ভুয়া পরীক্ষার্থী তৈরির কারখানা-দুই অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার by অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য ও এস এম আজাদ
মুন্সী আবদুর রউফ রাইফেলস স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী কালের কণ্ঠকে বলে, 'আমি নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করায় এবার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছিলাম না। এক বন্ধু খবর দেয়, ৪০ হাজার টাকা হলে সিটি রয়্যাল কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। এ জন্য যত কাগজ লাগবে তা সিটি রয়্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষই তৈরি করবে।
কোনো চিন্তা নেই। ভর্তির সময় জাল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি), বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের অনুমতিপত্র সব কিছুই বানিয়েছে সিটি রয়্যাল কলেজ। ধরা পড়ায় এখন আমার মতো অনেকেই প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষা দিতে পারছে না।'
একই ভাবে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, নটর ডেম কলেজ এবং বিএএফ শাহীন কলেজের তিন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করে মিরপুর মডেল কলেজে ভর্তি হয় জনপ্রতি ৪০ হাজার টাকা দিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভালো কলেজে নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার
সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এভাবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রাজধানীর কয়েকটি ভুঁইফোঁড় কলেজ। জাল কাগজপত্র বানিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি করছে ওই সব কলেজের কর্তৃপক্ষ। কয়েক বছর ধরে এ কায়দায় শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগও করে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এবার আগে থেকেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তদন্তে ভুয়া পরীক্ষার্থী তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত কলেজগুলোর অপকীর্তি বেরিয়ে আসে। এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে দুটি কলেজের অধ্যক্ষ এবং একটি কলেজের এক প্রভাষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার শুরু হয়েছে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা।
জানা গেছে, রাজধানীর নামকরা কলেজগুলো থেকে নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের এনে এ কায়দায় ভর্তি করায় মিরপুর মডেল কলেজ, সিটি রয়্যাল কলেজ এবং হাজী মকবুল হোসেন কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, ভুয়া পরীক্ষার্থী তৈরির কারখানা। আর প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তাঁরা ব্যবসায়ী। তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।'
পুলিশ জানিয়েছে, এইচএসসিতে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করানোর চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে মিরপুর মডেল কলেজের অধ্যক্ষ এম আফজালুল হক আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে চকবাজার থানার পুলিশ আজিজকে আটক করে কাফরুল থানায় কাছে হস্তান্তর করে। এ ছাড়া গতকাল সকালে সিটি রয়্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল হক এবং হাজী মকবুল হোসেন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক আসাদুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ফরম পূরণের জন্য যেসব আবেদন এসেছে তার মধ্যে অনেক ভুয়া শিক্ষার্থী ধরা পড়েছে। কোনো কোনো অধ্যক্ষ নিজের কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে যাদের নাম বোর্ডে জমা দিয়েছেন, দেখা গেছে তারা আসলে ওই কলেজের শিক্ষার্থীই নয়। বরং অন্য কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিজের কলেজের ছাত্র হিসেবে দেখিয়েছেন অধ্যক্ষরা। এর জন্য তৈরি করা হয় জাল টিসি। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ওই শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো টিসি দেয়নি। বোর্ড কর্মকর্তারা প্রমাণ পেয়েছেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় রাজধানীর বিভিন্ন নামি কলেজের ফেল করা অসংখ্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করেছেন মিরপুর মডেল কলেজ ও সিটি রয়্যাল কলেজের অধ্যক্ষ।
জানা যায়, পরীক্ষার ফরম পূরণ করে এসব কলেজ ধাপে ধাপে পরীক্ষার্থীদের নাম বোর্ডে জমা দিতে থাকে। প্রথম ধাপে কলেজগুলো বোর্ডে নাম জমা দেয় ৭৮ জনের। পরের ধাপে ১০২ জনের। একপর্যায়ে সন্দেহ হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তদন্তে ৮৮ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হয়। এ অবস্থার মধ্যেই গত ২১ মার্চ কলেজ অধ্যক্ষদের কাছে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়। সব কলেজের অধ্যক্ষরা প্রবেশপত্র নিতে গেলেও সিটি রয়্যাল কলেজ ও মিরপুর মডেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবেশপত্র নিতে যাননি। কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডে না গিয়ে গত ২৭ মার্চ প্রবেশপত্র পাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে যায়। আদালত প্রবেশপত্র দেওয়ার পক্ষে রায় দেন। পর দিন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ রায়ের বিপক্ষে আপিল করে। আপিলে সব নথি পর্যালোচনা করে বলা হয়, ওই ৮৮ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না দিতে। ৮৮ জনের মধ্যে ৬৬ জন পরীক্ষার্থীই ছিল মিরপুর মডেল কলেজের।
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় কলেজ দুটির অধ্যক্ষরা পরীক্ষার্থীদের জানান, সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রবেশপত্র দিচ্ছে না। এ অবস্থায় পরীক্ষার্থীরা গত শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে বকশীবাজার রোড অবরোধ করে রাখে। আন্দোলনের একপর্যায়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ আলোচনার জন্য সিটি রয়্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম এবং মিরপুর মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আফজালুল হক আজিজকে ডেকে নেয়। অধ্যক্ষদের কাছে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণ করানোর কারণ জানতে চান বোর্ড চেয়ারম্যান। এ সময় কোনো সদুত্তর না পেয়ে দুই অধ্যক্ষকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রতারণার অভিযোগে কলেজ দুটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মামলাও করেন।
কাফরুল থানার ওসি আবদুল লতিফ কালের কণ্ঠকে জানান, মিরপুর মডেল কলেজের অধ্যক্ষ এম আফজালুল হক আজিজের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভুয়া টিসি তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন কলেজ থেকে অকৃতকার্য ৬৬ শিক্ষার্থী তাঁর কলেজ থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়। তাদের ভুয়া ট্রান্সফার সার্টিফিকেটের কারণে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। বোর্ড কর্মকর্তারাই আজিজকে চকবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন।
তেজগাঁও থানার পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে ফার্মগেটের কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে অবস্থিত সিটি রয়্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই অভিযোগে মোহাম্মদপুরের হাজী মকবুল হোসেন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক আসাদুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ।
একই ভাবে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, নটর ডেম কলেজ এবং বিএএফ শাহীন কলেজের তিন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করে মিরপুর মডেল কলেজে ভর্তি হয় জনপ্রতি ৪০ হাজার টাকা দিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভালো কলেজে নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার
সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এভাবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রাজধানীর কয়েকটি ভুঁইফোঁড় কলেজ। জাল কাগজপত্র বানিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি করছে ওই সব কলেজের কর্তৃপক্ষ। কয়েক বছর ধরে এ কায়দায় শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগও করে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এবার আগে থেকেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তদন্তে ভুয়া পরীক্ষার্থী তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত কলেজগুলোর অপকীর্তি বেরিয়ে আসে। এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে দুটি কলেজের অধ্যক্ষ এবং একটি কলেজের এক প্রভাষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার শুরু হয়েছে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা।
জানা গেছে, রাজধানীর নামকরা কলেজগুলো থেকে নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের এনে এ কায়দায় ভর্তি করায় মিরপুর মডেল কলেজ, সিটি রয়্যাল কলেজ এবং হাজী মকবুল হোসেন কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, ভুয়া পরীক্ষার্থী তৈরির কারখানা। আর প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তাঁরা ব্যবসায়ী। তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।'
পুলিশ জানিয়েছে, এইচএসসিতে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করানোর চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে মিরপুর মডেল কলেজের অধ্যক্ষ এম আফজালুল হক আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে চকবাজার থানার পুলিশ আজিজকে আটক করে কাফরুল থানায় কাছে হস্তান্তর করে। এ ছাড়া গতকাল সকালে সিটি রয়্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল হক এবং হাজী মকবুল হোসেন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক আসাদুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ফরম পূরণের জন্য যেসব আবেদন এসেছে তার মধ্যে অনেক ভুয়া শিক্ষার্থী ধরা পড়েছে। কোনো কোনো অধ্যক্ষ নিজের কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে যাদের নাম বোর্ডে জমা দিয়েছেন, দেখা গেছে তারা আসলে ওই কলেজের শিক্ষার্থীই নয়। বরং অন্য কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিজের কলেজের ছাত্র হিসেবে দেখিয়েছেন অধ্যক্ষরা। এর জন্য তৈরি করা হয় জাল টিসি। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ওই শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো টিসি দেয়নি। বোর্ড কর্মকর্তারা প্রমাণ পেয়েছেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় রাজধানীর বিভিন্ন নামি কলেজের ফেল করা অসংখ্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করেছেন মিরপুর মডেল কলেজ ও সিটি রয়্যাল কলেজের অধ্যক্ষ।
জানা যায়, পরীক্ষার ফরম পূরণ করে এসব কলেজ ধাপে ধাপে পরীক্ষার্থীদের নাম বোর্ডে জমা দিতে থাকে। প্রথম ধাপে কলেজগুলো বোর্ডে নাম জমা দেয় ৭৮ জনের। পরের ধাপে ১০২ জনের। একপর্যায়ে সন্দেহ হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তদন্তে ৮৮ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হয়। এ অবস্থার মধ্যেই গত ২১ মার্চ কলেজ অধ্যক্ষদের কাছে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়। সব কলেজের অধ্যক্ষরা প্রবেশপত্র নিতে গেলেও সিটি রয়্যাল কলেজ ও মিরপুর মডেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবেশপত্র নিতে যাননি। কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডে না গিয়ে গত ২৭ মার্চ প্রবেশপত্র পাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে যায়। আদালত প্রবেশপত্র দেওয়ার পক্ষে রায় দেন। পর দিন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ রায়ের বিপক্ষে আপিল করে। আপিলে সব নথি পর্যালোচনা করে বলা হয়, ওই ৮৮ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না দিতে। ৮৮ জনের মধ্যে ৬৬ জন পরীক্ষার্থীই ছিল মিরপুর মডেল কলেজের।
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় কলেজ দুটির অধ্যক্ষরা পরীক্ষার্থীদের জানান, সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রবেশপত্র দিচ্ছে না। এ অবস্থায় পরীক্ষার্থীরা গত শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে বকশীবাজার রোড অবরোধ করে রাখে। আন্দোলনের একপর্যায়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ আলোচনার জন্য সিটি রয়্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম এবং মিরপুর মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আফজালুল হক আজিজকে ডেকে নেয়। অধ্যক্ষদের কাছে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণ করানোর কারণ জানতে চান বোর্ড চেয়ারম্যান। এ সময় কোনো সদুত্তর না পেয়ে দুই অধ্যক্ষকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রতারণার অভিযোগে কলেজ দুটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মামলাও করেন।
কাফরুল থানার ওসি আবদুল লতিফ কালের কণ্ঠকে জানান, মিরপুর মডেল কলেজের অধ্যক্ষ এম আফজালুল হক আজিজের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভুয়া টিসি তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন কলেজ থেকে অকৃতকার্য ৬৬ শিক্ষার্থী তাঁর কলেজ থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়। তাদের ভুয়া ট্রান্সফার সার্টিফিকেটের কারণে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। বোর্ড কর্মকর্তারাই আজিজকে চকবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন।
তেজগাঁও থানার পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে ফার্মগেটের কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে অবস্থিত সিটি রয়্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই অভিযোগে মোহাম্মদপুরের হাজী মকবুল হোসেন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক আসাদুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ।
No comments