অন অ্যারাইভাল ভিসা-কানেকটিভিটির বাধা দূর হোক
দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ যদি এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়, তাহলে তারা গোটা অঞ্চল নিয়ে তাদের আগামী দিনের স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়বে এবং এখন হচ্ছেও তাই। সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে একের পর এক ভালো ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও সেগুলোর অধিকাংশই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকার অন্যতম কারণ সেটাই।
তাই সার্ক অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে সব ধরনের বাধা অপসারণ গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য ও বাস্তব যোগাযোগের ক্ষেত্রে এখনও দেশগুলোর মধ্যে কাজের তাড়না তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। রেল, সড়ক ও অন্যান্য যোগাযোগের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক কেন প্রয়োজন, সে সম্পর্কে গোটা অঞ্চলের মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাসের পর্যায়ের আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় না। তদুপরি আঞ্চলিক স্তরে বাণিজ্য সম্প্র্রসারিত হলে প্রতিটি দেশ যে কমবেশি উপকৃত হবে এবং এর ফলে আঞ্চলিক একটা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা গড়ে উঠবে_ তাও মানুষের কাছে স্বচ্ছ নয়। তাই মানুষে মানুষে যোগাযোগকে বাস্তব কানেকটিভিটি গড়ে তোলার সঙ্গে সমান গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করতে হবে। এ জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভিসা সহজ করা জরুরি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে একজন মানুষকে কী ধরনের হয়রানি ও সময় অপচয়ের ফেরে পড়তে হয়, তা তো আমরা ভালোভাবেই বুঝতে পারি। ভারত-পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও ভিসাপ্রাপ্তিতে অনেক বাধার প্রাচীর মানুষকে ডিঙিয়ে আসতে হয়। এই যদি হয় ভিসার অবস্থা তাহলে মানুষের মধ্যে সীমানাসৃষ্ট ভেদরেখাগুলো উঠে যাবে কী করে? আর কী করেই-বা রাষ্ট্রীয় মানুষ নিজেকে আঞ্চলিক মানুষ হিসেবেও চিনে নিতে পারবে?
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থার অভাবকে এখনও এই অঞ্চলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় বাধা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে সর্বস্তর ও পর্যায়ে বাস্তব কানেকটিভিটির অভাবও যে আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের পথে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে, সে বিষয়টিও এখন স্বীকৃত। এসব দিক বিবেচনা করেই ২০১০-২০কে সার্ক আন্তঃআঞ্চলিক কানেকটিভিটি দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। কিন্তু ঘোষণা বাস্তবায়নের ধীরগতি এর লক্ষ্য অর্জন সম্পর্কে শুরুতেই সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। কানেটিভিটির অর্থ ব্যাপক। এখানে সড়ক, রেল, বিমান ও জলপথে আঞ্চলিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা প্রাথমিক শর্ত। অন্যদিকে কানেকটিভিটি ছাড়া সার্ক ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা আসিয়ানের মতো কার্যকর সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশে এখন ১১তম সার্ক ট্রেড ফেয়ার চলছে। সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি এর প্রাথমিক লক্ষ্য। কিন্তু পারস্পরিক আস্থার অভাব থাকায় এবং প্রয়োজনীয় সর্বস্তর ও পর্যায়ের কানেকটিভিটি এখানকার দেশগুলোর মধ্যে গড়ে না ওঠায় দ্রুত আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। এ জন্য বাস্তব কানেকটিভিটির সঙ্গে সঙ্গে মানুষে মানুষে বহুমুখী যোগাযোগ অবারিত করা আবশ্যক। ঢাকায় অনুষ্ঠানরত সার্ক ট্রেড ফেয়ার উপলক্ষে অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদানের বক্তব্য বেশ জোরের সঙ্গেই বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী উত্থাপন করেছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সার্ক সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থার অভাবকে এখনও এই অঞ্চলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় বাধা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে সর্বস্তর ও পর্যায়ে বাস্তব কানেকটিভিটির অভাবও যে আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের পথে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে, সে বিষয়টিও এখন স্বীকৃত। এসব দিক বিবেচনা করেই ২০১০-২০কে সার্ক আন্তঃআঞ্চলিক কানেকটিভিটি দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। কিন্তু ঘোষণা বাস্তবায়নের ধীরগতি এর লক্ষ্য অর্জন সম্পর্কে শুরুতেই সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। কানেটিভিটির অর্থ ব্যাপক। এখানে সড়ক, রেল, বিমান ও জলপথে আঞ্চলিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা প্রাথমিক শর্ত। অন্যদিকে কানেকটিভিটি ছাড়া সার্ক ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা আসিয়ানের মতো কার্যকর সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশে এখন ১১তম সার্ক ট্রেড ফেয়ার চলছে। সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি এর প্রাথমিক লক্ষ্য। কিন্তু পারস্পরিক আস্থার অভাব থাকায় এবং প্রয়োজনীয় সর্বস্তর ও পর্যায়ের কানেকটিভিটি এখানকার দেশগুলোর মধ্যে গড়ে না ওঠায় দ্রুত আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। এ জন্য বাস্তব কানেকটিভিটির সঙ্গে সঙ্গে মানুষে মানুষে বহুমুখী যোগাযোগ অবারিত করা আবশ্যক। ঢাকায় অনুষ্ঠানরত সার্ক ট্রেড ফেয়ার উপলক্ষে অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদানের বক্তব্য বেশ জোরের সঙ্গেই বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী উত্থাপন করেছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সার্ক সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
No comments