প্রধান আইনজীবী বিদেশে-জামায়াতের তিন নেতার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম মুলতবি
আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় তিন নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলার কার্যক্রম গতকাল রোববার মুলতবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এ তিনজন হলেন—জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজামীর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম ৮ এপ্রিল, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম ৯ এপ্রিল ও কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম ১০ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, মামলার কার্যক্রম চলা অবস্থায় আইনজীবীদের ছুটি কাটাতে বিদেশে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। পরবর্তী সময়ে আর কখনো এমন কারণে কার্যক্রম মুলতবি করা হবে না।
সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে নিজামীর বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানি মুলতবির আরজি জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আহসান কবীর। তিনি বলেন, নিজামীর প্রধান আইনজীবী তাজুল ইসলাম বিদেশে আছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ৮ এপ্রিল শুনানির দিন পুনর্নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, হাইকোর্টে অবকাশ চললেও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলছে। অথচ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিদেশে ছুটি কাটাতে গেছেন। এ কারণে কার্যক্রম মুলতবি করা উচিত নয়। নিজামী এ সময় আসামির কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।
এরপর কামারুজ্জামানকে আসামির কাঠগড়ায় আনা হয়। তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন উপস্থাপন করেন মুন্সী আহসান কবীর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ অনুসারে, কামারুজ্জামান ময়মনসিংহ অঞ্চলে আলবদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক ছিলেন। কিন্তু কোনো নথিপত্রে আলবদরের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা দেখাতে পারেনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি আলবদরের মতো একটি সংগঠনের শীর্ষ পদে কীভাবে গেলেন, তাও রাষ্ট্রপক্ষ স্পষ্ট করেনি। একাত্তরে কামারুজ্জামান বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দিয়েছেন বলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে কীভাবে অপরাধ হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে আহসান কবীর বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে ন্যুরেমবার্গ বিচার শেষ হয়েছিল। কিন্তু কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৪০ বছর পর অভিযোগ আনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীর তালিকায়ও তিনি ছিলেন না। আবেদন উপস্থাপন শেষে তিনি যুক্তি উপস্থাপন মুলতবির আরজি জানিয়ে বলেন, আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বিদেশে আছেন। ৯ এপ্রিল তিনি দেশে ফিরবেন। ওই সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখা হোক। ট্রাইব্যুনাল ১০ এপ্রিল যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করে বলেন, এরপর শুধু আইনজীবীদের অসুস্থতার ক্ষেত্রেই কার্যক্রম মুলতবি করা হবে, আর কোনো কারণে কার্যক্রম মুলতবি হবে না।
এরপর কাঠগড়ায় কাদের মোল্লার উপস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ অনুসারে, আসামি একাত্তরে মিরপুর, মোহাম্মদপুর প্রভৃতি এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু ঘটনার দিন-সময়-ব্যক্তি প্রভৃতি বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।
আবেদন উপস্থাপনের পর ফরিদ উদ্দিন আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাকের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ৯ এপ্রিল যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আজ (গতকাল রোববার) অনিচ্ছা সত্ত্বেও কার্যক্রম মুলতবি করতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না।
সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে নিজামীর বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানি মুলতবির আরজি জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আহসান কবীর। তিনি বলেন, নিজামীর প্রধান আইনজীবী তাজুল ইসলাম বিদেশে আছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ৮ এপ্রিল শুনানির দিন পুনর্নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, হাইকোর্টে অবকাশ চললেও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলছে। অথচ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিদেশে ছুটি কাটাতে গেছেন। এ কারণে কার্যক্রম মুলতবি করা উচিত নয়। নিজামী এ সময় আসামির কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।
এরপর কামারুজ্জামানকে আসামির কাঠগড়ায় আনা হয়। তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন উপস্থাপন করেন মুন্সী আহসান কবীর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ অনুসারে, কামারুজ্জামান ময়মনসিংহ অঞ্চলে আলবদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক ছিলেন। কিন্তু কোনো নথিপত্রে আলবদরের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা দেখাতে পারেনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি আলবদরের মতো একটি সংগঠনের শীর্ষ পদে কীভাবে গেলেন, তাও রাষ্ট্রপক্ষ স্পষ্ট করেনি। একাত্তরে কামারুজ্জামান বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দিয়েছেন বলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে কীভাবে অপরাধ হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে আহসান কবীর বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে ন্যুরেমবার্গ বিচার শেষ হয়েছিল। কিন্তু কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৪০ বছর পর অভিযোগ আনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীর তালিকায়ও তিনি ছিলেন না। আবেদন উপস্থাপন শেষে তিনি যুক্তি উপস্থাপন মুলতবির আরজি জানিয়ে বলেন, আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বিদেশে আছেন। ৯ এপ্রিল তিনি দেশে ফিরবেন। ওই সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখা হোক। ট্রাইব্যুনাল ১০ এপ্রিল যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করে বলেন, এরপর শুধু আইনজীবীদের অসুস্থতার ক্ষেত্রেই কার্যক্রম মুলতবি করা হবে, আর কোনো কারণে কার্যক্রম মুলতবি হবে না।
এরপর কাঠগড়ায় কাদের মোল্লার উপস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ অনুসারে, আসামি একাত্তরে মিরপুর, মোহাম্মদপুর প্রভৃতি এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু ঘটনার দিন-সময়-ব্যক্তি প্রভৃতি বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।
আবেদন উপস্থাপনের পর ফরিদ উদ্দিন আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাকের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ৯ এপ্রিল যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আজ (গতকাল রোববার) অনিচ্ছা সত্ত্বেও কার্যক্রম মুলতবি করতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না।
No comments