বিদ্যুতের দাবিতে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও, বৃষ্টির জন্য মোনাজাত
অব্যাহত লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি চলছে। ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় কৃষকেরা বিদ্যুতের দাবিতে গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করেছেন। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বৃষ্টির জন্য করা হচ্ছে মোনাজাত।
ঘেরাও: পরশুরামে কৃষকেরা বিদ্যুতের দাবিতে গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ইউএনওর কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করেছেন। পরে তাঁরা উপজেলা পরিষদের কার্যালয় ঘেরাও করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার ও ইউএনও আরিফ আহাম্মদ খান বিষয়টি কৃষকদের সামনে জেলা প্রশাসক ও ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারকে (জিএম) টেলিফোনে জানালে তাঁরা ঘেরাও কর্মসূচি তুলে নেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম রাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের লিখিত দাবি জানান। কিন্তু তা কার্যকর না হওয়ায় তাঁরা এই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।
কৃষকেরা জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ পাম্প বন্ধ থাকায় তাঁদের ফসলি জমির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সেচ পাম্পের মালিক কাউতলীর গ্রামের মুছা চৌধুরী বলেন, ‘অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। কৃষকের তোপের মুখে পড়ে গতকাল এক লাখ টাকা দিয়ে বাধ্য হয়ে ডিজেলচালিত পাম্প কিনতে হয়েছি।’
উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, তিন ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। কিন্তু তা স্থায়ী থাকে মাত্র ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। অবশ্য ইউএনও আরিফ আহাম্মদ খান জানান, কৃষক ও সেচ পাম্প মালিকদের দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ব্যাঙের বিয়ে: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সর্বত্র প্রচণ্ড খরায় রবি ফসলের আবাদ বিপর্যয়ের মুখে। বোরো জমি ফেটে চৌচির। উপজেলার হাওর ও ভাটি অঞ্চল চান্দপুর, করগাঁও, ধুলদিয়া, বনগ্রাম, মুমুরদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রতিদিনই বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার কিশোর যুবকেরা রশি দিয়ে দুটি ব্যাঙ আলাদা করে বেঁধে নিয়ে দলবেঁধে বাড়ি বাড়ি যায়। এরপর পানি আর কাঁদামাটি শরীরে মেখে চিৎকার করে চলে জারিগান—‘আল্লা মেঘ দে, পানি দে/ ছায়া দে রে তুই, আল্লা মেঘ দে/ আসমান অইল টুডা টুডা জমিন অইল ফাডা/ সেই জমিনে কানতে আছে মেঘ দিব কেডা!’।
মোনাজাত: অব্যাহত খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে গতকাল রোববার ও গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ইসতেসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। এতে কয়েক হাজার মুসল্লি অংশ নেন। আজ সোমবারও ইসতেসকার নামাজ আদায় করা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন পরশুরাম (ফেনী), কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) ও সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি]
কৃষকেরা জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ পাম্প বন্ধ থাকায় তাঁদের ফসলি জমির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সেচ পাম্পের মালিক কাউতলীর গ্রামের মুছা চৌধুরী বলেন, ‘অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। কৃষকের তোপের মুখে পড়ে গতকাল এক লাখ টাকা দিয়ে বাধ্য হয়ে ডিজেলচালিত পাম্প কিনতে হয়েছি।’
উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, তিন ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। কিন্তু তা স্থায়ী থাকে মাত্র ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। অবশ্য ইউএনও আরিফ আহাম্মদ খান জানান, কৃষক ও সেচ পাম্প মালিকদের দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ব্যাঙের বিয়ে: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সর্বত্র প্রচণ্ড খরায় রবি ফসলের আবাদ বিপর্যয়ের মুখে। বোরো জমি ফেটে চৌচির। উপজেলার হাওর ও ভাটি অঞ্চল চান্দপুর, করগাঁও, ধুলদিয়া, বনগ্রাম, মুমুরদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রতিদিনই বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার কিশোর যুবকেরা রশি দিয়ে দুটি ব্যাঙ আলাদা করে বেঁধে নিয়ে দলবেঁধে বাড়ি বাড়ি যায়। এরপর পানি আর কাঁদামাটি শরীরে মেখে চিৎকার করে চলে জারিগান—‘আল্লা মেঘ দে, পানি দে/ ছায়া দে রে তুই, আল্লা মেঘ দে/ আসমান অইল টুডা টুডা জমিন অইল ফাডা/ সেই জমিনে কানতে আছে মেঘ দিব কেডা!’।
মোনাজাত: অব্যাহত খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে গতকাল রোববার ও গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ইসতেসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। এতে কয়েক হাজার মুসল্লি অংশ নেন। আজ সোমবারও ইসতেসকার নামাজ আদায় করা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন পরশুরাম (ফেনী), কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) ও সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি]
No comments