পবিত্র কোরআনের আলো-ঈসা মাসীহ (আ)-এর জন্মের পর ইহুদি বংশে আর কোনো নবী আসেননি
১৯। ইয়া আহ্লাল কিতাবি ক্বাদ জাআকুম রাসূলুনা ইউবাইয়্যিনু লাকুম 'আলা ফাত্রাতিম মিনার রুসুলি আন তাক্বূলূ মা জাআনা মিম বাশীরিউঁ ওয়ালা নাযীর; ফাক্বাদ জাআকুম বাশীরুঁ ওয়া নাযীর; ওয়াল্লাহু 'আলা কুলি্ল শাইয়্যিন ক্বাদীর।
২০। ওয়া ইয ক্বালা মূসা লিক্বাওমিহী ইয়া ক্বাওমিয্কুরূ নি'মাতাল্লাহি 'আলাইকুম ইয জা'আলা ফীকুম আম্বিইয়াআ ওয়া জা'আলাকুম মুলূকা; ওয়া আতাকুম মা লাম ইউ'তি আহাদাম মিনাল 'আলামীন।
২০। ওয়া ইয ক্বালা মূসা লিক্বাওমিহী ইয়া ক্বাওমিয্কুরূ নি'মাতাল্লাহি 'আলাইকুম ইয জা'আলা ফীকুম আম্বিইয়াআ ওয়া জা'আলাকুম মুলূকা; ওয়া আতাকুম মা লাম ইউ'তি আহাদাম মিনাল 'আলামীন।
২১। ইয়া ক্বাওমিদ্খুলুল আর্দ্বাল মুক্বাদ্দাসাতাল্লাতী কাতাবাল্লাহু লাকুম ওয়ালা তার্তাদ্দূ 'আলা আদ্বারিকুম ফাতান্ক্বালিবূ খাসিরীন। [সুরা : আল-মায়িদা, আয়াত : ১৯-২১]
অনুবাদ
১৯. হে আহলে কিতাবগণ, তোমাদের কাছে আমার রাসুল (সা.) এসে পেঁৗছেছেন, যিনি তোমাদের স্পষ্ট পথ নির্দেশনা দেবেন, এমন এক সময়, যখন রাসুল আগমনের ধারাবাহিকতা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। (তাঁকে পাঠানো হয়েছে এ কারণেও যে) তোমরা যেন বলতে না পার, আমাদের কাছে কোনো সুসংবাদদাতা বা সতর্ককারী আসেনি। তোমাদের কাছে সৎকাজের শুভ পরিণতির সুসংবাদদাতা এবং খারাপ কাজের অশুভ পরিণতির সতর্ককারী এসেছে। আল্লাহ তায়ালা সব বিষয়ে সক্ষম।
২০. যখন মূসা (আ.) তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের বললেন, হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের যে নিয়ামত দান করেছেন, তা তোমরা স্মরণ করো_যখন তিনি তোমাদের মধ্যে বহু নবীর জন্ম দিয়েছেন, তিনি তোমাদের রাজত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি তোমাদের এমন সব নিয়ামত দান করেছেন, যা সৃষ্টিকুলের আর কাউকে দান করেননি।
২১. হে আমার জাতি, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি নির্ধারণ করে রেখেছেন, তোমরা তাতে প্রবেশ করো। আর এই অভিযানে কখনো পশ্চাদপসরণ করো না। যদি পশ্চাদপসরণ করো, তাহলে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ব্যাখ্যা
এসব আয়াতেও প্রথমে খ্রিস্টানদের প্রসঙ্গে এবং পরে ইহুদিদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মের পর থেকে শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের মধ্যবর্তী সময়ে পৃথিবীতে যে আর কোনো নবী আসেননি, সেটা এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মের পর থেকে শেষ নবীর জন্মের আগ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ বছর ছিল ইঞ্জিল কিতাবের যুগ। আর ইহুদি বংশে জন্মগ্রহণ করা সর্বশেষ নবী হজরত ঈসা (আ.)। এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা খ্রিস্টানদের এই মর্মে আহ্বান জানাচ্ছেন, তারা তো আফসোস করে বলত, 'আমরা নবীর জামানা পাইনি; এবং সরাসরি নবীদের শিক্ষা ও হিদায়াত গ্রহণ করার সুযোগ পাইনি।' এ পরিস্থিতিতে আল্লাহ বলছেন, এখন তো তোমাদের কাছে নবী মুহাম্মদ (সা.) এসে গেছেন। সুতরাং এখন তো তাঁর শিক্ষা ও হিদায়াত গ্রহণ করার সুস্পষ্ট সুযোগ সামনে এসে গেছে। কিন্তু খ্রিস্টধর্ম-পুরুষরা তাদের কায়েমি স্বার্থ রক্ষার জন্য আল্লাহ্র আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
২০ ও ২১ নম্বর আয়াতে ইহুদিদের প্রসঙ্গ বলা হয়েছে। মূসা (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের এসব কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন। ইহুদিদের আল্লাহ অনেক নিয়ামত দান করেছেন। এই বংশে অসংখ্য নবী-রাসুলের জন্ম হয়েছে। এই বংশকে আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির সর্বাধিক সম্মানিত সম্প্রদায় হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্ব ও রাজত্ব দান করেছেন। এর পরও কিন্তু তারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে চলতে প্রায়ই ব্যর্থ হয়েছে। মূসা (আ.) যখন তাদের পিতৃপুরুষদের আবাসভূমি হিসেবে পরিচিত পবিত্র ভূমিতে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তখন তারা সেই আদেশ পালন করেনি। তাদের মধ্যে তখন সৎ সাহস ও আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা গিয়েছিল। ২১ নম্বর আয়াতে সেই ঘটনার প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ
১৯. হে আহলে কিতাবগণ, তোমাদের কাছে আমার রাসুল (সা.) এসে পেঁৗছেছেন, যিনি তোমাদের স্পষ্ট পথ নির্দেশনা দেবেন, এমন এক সময়, যখন রাসুল আগমনের ধারাবাহিকতা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। (তাঁকে পাঠানো হয়েছে এ কারণেও যে) তোমরা যেন বলতে না পার, আমাদের কাছে কোনো সুসংবাদদাতা বা সতর্ককারী আসেনি। তোমাদের কাছে সৎকাজের শুভ পরিণতির সুসংবাদদাতা এবং খারাপ কাজের অশুভ পরিণতির সতর্ককারী এসেছে। আল্লাহ তায়ালা সব বিষয়ে সক্ষম।
২০. যখন মূসা (আ.) তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের বললেন, হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের যে নিয়ামত দান করেছেন, তা তোমরা স্মরণ করো_যখন তিনি তোমাদের মধ্যে বহু নবীর জন্ম দিয়েছেন, তিনি তোমাদের রাজত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি তোমাদের এমন সব নিয়ামত দান করেছেন, যা সৃষ্টিকুলের আর কাউকে দান করেননি।
২১. হে আমার জাতি, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি নির্ধারণ করে রেখেছেন, তোমরা তাতে প্রবেশ করো। আর এই অভিযানে কখনো পশ্চাদপসরণ করো না। যদি পশ্চাদপসরণ করো, তাহলে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ব্যাখ্যা
এসব আয়াতেও প্রথমে খ্রিস্টানদের প্রসঙ্গে এবং পরে ইহুদিদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মের পর থেকে শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের মধ্যবর্তী সময়ে পৃথিবীতে যে আর কোনো নবী আসেননি, সেটা এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মের পর থেকে শেষ নবীর জন্মের আগ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ বছর ছিল ইঞ্জিল কিতাবের যুগ। আর ইহুদি বংশে জন্মগ্রহণ করা সর্বশেষ নবী হজরত ঈসা (আ.)। এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা খ্রিস্টানদের এই মর্মে আহ্বান জানাচ্ছেন, তারা তো আফসোস করে বলত, 'আমরা নবীর জামানা পাইনি; এবং সরাসরি নবীদের শিক্ষা ও হিদায়াত গ্রহণ করার সুযোগ পাইনি।' এ পরিস্থিতিতে আল্লাহ বলছেন, এখন তো তোমাদের কাছে নবী মুহাম্মদ (সা.) এসে গেছেন। সুতরাং এখন তো তাঁর শিক্ষা ও হিদায়াত গ্রহণ করার সুস্পষ্ট সুযোগ সামনে এসে গেছে। কিন্তু খ্রিস্টধর্ম-পুরুষরা তাদের কায়েমি স্বার্থ রক্ষার জন্য আল্লাহ্র আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
২০ ও ২১ নম্বর আয়াতে ইহুদিদের প্রসঙ্গ বলা হয়েছে। মূসা (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের এসব কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন। ইহুদিদের আল্লাহ অনেক নিয়ামত দান করেছেন। এই বংশে অসংখ্য নবী-রাসুলের জন্ম হয়েছে। এই বংশকে আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির সর্বাধিক সম্মানিত সম্প্রদায় হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্ব ও রাজত্ব দান করেছেন। এর পরও কিন্তু তারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে চলতে প্রায়ই ব্যর্থ হয়েছে। মূসা (আ.) যখন তাদের পিতৃপুরুষদের আবাসভূমি হিসেবে পরিচিত পবিত্র ভূমিতে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তখন তারা সেই আদেশ পালন করেনি। তাদের মধ্যে তখন সৎ সাহস ও আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা গিয়েছিল। ২১ নম্বর আয়াতে সেই ঘটনার প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments