ভাষার রাজনীতি-মাতৃভাষা নিয়ে কেন অহংবোধ থাকবে না? by মোহীত উল আলম

ভাষার রাজনৈতিক ব্যবহার নিয়ে আমরা সচেতন হই যখন পাকিস্তানের স্রষ্টা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালে ঢাকায় এসে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রথমবার তিনি এ ঘোষণা দেন ২১ মার্চ রেসকোর্সের একটি জনসভায়, সেখানে তিনি প্রতিবাদের সম্মুখীন হন।


২৪ মার্চ কার্জন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একই বক্তব্য দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভাষা নিয়ে পাকিস্তানে রাজনীতি শুরু হয়। আমাদের ভাষা স্বাতন্ত্র্যবোধ ক্রমে ক্রমে রাজনৈতিক স্বাজাত্যবোধে পরিণত হয়। কিন্তু এখনো আমরা কবি আবদুল হাকিমের সেই অনন্য পঙিক্তঋদ্ধ অনুশোচনার বাইরে আসতে পারিনি: ‘যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী/ সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় না জানি।’
আমার আজকের আলোচনায় বাংলা ভাষার বিপরীতে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশের একটি তুলনামূলক প্রেক্ষাপট তৈরি করে দেখাতে চাইব যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের উন্নতির জন্য এবং বাংলাদেশকে স্বয়ম্ভর একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামোতে দাঁড় করানোর জন্য সর্বস্তরে মাতৃভাষা অর্থাৎ বাংলা ভাষার কার্যকর প্রচলন ছাড়া উপায় নেই।
তবে ভাষার রাজনৈতিক পরিচয় বোঝার জন্য নিম্নোক্ত সরস আখ্যানটি উপভোগ্য হতে পারে। গল্পটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে নিয়ে। একবার তাঁর গৃহে অতিথি এলে তাঁকে আপ্যায়নের জন্য তিনি ভৃত্যকে ডাকছিলেন। কয়েকবার ডাকার পরও ভৃত্য সাড়া না দেওয়াতে তিনি যখন বিরক্ত হয়ে উঠছিলেন, তখন ভৃত্যের উদয় হয়। গামছা দিয়ে তখন সে হাত-মুখ মুছছিল। বিদ্যাসাগর বললেন, ‘কী রে, এতক্ষণ কোথায় ছিলি, ডেকে সাড়া পাচ্ছি না’। ভৃত্য বলল, ‘আজ্ঞে, আমি আহার করছিলুম’। বিদ্যাসাগর হেসে বললেন, ‘ব্যাটা, তুই আহার করছিলি না, তুই গিলছিলি, আহার করেন বাবুরা’।
‘আহার করা’ আর ‘গেলা’র পার্থক্যের মধ্যে পৃথিবীর যত শ্রেণীগত রাজনীতির কথা, যত শোষণের গল্প লুকিয়ে আছে। প্রখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ডেভিড ক্রিস্টালের একটি চটি বই আছে ইংলিশ: দ্য গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ, ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত। বইটিতে ইংরেজি কীভাবে বিশ্বভাষায় পরিণত হলো তার একটি নিটোল বর্ণনা আছে। ভারতে ইংরেজির ক্রম-অধিষ্ঠান বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি একটি কৌশল অবলম্বন করলেন। ১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধ এবং ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লব সম্পর্কে তিনি স্রেফ নীরব রইলেন। যেন এ দুটো ঘটনা ঘটেইনি। ব্যাপারটা তাতে এমন দাঁড়াল যে ইংরেজি ভাষা যেন ভারতে কোনো বাধা-প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বিকাশ লাভ করেছিল। এখানে ইংরেজি ভাষার ইতিহাস নিয়ে তাঁর রাজনীতিটা হলো বিশ্বদরবারে প্রমাণ করা যে ইংরেজি যেন কখনো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ভাষা ছিল না, এটা যেন তার আপন মহিমাগুণে বিশ্বভাষায় পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, ইংরেজি ভাষার বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠা লাভের পেছনে যে কামানের গোলা কাজ করেছিল, সেটি ক্রিস্টাল সচেতনভাবে এড়িয়ে গেলেন। ইংরেজি তাঁর মাতৃভাষা। সে জন্য ইংরেজির মাহাত্ম্য প্রচার করাই তাঁর উদ্দেশ্য।
১৭১৯ সালে প্রকাশিত ড্যানিয়েল ডিফোর জনপ্রিয় উপন্যাস রবিনসন ক্রুসোতে নায়ক ক্রুসোর সঙ্গে জনৈক দ্বীপবাসীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার কাহিনি আছে। লোকটি কৃষ্ণকায়। কিন্তু ক্রুসো প্রথমে যে কাজটি করেন, সেটি ঔপনিবেশিক রাজনীতির সাফল্যের সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র প্রয়োগের সূচনাপর্ব বটে। লোকটির নাম দিলেন তিনি, ম্যান ফ্রাইডে। কারণ, লোকটিকে যেদিন নরখাদকদের হাত থেকে তিনি উদ্ধার করেন সেদিন ছিল শুক্রবার। (বলা বাহুল্য, পরবর্তীকালে ঐতিহাসিকেরা দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলসংলগ্ন দ্বীপাঞ্চলগুলোতে কোনো নরখাদক বা ক্যানিবল জনগোষ্ঠীর খোঁজ পাননি। এটি ছিল নিছক ডিফোর কল্পনা।) ম্যান ফ্রাইডেকে ইংরেজি ভাষা শেখানো হয় এবং ইংল্যান্ডেও নিয়ে আসা হয়। যেন এর আগে ফ্রাইডের নিজস্ব কোনো ভাষা ছিল না, সে ছিল বোবা।
ঔপনিবেশিক রাজনীতির এই সূত্রের প্রয়োগে অনেক দিন কলকাতা হয়ে পড়েছিল ‘ক্যালকাট্টা’, আর ঢাকা হয়ে পড়েছিল ‘ডাক্কা’। তবে, এ পর্ব হয়তো আমরা শুধু পার হয়ে এসেছি, কিন্তু এর প্রকোপ থেকে মুক্তি পেয়েছি বলা যাবে না। ভাষা নিয়ে রাজনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে এটিকে অপরকে বা শাসিতকে পরাভূত করে রাখার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। ইংরেজ লর্ড ম্যাকলের কথা নিশ্চয় সবার মনে পড়ছে। পণ্ডিত লোক ছিলেন। ভারতীয়দের কোনো নিজস্ব জবান আছে সেটা বিশ্বাস করতে পারেননি, কেননা তাঁর ধারণায়, পুরো ভারতীয় আর পার্সি সাহিত্য অর্থাৎ পুরো প্রাচ্যের সাহিত্য যে ইউরোপের যেকোনো গ্রন্থাগারের দুই তাক বা র‌্যাক ভর্তি হয়েই শেষ হয়ে যাবে। তাই বললেন, ভারতীয়দের মুখে বুলি দিতে হবে। ১৮৩৫ সালে তাঁর বিখ্যাত শিক্ষানীতি পাস করিয়ে নিলেন, যাতে বলা হলো যে ভারতীয়দের মধ্যে বাছাইকৃত শিক্ষিত অংশ শুধু চামড়ায় থাকবে ভারতীয় কিন্তু বুলি তাদের হবে ইংরেজি। ম্যাকলের আমরা দুয়োরানির নাতিপুতি। আমরা তাই স্বাধীন বাংলাদেশে চড়বড়িয়ে বলে বেড়াচ্ছি যে ইংরেজি ছাড়া আমাদের চলবে না, ইংরেজি হচ্ছে জীবন, ইংলিশ ইজ লাইফ, চিকিৎসার ভাষায় যেটাকে বলা হবে কোরামিন। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এ মানসিকতার সমালোচনা করতে গিয়ে টিভির একটি চ্যানেলে তাঁর স্বভাবসুলভ ঠাট্টার ভঙ্গিতে বলেছেন, তা হলে জাপান, চীন, কোরিয়া, ব্রাজিল, রাশিয়া এমনকি মালয়েশিয়া পর্যন্ত ইংরেজি ছাড়া এত ওপরে উঠল কীভাবে!
ইংরেজি সভ্যতার সকল প্রকার মৌলিক চিন্তার উৎসযুগ ষোড়শ-সপ্তদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডের রেনেসাঁর সময়ে শেক্সপিয়ার ১৬১১ সালে তাঁর দ্য টেম্পেস্ট নাটকে ক্রুসোর পূর্বসূরি প্রসপেরোকে দিয়ে তাঁর ভৃত্য ক্যালিবানকে ঔপনিবেশিক ভাষা শেখানোর প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। ব্যাপারটার মধ্যে যে অস্বাভাবিকতা আছে, যেটা ম্যাকলে আন্দাজ করতে পারেননি, কিন্তু যেটা শেক্সপিয়ারের দূরদৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারেনি সেটার জায়গা দিতে গিয়ে শেক্সপিয়ার ক্যালিবানের মুখে সে বিখ্যাত অভিসম্পাতের ভাষা জুগিয়ে দিলেন: ‘ইয়ু টট মি ল্যাঙ্গুয়েজ; অ্যান্ড মাই প্রফিট অন ইট / ইজ আই নো হাউ টু কার্স’ (তুমি আমাকে ভাষা শিখিয়েছ, আর এতে আমার লাভ হলো, আমি জানি কীভাবে গালাগাল করতে হয়।)
১৬১১ সালে ইংল্যান্ডে ধর্মের জগতে আরেকটি বড় বিপ্লব ঘটে যায়। রাজা প্রথম জেইমসের উদ্যোগে ইংল্যান্ডের নির্বাচিত মনীষীরা মিলে পাঁচ বছরের অপরিসীম পরিশ্রমের পর পবিত্র বাইবেলের ইংরেজি ভাষান্তর প্রকাশ করেন, যেটি দ্য কিং জেইমস বাইবেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এটার ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডিসেম্বর ২০১১ সংখ্যার সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধটির লেখক অ্যাডাম নিকলসন জানাচ্ছেন, এ চারশ বছর পরও রাজা জেইমসের বাইবেলের ইংরেজি ভাষা যেমন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বিখ্যাত সংগীতকার বব মার্লের অনুসারী রাস্তাফারিয়ানদের অনুপ্রাণিত করছে, তেমনি করছে নিউ মেক্সিকো স্টেটের নাভাজো রিজারভেশনের ইন্ডিয়ান অশ্বারোহী রোম ওয়েজারকে। এরও প্রায় ৮৫ বছর আগে আরেক ইংরেজ সন্তান উইলিয়াম টিনডেল ১৫২৬ সালে বাইবেলকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। তখনো মুদ্রণশিল্প ইংল্যান্ডে প্রবেশ করেনি। টিনডেল তাঁর অনুবাদটি ছাপিয়েছিলেন জেনেভা থেকে। বাইবেলকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে তিনি এ জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন যে ল্যাটিন ভাষায় রচিত বাইবেল সাধারণ ইংরেজদের অধিগম্য ছিল না এবং তার ফলে ক্যাথলিক ধর্মযাজকেরা ধর্মের নামে সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছিল। টিনডেল তাঁর এ কর্মের জন্য ঈশ্বরদ্রোহিতার অভিযোগে ১৫৩৬ সালে শিরশ্ছেদকৃত হলেও, রাজা জেইমসের লক্ষ্য ছিল কিন্তু ভিন্ন। তাঁর উদ্যোগে অনূদিত বাইবেলের একটি অতি পরিচিত শব্দগুচ্ছ হচ্ছে ‘দ্য পাওয়ারস দ্যাট বি’ (অর্থাৎ ঈশ্বরের শক্তির মতোই রাজশক্তি প্রতিষ্ঠা পায়)। অর্থাৎ ধর্মগ্রন্থের মাধ্যমে রাজশক্তির প্রতিষ্ঠা হবে সাধারণ ইংরেজদের মনের কোঠায়, বাইবেল ইংরেজিতে অনুবাদ করিয়ে নেওয়ার পেছনে এ ছিল তাঁর রাজনৈতিক অভীপ্সা। বাইবেলকে স্বচ্ছন্দ ইংরেজি ভাষায় অনূদিত করে রাজার মহিমা তিনি স্থায়ী করলেন, এটি হলো ভাষা নিয়ে তাঁর রাজনীতি। কিন্তু অনুবাদের ইংরেজি ভাষাটি এত চমৎকার হয়েছে যে বলা হয় ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য এত প্রবল এবং ইংল্যান্ডের পরাশক্তিসম্পন্ন সাম্রাজ্যবাদী দেশ হয়ে ওঠার পেছনে এ অনূদিত বাইবেলের ভূমিকা অত্যন্ত প্রত্যক্ষ।
ইংরেজদের মাতৃভাষার মাধ্যমে ফুঁড়ে ওঠার সংগ্রামী ইতিহাস কম দীর্ঘ নয়। ১৫৮৬ সালে উইলিয়াম বুলোকার রচিত প্রথম ইংরেজি ব্যাকরণ লিখিত হয় প্যাম্ফলেট অব গ্রামার। তার পরও দেড় শ বছর পর্যন্ত, ১৭৫৫ সালে, স্যামুয়েল জনসনের অভিধান আ ডিকশনারি অব দ্য ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ বের না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষিত ইংরেজমাত্রই ইংরেজি ভাষার ব্যাকরণকে ম্লেচ্ছ বা অচ্ছুৎ মনে করতেন। বুলোকারের সময়কালীন ল্যাটিন এবং ফরাসি ভাষার প্রতিপত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামরত অন্যান্য ইংরেজ মনীষী ছিলেন টমাস এলিয়ট, রজার আসকাম (রানি এলিজাবেথের শিক্ষক), উইলসন, জর্জ পুটেনহাম এবং রিচার্ড ম্যালকেস্টর (মার্টিন টেইলর স্কুলের প্রধান শিক্ষক)। শেষোক্তজন বিদেশি ভাষার দাসত্ব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে লিখলেন: ‘আমাদের ভাষা আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের স্বাধীনচিত্ততার কথা, আর ল্যাটিন ভাষা আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের পায়ে বিদেশি ভাষার রজ্জুর কথা, পরাধীনতার কথা। আমি রোমকে ভালোবাসি, কিন্তু লন্ডনকে আরও ভালোবাসি। আমি ইতালিকে পছন্দ করি, কিন্তু ইংল্যান্ডকে আরও বেশি ভালোবাসি। আমি ল্যাটিন ভাষাকে সম্মান করি, কিন্তু ইংরেজি ভাষাকে পূজা করি।’ (সূত্র: এ সি ব: আ হিস্ট্রি অব দ্য ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ)
উপরিউক্ত আলোচনার সূত্রে আমরা বলতে পারি, আমাদেরও বাংলা ভাষা নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। এ কথা বুঝতে হবে যে মাতৃভাষার চর্চার মাধ্যমে বেশির ভাগ লোক যখন বোধগম্য জগতে বিচরণ করতে থাকে, তাদের যখন জীবন ও জগৎ সম্পর্কে বোধগম্যতা বাড়ে, তখন জাতি কখনো পিছিয়ে থাকতে পারবে না।
পাঁচ লাখ লোক বেশি মাত্রায় শিক্ষিত হওয়া অবশ্যই একটি জরুরি ব্যাপার এবং তার মধ্যে দুই লাখ লোক ইংরেজিতে সুশিক্ষিত হওয়া আরও জরুরি; কিন্তু তার চেয়েও জরুরি হলো নিতান্তপক্ষে ১০ কোটি লোক আপন মাতৃভাষায় শিক্ষিত হওয়া জীবন, সমাজ, বিজ্ঞান, ধর্ম, রাজনীতি, উৎপাদন এবং সভ্যতায়। জাতি হিসেবে উন্নত হোন, তখন দেখবেন ইংরেজ আর সৌদিরা এসে হাত কুর্নিশ করে দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে।
পাদটীকা হিসেবে বলছি, মাতৃভাষা হচ্ছে গর্ব করার বস্তু। ভারতীয় ইংরেজি ভাষার লেখিকা অরুন্ধতী রায় যখন তাঁর বুকার পুরস্কারপ্রাপ্ত উপন্যাস দ্য গড অব স্মল থিংস লিখে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেলেন, তখন টাইম সাময়িকীতে উপন্যাসটির ওপর একটি আলোচনায় লেখা হলো, অরুন্ধতী রায়ের ইংরেজির ওপর এত দখল যে তাঁর ভাষার দক্ষতা অনুযায়ী উপন্যাসটি উতরোতে পারেনি। খোঁচাটা এখানে যে, অ-ইংরেজি ভাষাভাষী হয়ে কেন অরুন্ধতী এতটা ইংরেজি জানবেন! আমাদের মাতৃভাষা নিয়ে কেন আমাদের এ রকম অহংবোধ থাকবে না?
মোহীত উল আলম: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, মানববিদ্যা বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস।

No comments

Powered by Blogger.