নগরে গৃহবধূসহ দুজন খুন

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পৃথক ঘটনায় এক গৃহবধূসহ দুজন খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন গৃহবধূ মৌসুমী আক্তার (২০) ও চা-দোকানি রাজীব ঢালী (২৮)। পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কামরাঙ্গীরচর থানার মমিনবাগে শ্বশুরের বাসা থেকে গৃহবধূ মৌসুমী আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর স্বামী পারভেজ খান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ঘটনার পর থেকে পারভেজ ও তাঁর বাড়ির লোকজন পলাতক।


নিহত মৌসুমী আক্তারের বাবা শমসের আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই পারভেজ তাঁর কাছে বিভিন্ন অঙ্কের যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে তিনি যৌতুক দিতেও বাধ্য হয়েছেন। যৌতুক নেওয়ার পরও মৌসুমীর সঙ্গে পরভেজ ঝগড়া-বিবাদ লাগিয়েই রাখতেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক সাজু মিয়া বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
রাজীব ঢালী: কামরাঙ্গীরচরের নবীনগর এলাকার মুন্সীখোলায় রাজীব ঢালী নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে পুলিশ তাঁর বাসার আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
১০ মাস আগে রাজীব বিয়ে করার পর মুন্সীখোলায় শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। রাজীবের বাবা আবদুর রাজ্জাক ঢালীর দাবি, তাঁর ছেলেকে হত্যার পর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে তাঁকে বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। রাজীবের চায়ের দোকান নিয়ে তাঁর স্ত্রীর ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।
তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যু: গতকাল সকালে শাহজাহানপুরে ট্রাকের ধাক্কায় আলম মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি রিকশাভ্যান চালাতেন।
পুলিশের মতিঝিল থানার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, মতিঝিলের আমতলা মসজিদের সামনে একটি ট্রাক পেছন থেকে আলমের ভ্যানকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বুধবার রাতে মিরপুর বেড়িবাঁধে গাড়ির ধাক্কায় অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। চালককে কিংবা গাড়িটি পুলিশ আটক করতে পারেনি।
গতকাল বিকেলে আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারে উম্মে হাবিবা ওরফে শারমিন (১৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
হাবিবার স্বজনেরা জানান, গতকাল বিকেলে হাবিবার সঙ্গে তাঁর স্বামী নাদিম হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। নাদিম ঘরজামাই থাকতেন। ঝগড়াঝাঁটির জের ধরে হাবিবা ভেতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে শোয়ারঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গোঙানির শব্দ পেয়ে হাবিবার স্বজনেরা দরজা ভেঙে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

No comments

Powered by Blogger.