মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস-শুভেচ্ছা কোচিংয়ের মালিকসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র by গোলাম মর্তুজা
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টারের মালিক এম এ মান্নানসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লুৎফর রহমান ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, মান্নান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন চুরি, চুরির পরিকল্পনা ও প্ররোচনা দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগপত্রে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মহাখালীতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর সরকারি প্রেস থেকে প্রশ্ন নিয়ে বের হওয়ার সময় ধরা পড়েন ওই প্রেসের কর্মী শাহেন শাহ ঠাকুর। ওই রাতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক শাহ আবদুল লতিফ এ নিয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। এ কারণে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রগুলো জানায়, শাহেন শাহ দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে ওই প্রেসে কাজ করতেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ছাপাখানার ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমান (৪৭) ও কারিগর এস এম আলমগীরকে (৩৯) গ্রেপ্তার করে ডিবি। শাহেন শাহ ঠাকুরের মামা হলেন ফাইজুর। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় এম এ মান্নানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। ৪ অক্টোবর ভোরে ডিবি মান্নানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তদন্তে ফাইজুর ও আলমগীরের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, প্রশ্ন এনে দিতে পারলে শাহেন শাহ ঠাকুরকে কয়েক লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এম এ মান্নান। মান্নানের কার্যালয়ে এ নিয়ে কথা হয়। তাঁর প্ররোচনায় শাহেন শাহ প্রশ্ন চুরি করার সময় ধরা পড়েন। তবে চুরির আগে মান্নান কোনো টাকা দেননি শাহেন শাহকে।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, শ্রমিক শাহেন শাহ আদালতের কাছে লিখিত জবানবন্দিতেও মান্নানের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রশ্ন ফাঁস বা চুরির পরিকল্পনা করে মান্নান বিদেশে চলে যান। দেশে ফেরার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগপত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন চুরি ও চুরিতে প্ররোচনা দেওয়া ও সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বিষয়ে হওয়া মামলাতেও ‘প্রশ্ন চুরির’ অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তদন্ত সূত্রগুলো জানায়, গ্রেপ্তারের কয়েক দিন পরই জামিন পেয়ে যান আবদুল মান্নান। শাহেন শাহ ঠাকুর এখনো কারাগারে।
জানতে চাইলে মামলার বাদী শাহ আবদুল লতিফ বলেন, ‘এটি একটি জটিল মামলা ছিল। দীর্ঘ তদন্তে অপরাধীদের চিহ্নিত করা গেছে।’ তিনি বলেন, ‘দোষীদের শাস্তি হোক, এটাই আমাদের চাওয়া। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে প্রশ্ন ফাঁস নিশ্চিতভাবেই কমে যাবে।’
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মহাখালীতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর সরকারি প্রেস থেকে প্রশ্ন নিয়ে বের হওয়ার সময় ধরা পড়েন ওই প্রেসের কর্মী শাহেন শাহ ঠাকুর। ওই রাতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক শাহ আবদুল লতিফ এ নিয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। এ কারণে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রগুলো জানায়, শাহেন শাহ দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে ওই প্রেসে কাজ করতেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ছাপাখানার ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমান (৪৭) ও কারিগর এস এম আলমগীরকে (৩৯) গ্রেপ্তার করে ডিবি। শাহেন শাহ ঠাকুরের মামা হলেন ফাইজুর। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় এম এ মান্নানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। ৪ অক্টোবর ভোরে ডিবি মান্নানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তদন্তে ফাইজুর ও আলমগীরের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, প্রশ্ন এনে দিতে পারলে শাহেন শাহ ঠাকুরকে কয়েক লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এম এ মান্নান। মান্নানের কার্যালয়ে এ নিয়ে কথা হয়। তাঁর প্ররোচনায় শাহেন শাহ প্রশ্ন চুরি করার সময় ধরা পড়েন। তবে চুরির আগে মান্নান কোনো টাকা দেননি শাহেন শাহকে।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, শ্রমিক শাহেন শাহ আদালতের কাছে লিখিত জবানবন্দিতেও মান্নানের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রশ্ন ফাঁস বা চুরির পরিকল্পনা করে মান্নান বিদেশে চলে যান। দেশে ফেরার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগপত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন চুরি ও চুরিতে প্ররোচনা দেওয়া ও সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বিষয়ে হওয়া মামলাতেও ‘প্রশ্ন চুরির’ অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তদন্ত সূত্রগুলো জানায়, গ্রেপ্তারের কয়েক দিন পরই জামিন পেয়ে যান আবদুল মান্নান। শাহেন শাহ ঠাকুর এখনো কারাগারে।
জানতে চাইলে মামলার বাদী শাহ আবদুল লতিফ বলেন, ‘এটি একটি জটিল মামলা ছিল। দীর্ঘ তদন্তে অপরাধীদের চিহ্নিত করা গেছে।’ তিনি বলেন, ‘দোষীদের শাস্তি হোক, এটাই আমাদের চাওয়া। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে প্রশ্ন ফাঁস নিশ্চিতভাবেই কমে যাবে।’
No comments