হরতাল ডেকেই তাণ্ডব শুরু করল ১২ দল-জামায়াতের ইন্ধন, শতাধিক আহত, আটক ৫০
মহাসমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে আজ রবিবার সারা দেশে হরতালের ডাক দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ধর্মভিত্তিক ও সমমনা ১২ দল। তাদের তাণ্ডবে পুলিশ ও পথচারীসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে অর্ধশত লোককে। এ তাণ্ডবে জামায়াতে ইসলামীর মদদ থাকার অভিযোগ উঠেছে।
১২ দলের ডাকা আজকের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের প্রতি 'নৈতিক সমর্থন' দিয়েছে জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোট। হরতালে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ১২ দলের ব্যানারে বিভিন্ন স্থানে পিকেটিংয়ে শরিক হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার সংঘর্ষের সময় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর এক ছেলে এবং জামায়াতপন্থী মসজিদ মিশনের সভাপতিসহ জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকজনকে সেখান থেকে আটকও করেছে পুলিশ।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ঘোষণা দেন ১২ দলের সদস্যসচিব ও খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান। তিনি বলেন, সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম মুছে ফেলা, শিক্ষানীতি, নারীনীতি ইত্যাদি ইস্যুতে পল্টনে সমাবেশ করার জন্য তাঁরা অনেকবার পুলিশের অনুমতির আবেদন করেন। গতকাল বায়তুল মোকাররমসংলগ্ন পুরানা পল্টন এলাকায় মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নেয় ১২ দল। কিন্তু পুলিশ শুক্রবার বিকেল থেকে পল্টন এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা হরতালের ডাক দিয়েছেন।
গতকাল সকাল সোয়া ১১টার দিকে হরতালের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে উপস্থিত ১২ দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিল নিয়ে তারা বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। ওই সময় প্রেসক্লাবের ফটক খুলে দেওয়া হয়। মিছিলকারীরা প্রেসক্লাবের বাইরে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে এবং রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ পিছু হটে। পুলিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হাইকোর্ট চত্বর ও সেগুনবাগিচার আশপাশে অবস্থান নেয়। ১২ দলের নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে তখন প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী চলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে পুলিশ প্রেসক্লাব এলাকা ঘিরে ফেলে।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পুলিশের গাড়িসহ চারটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেয়। তাণ্ডবে পুলিশ ও পথচারীসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার নুরুল ইসলাম জানান, বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে পাঁচ থেকে ছয়জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
১২ দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ অর্ধশত গ্রেপ্তার : দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রেসক্লাব ঘিরে রেখে পুলিশ ১২ দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের মধ্যে আছেন ১২ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত আন্দোলনের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম। এ ছাড়া পুলিশ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং ড. শাহেদা ওবায়েদের সংগঠন গড়বো বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন নেতাকেও আটক করে। এর মধ্যে রয়েছেন যুবদলের (মহানগর দক্ষিণ) সহসভাপতি শরীফ হোসাইন, শাহবাগ যুবদলের সোহেল, বংশাল যুবদলের কাওছার, ছাত্রদলের মোখলেছুর, মামুন, সুজন, লুৎফর রহমান টিটু, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সেক্রেটারি, রায়হান, জজ মিয়া এবং গড়বো বাংলাদেশের মিলন, জিহাদ, মিজান, সিরাজ, রুমেল ও মাসুদ।
রংপুর ও দিনাজপুর হরতালের আওতামুক্ত : এদিকে গতকাল ১২ দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজকের হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলা। প্রধান বিরোধী দলের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরাঞ্চলের এ দুটি জেলা হরতালের আওতামুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১২ দল।
বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া আজ সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির ওয়েবসাইট উদ্বোধন শেষে দিনাজপুরের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। দিনাজপুরের সমাবেশেও ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে বিরোধীদলীয় নেত্রীর।
১২ দলের একটি জামায়াতের অনুসারী : ২০১০ সালে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল বিক্ষিপ্তভাবে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালালেও ২০১১ সালে নারীনীতির বিরুদ্ধে প্রথম ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামে ১২ দল। এগুলো হলো : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ-ভাসানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ইসলামিক পার্টি ও নেজামে ইসলাম পার্টি। দলগুলোর মধ্যে সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ জামায়াতপন্থী হিসেবে পরিচিত।
আজকের হরতালে জামায়াতে ইসলামীর নৈতিক সমর্থন রয়েছে বলে গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগও যদি হরতাল করে তাতে জামায়াতের সমর্থন থাকবে।
পুরানা পল্টনের ৫৫/বি নম্বর নোয়াখালী টাওয়ারের দ্বিতীয় তলার মাসিক মদীনা পত্রিকার অফিস ব্যবহার করা হয় ১২ দলের অফিস হিসেবে। নোয়াখালী টাওয়ার থেকেই কার্যক্রম পরিচালনা করেন ১২ দলের নেতারা।
কূটনীতিকপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার : আজকের হরতালে নাশকতা এড়াতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও অফিস, আদালতপাড়া, সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা এবং কূটনীতিকপাড়ার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হরতালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান।
মাসুদুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত চলচ্চিত্রে মহানবী (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ইসলামী দলগুলোর চলমান বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কূটনীতিকপাড়ার সবকটি চেকপোস্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলোতে প্রতিটি গাড়ি চেকিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার সংঘর্ষের সময় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর এক ছেলে এবং জামায়াতপন্থী মসজিদ মিশনের সভাপতিসহ জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকজনকে সেখান থেকে আটকও করেছে পুলিশ।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ঘোষণা দেন ১২ দলের সদস্যসচিব ও খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান। তিনি বলেন, সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম মুছে ফেলা, শিক্ষানীতি, নারীনীতি ইত্যাদি ইস্যুতে পল্টনে সমাবেশ করার জন্য তাঁরা অনেকবার পুলিশের অনুমতির আবেদন করেন। গতকাল বায়তুল মোকাররমসংলগ্ন পুরানা পল্টন এলাকায় মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নেয় ১২ দল। কিন্তু পুলিশ শুক্রবার বিকেল থেকে পল্টন এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা হরতালের ডাক দিয়েছেন।
গতকাল সকাল সোয়া ১১টার দিকে হরতালের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে উপস্থিত ১২ দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিল নিয়ে তারা বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। ওই সময় প্রেসক্লাবের ফটক খুলে দেওয়া হয়। মিছিলকারীরা প্রেসক্লাবের বাইরে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে এবং রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ পিছু হটে। পুলিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হাইকোর্ট চত্বর ও সেগুনবাগিচার আশপাশে অবস্থান নেয়। ১২ দলের নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে তখন প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী চলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে পুলিশ প্রেসক্লাব এলাকা ঘিরে ফেলে।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পুলিশের গাড়িসহ চারটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেয়। তাণ্ডবে পুলিশ ও পথচারীসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার নুরুল ইসলাম জানান, বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে পাঁচ থেকে ছয়জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
১২ দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ অর্ধশত গ্রেপ্তার : দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রেসক্লাব ঘিরে রেখে পুলিশ ১২ দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের মধ্যে আছেন ১২ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত আন্দোলনের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম। এ ছাড়া পুলিশ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং ড. শাহেদা ওবায়েদের সংগঠন গড়বো বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন নেতাকেও আটক করে। এর মধ্যে রয়েছেন যুবদলের (মহানগর দক্ষিণ) সহসভাপতি শরীফ হোসাইন, শাহবাগ যুবদলের সোহেল, বংশাল যুবদলের কাওছার, ছাত্রদলের মোখলেছুর, মামুন, সুজন, লুৎফর রহমান টিটু, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সেক্রেটারি, রায়হান, জজ মিয়া এবং গড়বো বাংলাদেশের মিলন, জিহাদ, মিজান, সিরাজ, রুমেল ও মাসুদ।
রংপুর ও দিনাজপুর হরতালের আওতামুক্ত : এদিকে গতকাল ১২ দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজকের হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলা। প্রধান বিরোধী দলের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরাঞ্চলের এ দুটি জেলা হরতালের আওতামুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১২ দল।
বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া আজ সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির ওয়েবসাইট উদ্বোধন শেষে দিনাজপুরের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। দিনাজপুরের সমাবেশেও ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে বিরোধীদলীয় নেত্রীর।
১২ দলের একটি জামায়াতের অনুসারী : ২০১০ সালে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল বিক্ষিপ্তভাবে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালালেও ২০১১ সালে নারীনীতির বিরুদ্ধে প্রথম ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামে ১২ দল। এগুলো হলো : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ-ভাসানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ইসলামিক পার্টি ও নেজামে ইসলাম পার্টি। দলগুলোর মধ্যে সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ জামায়াতপন্থী হিসেবে পরিচিত।
আজকের হরতালে জামায়াতে ইসলামীর নৈতিক সমর্থন রয়েছে বলে গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগও যদি হরতাল করে তাতে জামায়াতের সমর্থন থাকবে।
পুরানা পল্টনের ৫৫/বি নম্বর নোয়াখালী টাওয়ারের দ্বিতীয় তলার মাসিক মদীনা পত্রিকার অফিস ব্যবহার করা হয় ১২ দলের অফিস হিসেবে। নোয়াখালী টাওয়ার থেকেই কার্যক্রম পরিচালনা করেন ১২ দলের নেতারা।
কূটনীতিকপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার : আজকের হরতালে নাশকতা এড়াতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও অফিস, আদালতপাড়া, সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা এবং কূটনীতিকপাড়ার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হরতালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান।
মাসুদুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত চলচ্চিত্রে মহানবী (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ইসলামী দলগুলোর চলমান বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কূটনীতিকপাড়ার সবকটি চেকপোস্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলোতে প্রতিটি গাড়ি চেকিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments