হাতের লেখা খারাপ হওয়ায় এত নির্যাতন!
হাতের লেখা খারাপ ও খাতায় কাটাকাটি হওয়ার কারণে মায়মুনা আক্তার (১১) নামের এক ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা আজিজুর রহমান গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়ার কার্যালয়ে এসে এর বিচার দাবি করেন।
মায়মুনা ব্র্যাক পরিচালিত উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউপির ধুরুয়া মনারটেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আয়েশা আক্তার শিশুটিকে বেত দিয়ে পিটিয়ে মুখমণ্ডলসহ শরীরের নানা স্থানে জখম করেন। গতকাল ইউএনওর কার্যালয়ে বসে থাকা মায়মুনা জানায়, সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাসের একটি প্রশ্নের উত্তর লিখে জমা দেওয়ার পর হাতের লেখা খারাপ হওয়ার কারণে আয়েশা আপা তাকে বেত দিয়ে পেটাতে থাকেন।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, শিশুটির ওপর নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে শিক্ষিকা আয়েশা আক্তার তাঁকে বলেছেন, অন্যকে মারতে গেলে বেতের অগ্রভাগ মায়মুনার মুখমণ্ডলে লাগে। তাঁর ওই বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পরে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অভিভাবকেরা তা মেনে নেন বলে ইউএনও জানান।
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার খালবলা বাজার কার্যালয়ের শাখা ব্যবস্থাপক মো. রহুল আমীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, শিশুটির ওপর নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে শিক্ষিকা আয়েশা আক্তার তাঁকে বলেছেন, অন্যকে মারতে গেলে বেতের অগ্রভাগ মায়মুনার মুখমণ্ডলে লাগে। তাঁর ওই বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পরে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অভিভাবকেরা তা মেনে নেন বলে ইউএনও জানান।
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার খালবলা বাজার কার্যালয়ের শাখা ব্যবস্থাপক মো. রহুল আমীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
No comments