষ্ট্রীয় কোনো সম্পত্তির ক্ষতি হয়। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে এমন কোনো কর্মসূচিও গ্রহণ করা উচিত নয়। ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। ক্ষোভ প্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা ঠিক নয়। আজও তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আছে, নরসিংদীর মানুষ সেদিকেও খেয়াল রাখবে, যাতে পরিস্থিতির আরো অবনতি
না ঘটে।
No comments