ইরাকে নতুন জাতীয় সংগীত ও পতাকা এ বছরই
চলতি বছরের মধ্যেই নতুন জাতীয় সংগীত ও পতাকা চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করেছে ইরাক কর্তৃর্পক্ষ। নতুন পতাকা ও সংগীতে যাতে জাতীয় ইতিহাস এবং সব পক্ষের ঐতিহ্য ও প্রতীক সমন্বিত করা যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।
ইরাকের পার্লামেন্টের সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম কমিশন-বিষয়ক চেয়ারম্যান এ কথা জানিয়েছেন।
ইরাকের বর্তমান জাতীয় সংগীত 'মাওতিনি' (আমার মাতৃভূমি) গানটিকে জাতীয় সংগীত করা হয় ২০০৪ সালে। দেশটিতে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত তৎকালীন অস্থায়ী কর্তৃপক্ষের প্রধান পল ব্রেমার একটি কনসার্টে গানটি শোনার পর সেটিকে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেন। এর মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো ইরাকের জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আসে। এরপর নতুন জাতীয় সংগীত নির্বাচনের জন্য কবিতা ও গান আহ্বান করা হয়। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইরাকের কবিরা ৪০০টির মতো কবিতা ও গান জমা দিয়েছেন। তবে এখনো কোনোটি চূড়ান্ত করা হয়নি। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরাকি কবি ও লেখকদের ছয় সদস্যের একটি কমিটিকে জাতীয় সংগীত চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পার্লামেন্টের সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম কমিশন-বিষয়ক চেয়ারম্যান আলী সালাহ বলেন, 'চলতি বছরের মধ্যেই নতুন পতাকা ও জাতীয় সংগীত প্রণয়নের কাজ শেষ করার ব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আইনসভার চলতি অধিবেশনেই বিষয়টি চূড়ান্ত করতে চাই। জাতীয় সংগীত ও পতাকা হবে ইরাকিদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।'
আলী সালাহ জানান, ইরাকের রয়েছে কয়েক দশকের সহিংসতা, বঞ্চনা আর মতানৈক্যের ইতিহাস। সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন আশির দশকে ইরানের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ সহিংসতার ইতিহাস শুরু করেন। ওই যুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল আট বছর। এরপর ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে কুয়েতে আগ্রাসন চালায় সাদ্দাম বাহিনী। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের মাধ্যমে কুয়েত থেকে ইরাকি বাহিনীকে হটানো হয়। কুয়েতে হামলা চালানোর দায়ে ইরাকের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরপর ২০০৩ সালে মার্কিন অভিযানের মধ্য দিয়ে পতন হয় সাদ্দাম আমলের। নতুন পতাকা ও জাতীয় সংগীতে এসব ইতিহাস ও বিভিন্ন জাতীয় প্রতীকের যাতে সমন্বয় হয় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি।
ইরাকের বর্তমান জাতীয় সংগীত 'মাওতিনি' (আমার মাতৃভূমি) গানটিকে জাতীয় সংগীত করা হয় ২০০৪ সালে। দেশটিতে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত তৎকালীন অস্থায়ী কর্তৃপক্ষের প্রধান পল ব্রেমার একটি কনসার্টে গানটি শোনার পর সেটিকে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেন। এর মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো ইরাকের জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আসে। এরপর নতুন জাতীয় সংগীত নির্বাচনের জন্য কবিতা ও গান আহ্বান করা হয়। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইরাকের কবিরা ৪০০টির মতো কবিতা ও গান জমা দিয়েছেন। তবে এখনো কোনোটি চূড়ান্ত করা হয়নি। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরাকি কবি ও লেখকদের ছয় সদস্যের একটি কমিটিকে জাতীয় সংগীত চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পার্লামেন্টের সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম কমিশন-বিষয়ক চেয়ারম্যান আলী সালাহ বলেন, 'চলতি বছরের মধ্যেই নতুন পতাকা ও জাতীয় সংগীত প্রণয়নের কাজ শেষ করার ব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আইনসভার চলতি অধিবেশনেই বিষয়টি চূড়ান্ত করতে চাই। জাতীয় সংগীত ও পতাকা হবে ইরাকিদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।'
আলী সালাহ জানান, ইরাকের রয়েছে কয়েক দশকের সহিংসতা, বঞ্চনা আর মতানৈক্যের ইতিহাস। সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন আশির দশকে ইরানের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ সহিংসতার ইতিহাস শুরু করেন। ওই যুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল আট বছর। এরপর ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে কুয়েতে আগ্রাসন চালায় সাদ্দাম বাহিনী। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের মাধ্যমে কুয়েত থেকে ইরাকি বাহিনীকে হটানো হয়। কুয়েতে হামলা চালানোর দায়ে ইরাকের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরপর ২০০৩ সালে মার্কিন অভিযানের মধ্য দিয়ে পতন হয় সাদ্দাম আমলের। নতুন পতাকা ও জাতীয় সংগীতে এসব ইতিহাস ও বিভিন্ন জাতীয় প্রতীকের যাতে সমন্বয় হয় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি।
No comments