রক্তাক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-বন্ধ হোক এ প্রাণঘাতী তাণ্ডব
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে রক্তাক্ত হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিবদমান দুই ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে প্রাণ দিতে হলো। আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। যে ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত, তা খুবই সামান্য। শ্রেণীকক্ষে সহপাঠীদের কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের এমন প্রাণঘাতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া নিতান্তই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীদের মারমুখী অবস্থানের কারণে কোনো সমঝোতায় পেঁৗছানো সম্ভব হয়নি। অনিবার্য ফল হিসেবেই প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবারই রক্তক্ষয় হয়েছে। প্রাণ দিতে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীকে। এমনিতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে অনেক গল্প আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ছাত্রশিবিরের দুর্গ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। প্রায় দুই যুগ ধরে এখানে আধিপত্য বিস্তার করে আছে ছাত্র শিবির। একসময় ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করত। বিগত বিভিন্ন সরকারের আমলে সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করে। সেই আধিপত্যের জের ধরে রাখতেই এ সংঘর্ষ ঘটেছে কি না, সেটা তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যু কখনো কাম্য হতে পারে না। রাজনীতি এভাবে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে না।
'ছাত্রানং অধ্যয়নং তপঃ'- পাঠ্য বইতে এমন কথা পড়ানো হয় ছোটবেলাতেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পড়তে যান, তাঁরা জীবনের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যাওয়া এই ছাত্ররা যখন সামান্য ব্যাপার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন, তখন তাঁদের ওপর থেকে সব ভরসা উঠে যায়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, উচ্চশিক্ষার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও যখন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারেও প্রশ্ন দেখা দেয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনা থেকে নতুন আরেকটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক সরকার অপসারণের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার খবরও জানা গেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংঘর্ষের নেপথ্যে সুদূরপ্রসারী কোনো ষড়যন্ত্র নেই তো? অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্র সংঘর্ষের পর অনেককিছু ঘটেছে দেশের রাজনীতিতে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংঘর্ষের নেপথ্যে অন্য কোনো শক্তির হাত রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রাণঘাতী তাণ্ডব বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক ও সজাগ থাকবে, এমনটিই আশা করি আমরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবারই রক্তক্ষয় হয়েছে। প্রাণ দিতে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীকে। এমনিতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে অনেক গল্প আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ছাত্রশিবিরের দুর্গ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। প্রায় দুই যুগ ধরে এখানে আধিপত্য বিস্তার করে আছে ছাত্র শিবির। একসময় ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করত। বিগত বিভিন্ন সরকারের আমলে সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করে। সেই আধিপত্যের জের ধরে রাখতেই এ সংঘর্ষ ঘটেছে কি না, সেটা তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যু কখনো কাম্য হতে পারে না। রাজনীতি এভাবে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে না।
'ছাত্রানং অধ্যয়নং তপঃ'- পাঠ্য বইতে এমন কথা পড়ানো হয় ছোটবেলাতেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পড়তে যান, তাঁরা জীবনের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যাওয়া এই ছাত্ররা যখন সামান্য ব্যাপার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন, তখন তাঁদের ওপর থেকে সব ভরসা উঠে যায়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, উচ্চশিক্ষার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও যখন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারেও প্রশ্ন দেখা দেয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনা থেকে নতুন আরেকটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক সরকার অপসারণের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার খবরও জানা গেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংঘর্ষের নেপথ্যে সুদূরপ্রসারী কোনো ষড়যন্ত্র নেই তো? অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্র সংঘর্ষের পর অনেককিছু ঘটেছে দেশের রাজনীতিতে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংঘর্ষের নেপথ্যে অন্য কোনো শক্তির হাত রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রাণঘাতী তাণ্ডব বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক ও সজাগ থাকবে, এমনটিই আশা করি আমরা।
No comments