চাকরি ছাড়লেন ক্যাপেলো!
অভিযোগ একই সঙ্গে গুরুতর, আবার নয়ও। গুরুতর এই অর্থে—বর্ণবাদ বিষয়টি সব সময়ই স্পর্শকাতর। আবার গুরুতর নয়, কারণ শাস্তি হলেও সেটি হবে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ পাউন্ডের জরিমানা। টাকার অঙ্কের দিক দিয়ে একেবারেই নগণ্য। তার পরও এই ছোট অঙ্কের সম্ভাব্য শাস্তির ঘটনা কেন্দ্র করে যা ঘটল, সেটা ইংলিশ ফুটবলকেই নাড়িয়ে দিল।
পরশু ইংলিশ ফুটবল সংস্থার (এফএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে কোচের পদ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন ফ্যাবিও ক্যাপেলো!
এফএর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের ফল যে এমনটা হবে, এটা কেউই ধারণা করেনি। ইংলিশ মিডিয়ার একটি অংশ অবশ্য বলে আসছিল ক্যাপেলো ছাঁটাই হতে পারেন। তবে বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমই বলছিল অন্য কথা। আর কয়েক মাস পরেই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। বিশ্বকাপের পরেই এই টুর্নামেন্টটির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সুতরাং এই টুর্নামেন্টের আগে অধিনায়কের পর কোচকেও ছাঁটাই করার মতো আহাম্মকি এফএ করবে না!
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ক্যাপেলোও সরে দাঁড়ানোর চিন্তা আগে থেকে করেননি। কিন্তু বৈঠকে এফএ কর্মকর্তারা তাঁকে ঝাঁজাল ভাষায় আক্রমণ করলে সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। ২০১২ ইউরোর পর তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হতো। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোচ সমাজে সম্ভ্রান্ত ক্যাপেলো অপমান সহ্য করবেন কেন!
পরশুই আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এফএ নিশ্চিত করে ক্যাপেলোর পদত্যাগের খবর, ‘ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এটা নিশ্চিত করতে পারে যে ফ্যাবিও ক্যাপেলো আজ ইংল্যান্ডের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়কের পদ থেকে জন টেরিকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এফএর বোর্ডের সিদ্ধান্ত এবং এ নিয়ে ইতালির একটি টিভি চ্যানেলে ফ্যাবিও ক্যাপেলোর দেওয়া প্রতিক্রিয়া।’
ক্যাপেলোর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। এবং তাৎক্ষণিকভাবেই তা কার্যকর হয়েছে বলেও জানিয়েছে এফএ। ফলে এর মাধ্যমেই ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে ক্যাপেলোর চার বছরের যাত্রা শেষ হয়ে গেল। ৬৫ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান হালভাঙা জাহাজ হয়ে পড়া ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০০৭-এর ডিসেম্বরে। স্টিভ ম্যাকক্লারেনের অধীনে ইংল্যান্ড তখন ইউরো ২০০৮-এ কোয়ালিফাই করতে পারেনি।
তারকায় ঠাসা কিন্তু ব্যর্থতায় পদানত ইংল্যান্ড দলকে দ্রুতই কক্ষপথে ফিরিয়ে আনেন শৃঙ্খলার ব্যাপারে আপসহীন বলে সুখ্যাত এই ইতালিয়ান। যদিও ২০১০ বিশ্বকাপে গিয়ে আবারও ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। সহজ গ্রুপে পড়েও যুক্তরাষ্ট্র আর আলজেরিয়ার সঙ্গে ড্র, এরপর স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে। কিন্তু সেখানে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের শোধ তুলে ইংল্যান্ডকে ৪-১ গোলের লজ্জা দেয় জার্মানি।
তার পরও ইউরো পর্যন্ত ক্যাপেলোকে রেখে দেয় এফএ। ক্যাপেলো নিজেই ইউরোর পর আর থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে থেকেই তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার কাজ করে যাচ্ছে ইংলিশ মিডিয়া। তাতে টটেনহামের মতো সাধারণ একটি দলকে অসাধারণ বানিয়ে তোলার কারিগর হ্যারি রেডন্যাপের নামই আসছে বেশি করে। তবে আপাতত ইংল্যান্ড দলের কোনো কোচ নেই, অধিনায়কও নেই! এএফপি, রয়টার্স।
এফএর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের ফল যে এমনটা হবে, এটা কেউই ধারণা করেনি। ইংলিশ মিডিয়ার একটি অংশ অবশ্য বলে আসছিল ক্যাপেলো ছাঁটাই হতে পারেন। তবে বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমই বলছিল অন্য কথা। আর কয়েক মাস পরেই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। বিশ্বকাপের পরেই এই টুর্নামেন্টটির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সুতরাং এই টুর্নামেন্টের আগে অধিনায়কের পর কোচকেও ছাঁটাই করার মতো আহাম্মকি এফএ করবে না!
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ক্যাপেলোও সরে দাঁড়ানোর চিন্তা আগে থেকে করেননি। কিন্তু বৈঠকে এফএ কর্মকর্তারা তাঁকে ঝাঁজাল ভাষায় আক্রমণ করলে সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। ২০১২ ইউরোর পর তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হতো। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোচ সমাজে সম্ভ্রান্ত ক্যাপেলো অপমান সহ্য করবেন কেন!
পরশুই আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এফএ নিশ্চিত করে ক্যাপেলোর পদত্যাগের খবর, ‘ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এটা নিশ্চিত করতে পারে যে ফ্যাবিও ক্যাপেলো আজ ইংল্যান্ডের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়কের পদ থেকে জন টেরিকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এফএর বোর্ডের সিদ্ধান্ত এবং এ নিয়ে ইতালির একটি টিভি চ্যানেলে ফ্যাবিও ক্যাপেলোর দেওয়া প্রতিক্রিয়া।’
ক্যাপেলোর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। এবং তাৎক্ষণিকভাবেই তা কার্যকর হয়েছে বলেও জানিয়েছে এফএ। ফলে এর মাধ্যমেই ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে ক্যাপেলোর চার বছরের যাত্রা শেষ হয়ে গেল। ৬৫ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান হালভাঙা জাহাজ হয়ে পড়া ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০০৭-এর ডিসেম্বরে। স্টিভ ম্যাকক্লারেনের অধীনে ইংল্যান্ড তখন ইউরো ২০০৮-এ কোয়ালিফাই করতে পারেনি।
তারকায় ঠাসা কিন্তু ব্যর্থতায় পদানত ইংল্যান্ড দলকে দ্রুতই কক্ষপথে ফিরিয়ে আনেন শৃঙ্খলার ব্যাপারে আপসহীন বলে সুখ্যাত এই ইতালিয়ান। যদিও ২০১০ বিশ্বকাপে গিয়ে আবারও ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। সহজ গ্রুপে পড়েও যুক্তরাষ্ট্র আর আলজেরিয়ার সঙ্গে ড্র, এরপর স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে। কিন্তু সেখানে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের শোধ তুলে ইংল্যান্ডকে ৪-১ গোলের লজ্জা দেয় জার্মানি।
তার পরও ইউরো পর্যন্ত ক্যাপেলোকে রেখে দেয় এফএ। ক্যাপেলো নিজেই ইউরোর পর আর থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে থেকেই তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার কাজ করে যাচ্ছে ইংলিশ মিডিয়া। তাতে টটেনহামের মতো সাধারণ একটি দলকে অসাধারণ বানিয়ে তোলার কারিগর হ্যারি রেডন্যাপের নামই আসছে বেশি করে। তবে আপাতত ইংল্যান্ড দলের কোনো কোচ নেই, অধিনায়কও নেই! এএফপি, রয়টার্স।
No comments