পদ্মায় দীর্ঘ বেড়া দিয়ে জমজমাট মাছ শিকার by সত্যজিৎ ঘোষ
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীতে আড়াআড়িভাবে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়া দেওয়া হয়েছে। বেড়া দিয়ে চলছে জমজমাট মাছ শিকার। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অবৈধভাবে বাঁশের বেড়াটি দিয়েছেন।বেড়ার কারণে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী নৌযান ও যাত্রীবাহী ট্রলারগুলোকে প্রায় চার কিলোমিটার পথ ঘুরে মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুরে যেতে হচ্ছে।
বেড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে ওই চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘এটি অবৈধ হলে খুলে ফেলব।’
ট্রলারচালক আশ্রাফ আলী বলেন, ‘নদীর দক্ষিণে পালেরচর বাজার। সেখান থেকে বেড়াটি আধা কিলোমিটার দূরে। বেড়া ধরে সোজা উত্তরে এগোলে একটি চর পড়ে। চরের এই অংশে পথ খোলা থাকলেও নৌচলাচল সম্ভব নয়। তাই চরটি ঘুরে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানগুলো চলাচল করছে। চার কিলোমিটার বেশি ঘুরতে গিয়ে সময়ের অপচয় যেমন হচ্ছে, তেমনি জ্বালানি খরচও বেশি লাগছে।’
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত নভেম্বরে বেড়াটি দেন পালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মুন্সী। বাঁশের সঙ্গে একধরনের চিকন জাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির রেণু পোনা ধরা পড়ে। জাল পাতা ও মাছ ধরার জন্য পাঁচটি নৌকা ও একটি ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকা রয়েছে। এসব কাজের জন্য ১০ জন শ্রমিক আছেন। প্রতিদিন ভোর ও সন্ধ্যায় জাল থেকে মাছ তোলা হয়। প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকার মাছ ধরা পড়ে বলে শ্রমিকেরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার মৎস্য আইনের ৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ আইন প্রথমবার ভঙ্গ করলে এক মাস জেল, অনাদায়ে দুই হাজার টাকা জরিমানা। দ্বিতীয়বার ভঙ্গ করলে দুই মাস জেল, অনাদায়ে চার হাজার টাকা জরিমানা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ ধরা অবৈধ। রেণু পোনা ও জাটকা ধরা মৎস্য আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পদ্মা নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বাঁধে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক সুমন হালদার জানান, মাসে ছয় হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন তিনি। বাঁধ থেকে যে মাছ পাওয়া যায়, তা বিক্রির টাকা চেয়ারম্যান নিয়ে যান। শুরুতে একটু বেশি উঠলেও এখন তেমন মাছ মেলে না।
অপর শ্রমিক জবেদ আলী হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন দুবার মাছ তোলা হয়। সে মাছ মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটে বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় পালেরচরের বাসিন্দা আবু সুফিয়ান বলেন, নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে বড় মাছের সঙ্গে পোনাজাতীয় মাছও শিকার করা হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মৌখিকভাবে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মুন্সী বলেন, ‘গত বছর চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার সমর্থকেরা নদীতে বেড়া দেওয়ার অনুরোধ করে। তখন আমি বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের নির্দেশ দিই। নদীতে অনেকেই মাছ ধরে। বেড়াটি অবৈধ হলে খুলে ফেলব।’
জাজিরার ইউএনও ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী জানান, ‘পদ্মায় বেড়া দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। ১০-১২ দিন আগে বেড়াটি অপসারণের জন্য জনপ্রতিনিধিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ট্রলারচালক আশ্রাফ আলী বলেন, ‘নদীর দক্ষিণে পালেরচর বাজার। সেখান থেকে বেড়াটি আধা কিলোমিটার দূরে। বেড়া ধরে সোজা উত্তরে এগোলে একটি চর পড়ে। চরের এই অংশে পথ খোলা থাকলেও নৌচলাচল সম্ভব নয়। তাই চরটি ঘুরে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানগুলো চলাচল করছে। চার কিলোমিটার বেশি ঘুরতে গিয়ে সময়ের অপচয় যেমন হচ্ছে, তেমনি জ্বালানি খরচও বেশি লাগছে।’
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত নভেম্বরে বেড়াটি দেন পালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মুন্সী। বাঁশের সঙ্গে একধরনের চিকন জাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির রেণু পোনা ধরা পড়ে। জাল পাতা ও মাছ ধরার জন্য পাঁচটি নৌকা ও একটি ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকা রয়েছে। এসব কাজের জন্য ১০ জন শ্রমিক আছেন। প্রতিদিন ভোর ও সন্ধ্যায় জাল থেকে মাছ তোলা হয়। প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকার মাছ ধরা পড়ে বলে শ্রমিকেরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার মৎস্য আইনের ৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ আইন প্রথমবার ভঙ্গ করলে এক মাস জেল, অনাদায়ে দুই হাজার টাকা জরিমানা। দ্বিতীয়বার ভঙ্গ করলে দুই মাস জেল, অনাদায়ে চার হাজার টাকা জরিমানা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ ধরা অবৈধ। রেণু পোনা ও জাটকা ধরা মৎস্য আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পদ্মা নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বাঁধে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক সুমন হালদার জানান, মাসে ছয় হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন তিনি। বাঁধ থেকে যে মাছ পাওয়া যায়, তা বিক্রির টাকা চেয়ারম্যান নিয়ে যান। শুরুতে একটু বেশি উঠলেও এখন তেমন মাছ মেলে না।
অপর শ্রমিক জবেদ আলী হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন দুবার মাছ তোলা হয়। সে মাছ মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটে বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় পালেরচরের বাসিন্দা আবু সুফিয়ান বলেন, নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে বড় মাছের সঙ্গে পোনাজাতীয় মাছও শিকার করা হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মৌখিকভাবে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মুন্সী বলেন, ‘গত বছর চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার সমর্থকেরা নদীতে বেড়া দেওয়ার অনুরোধ করে। তখন আমি বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের নির্দেশ দিই। নদীতে অনেকেই মাছ ধরে। বেড়াটি অবৈধ হলে খুলে ফেলব।’
জাজিরার ইউএনও ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী জানান, ‘পদ্মায় বেড়া দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। ১০-১২ দিন আগে বেড়াটি অপসারণের জন্য জনপ্রতিনিধিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments