বেনগাজিতে ইসলামী চরমপন্থীদের ঘাঁটি উচ্ছেদ
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বেনগাজি শহরে আনসার আল শরিয়াসহ ইসলামী চরপন্থীদের কয়েকটি ঘাঁটি উচ্ছেদ করেছে মিলিটারি পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ লোকজন। আনসার আল শরিয়া সম্প্রতি বেনগাজিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত হয়েছে।
বেনগাজিতে বেসামরিক সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় গত শুক্রবার। এর পর এসব গ্রুপের ঘাঁটিগুলোতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জনতা সম্মিলিতভাবে অভিযান চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, 'লিবিয়া, লিবিয়া' স্লোগান দিয়ে কয়েক শ বিক্ষোভকারী আনসার আল শরিয়ার সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ে। তারা চরমপন্থী গোষ্ঠীটির পতাকা নামিয়ে ফেলে ও দপ্তরের ভেতরে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা জানায়, আনসার আল শরিয়ার ঘাঁটির কাছাকাছি আসামাত্র ভেতর থেকে মেশিনগানের গুলি ছুড়ে সশস্ত্র চরমপন্থীরা। গুলিতে সাতজনের মতো আহত হয় বলে জানান এক অ্যাম্বুলেন্সের চালক। বিক্ষোভকারীরা শহরের আল জালা হাসপাতালেও অভিযান চালায়। সেখানে আনসার আল শরিয়ার ঘাঁটি ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। মিলিটারি পুলিশ হাসপাতালটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। আনসার আর শরিয়ার খালি হয়ে যাওয়া সামরিক ঘাঁটি থেকে অস্ত্র লুটপাট করে হামলাকারী জনতা। উল্লেখ্য, আনসার আল শরিয়া গোড়া থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বিক্ষুব্ধ লোকজন বেনগাজির আনসার আল শরিয়ার ঘাঁটি ছাড়াও সাহাতি ব্রিগেড, আবু সালিম বিগ্রেডের ঘাঁটিও দখল করে নেয়। সাহাতি ব্রিগেড দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সশস্ত্র ইসলামী ইউনিট। বিক্ষোভকারীরা এর সদর দপ্তরে হামলা চালালে সেখানে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়।
হাসান আহমেদ নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে হামলার ঘটনার পর বেনগাজি চরমপন্থীতে ভরে গিয়েছিল। তারা সেনাবাহিনীকেও মানত না। তাই জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ও তারা পালিয়ে গেছে।'
ইসলামকে হেয় করে নির্মিত' চলচ্চিত্রের প্রতিবাদে গত ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলেটে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই হামলায় লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ আরো তিন মার্কিন নাগরিক নিহত হন। হামলাটিকে ইসলামী চরমপন্থীদের পরিকল্পিত হামলা বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
বিক্ষুব্ধ লোকজন বেনগাজির আনসার আল শরিয়ার ঘাঁটি ছাড়াও সাহাতি ব্রিগেড, আবু সালিম বিগ্রেডের ঘাঁটিও দখল করে নেয়। সাহাতি ব্রিগেড দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সশস্ত্র ইসলামী ইউনিট। বিক্ষোভকারীরা এর সদর দপ্তরে হামলা চালালে সেখানে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়।
হাসান আহমেদ নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে হামলার ঘটনার পর বেনগাজি চরমপন্থীতে ভরে গিয়েছিল। তারা সেনাবাহিনীকেও মানত না। তাই জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ও তারা পালিয়ে গেছে।'
ইসলামকে হেয় করে নির্মিত' চলচ্চিত্রের প্রতিবাদে গত ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলেটে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই হামলায় লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ আরো তিন মার্কিন নাগরিক নিহত হন। হামলাটিকে ইসলামী চরমপন্থীদের পরিকল্পিত হামলা বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments