কষ্ট নিয়েই চলে গেলেন সাংবাদিক লিনা by কাজল কেয়া
নারীর জীবনে মা হওয়া খুবই কাঙ্খিত একটা বিষয়। কাওসারা লিনাও চেয়েছিলেন মা হতে। অনেকবার চেষ্টা করে অবশেষে নিজেই বিদায় নিলেন পৃথিবী থেকে। আর সেই সঙ্গে সাংবাদিকের তালিকা থেকেও ঝরে গেলো আরো একটি নাম।
তার সঙ্গে আমার পরিচয় দৈনিক দিনের শেষে পত্রিকায়। তিনি ২০১০-এর মাঝামাঝি সময়ে সাব-এডিটর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। মেজাজটা একটু কড়া ছিল। তাই মনের মতো কিছু না হলে একটুতেই রেগে যেতেন। এজন্য তাকে কিছুটা ভয়ও পেতাম।
আপু চা খেতে খুব পছন্দ করতেন। চা খাওয়ার জন্য অফিসে আলাদা একটা মগ কিনে এনেছিলেন। এরপরও অফিসের বাইরে গিয়ে একবার চা না খেলে তার মন কিছুতেই ভরতো না। মাঝে মাঝে আমি ও আফরোজ আপা সঙ্গে যেতাম। বয়সের পার্থক্য থাকায় বেশি কিছু শেয়ার করা সম্ভব হতো না। তারপরও অনেক কিছুই বলতাম। একসঙ্গে কোথাও গেলে তাকেই মনে হতো দলের নেতা।
গত রোজায় তিনি যখন তৃতীয়বারের মতো প্রেগনেন্ট হলেন তখন দোয়া করেছিলাম। এবার যেন তার আশা পূর্ণ হয়। কিন্তু যখন খবর পেলাম... এবারও তার আশা পূর্ণ হবে না। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
আপুও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ডাক্তার বলেছিলেন টানা ১সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে। বিছানা থেকেও নামতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু ৪দিন না যেতেই আপু অফিসে হাজির। বললেন, বাসায় থাকতে একদম ভালো লাগে না।
কয়েক মাস পর যখন জানলাম আপু আবারও মা হতে যাচ্ছেন। খুব খুশি হয়েছিলাম। আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম, এবার যেন মন খারাপ হওয়ার মতো কিছু না ঘটে। বিষয়টি নিয়ে আপুও খুব সচেতন ছিলেন। একদিন অফিসে শারমিন নামে তার এক বান্ধবীকে নিয়ে এলেন তার রিপ্লেস হিসেবে। জানালেন তার বান্ধবীকে তার জায়গায় দিয়ে ছুটিতে যাবেন। সেই ছুটি যে তার চিরছুটি হবে তা ভাবতে পারিনি কখনো। কখনো ভাবিনি তাকে আর দেখতে পাবো না। ভাবিনি এভাবেই মাতৃস্বাদহীনভাবে চিরদিনের মতো চলে যাবেন সবাইকে ছেড়ে।
শনিবার আমার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সারাদিন বাসায়। দুপুরে আমার স্বামী ফোন হাতে নিচে নেমে আমাকে ডেকে বললো, লিনা মারা গেছেন। কথাটা শোনার পর বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করলাম আফরোজ আপাকে। আপা বললেন, রাত থেকেই ব্লিডিং হচ্ছিল খুব। চাঁদপুর থেকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরে শেষ রক্ষা হলো না আর।
চোখের সামনে ভেসে ওঠলো লিনা আপুর চেহারা। তার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো। চা খাওয়া, মৌচাক আর নিউমাকের্টে ঘোরা, পার্লারে যাওয়া, একসঙ্গে ভাগাভাগি করে দুপুরে খাওয়া। খুব মনে পড়ছে সবকিছুই।
মাস কয়েক আগে লিনা আপু ইডেন থেকে মার্স্টাস পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অনেক কিছুই হয়তো করার ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু মা হওয়ার আকাঙ্খা ছিলো তার চেয়ে বেশি। খুব আশা ছিল কোলজুড়ে আসবে একটি ফুটফুটে শিশু। তার সে স্বপ্ন আর আকাঙ্খা আর পূরণ হলো না।
আপু চা খেতে খুব পছন্দ করতেন। চা খাওয়ার জন্য অফিসে আলাদা একটা মগ কিনে এনেছিলেন। এরপরও অফিসের বাইরে গিয়ে একবার চা না খেলে তার মন কিছুতেই ভরতো না। মাঝে মাঝে আমি ও আফরোজ আপা সঙ্গে যেতাম। বয়সের পার্থক্য থাকায় বেশি কিছু শেয়ার করা সম্ভব হতো না। তারপরও অনেক কিছুই বলতাম। একসঙ্গে কোথাও গেলে তাকেই মনে হতো দলের নেতা।
গত রোজায় তিনি যখন তৃতীয়বারের মতো প্রেগনেন্ট হলেন তখন দোয়া করেছিলাম। এবার যেন তার আশা পূর্ণ হয়। কিন্তু যখন খবর পেলাম... এবারও তার আশা পূর্ণ হবে না। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
আপুও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ডাক্তার বলেছিলেন টানা ১সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে। বিছানা থেকেও নামতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু ৪দিন না যেতেই আপু অফিসে হাজির। বললেন, বাসায় থাকতে একদম ভালো লাগে না।
কয়েক মাস পর যখন জানলাম আপু আবারও মা হতে যাচ্ছেন। খুব খুশি হয়েছিলাম। আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম, এবার যেন মন খারাপ হওয়ার মতো কিছু না ঘটে। বিষয়টি নিয়ে আপুও খুব সচেতন ছিলেন। একদিন অফিসে শারমিন নামে তার এক বান্ধবীকে নিয়ে এলেন তার রিপ্লেস হিসেবে। জানালেন তার বান্ধবীকে তার জায়গায় দিয়ে ছুটিতে যাবেন। সেই ছুটি যে তার চিরছুটি হবে তা ভাবতে পারিনি কখনো। কখনো ভাবিনি তাকে আর দেখতে পাবো না। ভাবিনি এভাবেই মাতৃস্বাদহীনভাবে চিরদিনের মতো চলে যাবেন সবাইকে ছেড়ে।
শনিবার আমার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সারাদিন বাসায়। দুপুরে আমার স্বামী ফোন হাতে নিচে নেমে আমাকে ডেকে বললো, লিনা মারা গেছেন। কথাটা শোনার পর বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করলাম আফরোজ আপাকে। আপা বললেন, রাত থেকেই ব্লিডিং হচ্ছিল খুব। চাঁদপুর থেকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরে শেষ রক্ষা হলো না আর।
চোখের সামনে ভেসে ওঠলো লিনা আপুর চেহারা। তার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো। চা খাওয়া, মৌচাক আর নিউমাকের্টে ঘোরা, পার্লারে যাওয়া, একসঙ্গে ভাগাভাগি করে দুপুরে খাওয়া। খুব মনে পড়ছে সবকিছুই।
মাস কয়েক আগে লিনা আপু ইডেন থেকে মার্স্টাস পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অনেক কিছুই হয়তো করার ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু মা হওয়ার আকাঙ্খা ছিলো তার চেয়ে বেশি। খুব আশা ছিল কোলজুড়ে আসবে একটি ফুটফুটে শিশু। তার সে স্বপ্ন আর আকাঙ্খা আর পূরণ হলো না।
No comments