বউমেলা, শুধুই নারীদের জন্য

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পোড়াদহে বুধবার জামাইমেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিল পুরুষদের প্রাধান্য। গতকাল বৃহস্পতিবার হয়ে গেল বউমেলা, যেখানে প্রাধান্য ছিল পাড়াগাঁওয়ের বউ-ঝিদের। বউমেলায় পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। ১৫ জন নারী মেলার বাইরে পাহারায় থাকেন। জামাইমেলায় মাছ-মিষ্টির ছড়াছড়ি। আর বউমেলায় গৃহস্থালি ও প্রসাধনসামগ্রী থাকে বেশি।


গতকাল সকাল ১০টায় গোলাবাড়ীর পালপাড়াসংলগ্ন চাষের জমিতে বউমেলা বসে। মেলার আশপাশের অর্ধশত গ্রামের বউ-ঝিরা এক দিনের এ মেলায় কেনাকাটা করতে আসেন। আগের বছরগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতারা সবাই ছিলেন নারী। এবারই ব্যতিক্রম ঘটল। নারী বিক্রেতাদের পাশাপাশি পুরুষ বিক্রেতারাও যোগ দেন মেলায়। ১৭ বছর ধরে এ মেলা চলে আসছে।
বউমেলায় এসেছিলেন নবদম্পতি নূরজাহান ও জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর জানান, একসঙ্গে এলেও তিনি মেলায় ঢুকতে পারেননি। নূরজাহান বলেন, ‘মেলায় এসে স্বামীকে ছাড়াই কেনাকাটা করছি।’
মহিষাবান পূর্বপাড়ার কছিমন বেওয়া বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। ভ্যানে চড়ে তিনিও এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই মেলার কথা অনেক শুনিছি। কখনো দেখিনি। নাতির সাতে দেখবার আসছি। মেয়েগোরে মেলা দেখে ভালো লাগছে।’
বউমেলার আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, নারীরা সাধারণত পুরুষদের সঙ্গে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তাঁদের কেনাকাটার সুবিধার্থে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.