বেনাপোলে চোরাকারবারীদের গ্যাঁড়াকলে শতাধিক নারী-শিশু by মো. আজিজুল হক
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য গত তিনদিন ধরে বেনাপোল স্থলবন্দরসংলগ্ন চেকপোস্টের আশপাশে অপেক্ষা করছে শতাধিক নারী-শিশু। এদের কাজ চোরাকারীবারীদের হয়ে চোরাইপণ্য আনা-নেওয়া করা। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনার কারণে গত কয়দিন ধরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করায় ওইসব নারী-শিশু ভারতে ঢুকতে পারছে না।
অপরদিকে, চোরাইপণ্য পরিবহনের জন্য মহাজনদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়ায় কাজ সম্পন্ন না করে তারা বাড়িতেও ফিরে যেতে পারছে না।
দিনের বেলা এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ালেও তাদের রাত কাটছে কষ্ট আর নিরাপত্তাহীনতায়। গৃহকর্তাদের অনুরোধ করে স্থানীয় বিভিন্ন বাড়িতে কোনোরকমে রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের।
এসব নারী-শিশুর বেশির ভাগের বাড়ি যশোর এলাকায়। নারীদের মধ্যে স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবার সংখ্যাই বেশি।
জানা গেছে, ভারত থেকে চোরাইপথে আনা পণ্য নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তার জন্য পাচারকারীরা নতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন।
চোরাইপণ্য বহনের জন্য সমাজের অসহায় নারী, শিশু ও পঙ্গু মানুষকে ব্যাবহার করছেন তারা।
এসব অসহায় মাননুষের প্রতি প্রশাসনের দয়া থাকে। এ কারণে চোরাচালানকাজে কৌশল হিসেবে এদের ব্যাবহার করা হচ্ছে। এছাড়া অল্প পারিশ্রমিক দিয়ে এদের মাধ্যমে বেশি কাজ করানো যায়।
এদিকে, এক সপ্তাহ আগে এ সীমান্তে চোরাকারবারীদের হামলায় ২ বিএসএফ সদস্য মারাত্মক জখম হন। একই সময়ে পেট্রাপোল কাস্টমসের এক সৈন্য তার ছেলে ও ছেলের বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বেনাপোল বাজার ঘুরতে এলে এ সময় তাদের আটক করে বিজিবি।
এ ঘটনার পর বেনাপোল সীমান্তপথে চোরাচালান ও পাচার প্রতিরোধে কড়াকড়ি আরোপ করে বিজিবি, বিএসএফ ও পুলিশ।
বিজিবি কিছুটা ছাড় দিলেও ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশ তাদের কোনো ছাড় দিচ্ছে না। ফলে জীবন জীবিকার তাগিদে ভারতে গিয়ে চোরাইপণ্য আনার জন্য এদের সীমান্তে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্প ইনচার্জ ফজলুল হক বাংলানিউজকে জানান, চেকপোস্ট সীমান্তপথে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যরা সবসময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।
এসব নারী-শিশু কোনো নিষেধ মানে না। জোর করে সীমান্ত পারাপারের চেষ্টা চালায়। তবে কাউকে ওপারে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
দিনের বেলা এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ালেও তাদের রাত কাটছে কষ্ট আর নিরাপত্তাহীনতায়। গৃহকর্তাদের অনুরোধ করে স্থানীয় বিভিন্ন বাড়িতে কোনোরকমে রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের।
এসব নারী-শিশুর বেশির ভাগের বাড়ি যশোর এলাকায়। নারীদের মধ্যে স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবার সংখ্যাই বেশি।
জানা গেছে, ভারত থেকে চোরাইপথে আনা পণ্য নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তার জন্য পাচারকারীরা নতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন।
চোরাইপণ্য বহনের জন্য সমাজের অসহায় নারী, শিশু ও পঙ্গু মানুষকে ব্যাবহার করছেন তারা।
এসব অসহায় মাননুষের প্রতি প্রশাসনের দয়া থাকে। এ কারণে চোরাচালানকাজে কৌশল হিসেবে এদের ব্যাবহার করা হচ্ছে। এছাড়া অল্প পারিশ্রমিক দিয়ে এদের মাধ্যমে বেশি কাজ করানো যায়।
এদিকে, এক সপ্তাহ আগে এ সীমান্তে চোরাকারবারীদের হামলায় ২ বিএসএফ সদস্য মারাত্মক জখম হন। একই সময়ে পেট্রাপোল কাস্টমসের এক সৈন্য তার ছেলে ও ছেলের বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বেনাপোল বাজার ঘুরতে এলে এ সময় তাদের আটক করে বিজিবি।
এ ঘটনার পর বেনাপোল সীমান্তপথে চোরাচালান ও পাচার প্রতিরোধে কড়াকড়ি আরোপ করে বিজিবি, বিএসএফ ও পুলিশ।
বিজিবি কিছুটা ছাড় দিলেও ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশ তাদের কোনো ছাড় দিচ্ছে না। ফলে জীবন জীবিকার তাগিদে ভারতে গিয়ে চোরাইপণ্য আনার জন্য এদের সীমান্তে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্প ইনচার্জ ফজলুল হক বাংলানিউজকে জানান, চেকপোস্ট সীমান্তপথে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যরা সবসময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।
এসব নারী-শিশু কোনো নিষেধ মানে না। জোর করে সীমান্ত পারাপারের চেষ্টা চালায়। তবে কাউকে ওপারে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
No comments