হাসার জন্য আলাদা সময় দেওয়া হতো
মাছরাঙা টেলিভিশনে আজ রাত ৯টা ২ মিনিটে রয়েছে সিটকম নাটক 'মায়েদের পাঠশালা'। রোম্য খানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন সুষমা সরকার। নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে অন্তরালের গল্প বলেছেন তিনি-
প্রথম কথা হচ্ছে, এ ধরনের নাটক আমাদের এখানে হয় না। রেগুলার নাটকে অভিনয় করতে করতে আমাদের একধরনের অভ্যাস তৈরি হয়েছে। পরিচালক যখন আমাকে এ নাটকের কনসেপ্ট জানালেন, বেশ মজা লাগল। চার থেকে পাঁচ মাস আগে উত্তরার একটি বাড়িতে এ নাটকের শুটিং শুরু করি।
প্রথম কথা হচ্ছে, এ ধরনের নাটক আমাদের এখানে হয় না। রেগুলার নাটকে অভিনয় করতে করতে আমাদের একধরনের অভ্যাস তৈরি হয়েছে। পরিচালক যখন আমাকে এ নাটকের কনসেপ্ট জানালেন, বেশ মজা লাগল। চার থেকে পাঁচ মাস আগে উত্তরার একটি বাড়িতে এ নাটকের শুটিং শুরু করি।
সিটকম নাটকের শুটিং শুরু করার আগে প্রচুর সময় ধরে মহড়া করতে হয়। কিন্তু মহড়া করার সময় আমাদের হয়নি। অন্যান্য নাটকে দেখা যায়, আমি শুধু আমার সংলাপগুলো মুখস্থ রাখলেই চলে। কিন্তু এ নাটকে সহশিল্পীর সংলাপও মুখস্থ রাখতে হয়। কারণ তার সংলাপ শুনে ওই অনুযায়ী আমাকে এঙ্প্রেশন দিতে হবে। পুরো নাটকের স্ক্রিপ্ট সম্পর্কে একধরনের ধারণা রাখতে হয়। পাঁচজন মেয়েকে নিয়ে নাটকের গল্প এগিয়ে যায়। তাদের একজন আকিফা। এ চরিত্রে আমি অভিনয় করছি। মেয়েটা একটু আতেল টাইপের। জীবনের সব কিছু সে সিরিয়াসভাবে দেখতে পছন্দ করে। পোশাক-আশাকে বিশেষ কোনো বৈচিত্র্য নেই। তবে নাটকে আমি সব সময় শাড়ি পরি এবং কপালে বড় টিপ ব্যবহার করছি। পাঁচজন মেয়ে একসঙ্গে থাকলে কী ঘটতে পারে একবার কল্পনা করে দেখুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে চলত আমাদের আড্ডা। আর নাটকের সংলাপ পড়ে নিজেরাই হাসতে হাসতে মরার অবস্থা হতো। বিশেষ করে শামীমা নাজনিন যখন সংলাপ বলতেন, তখন তো আর কথাই নেই। পরিচালক আমাদের বলতেন, 'প্লিজ আর হাসবেন না। দয়া করে আপনাদের কোনো দুঃখের স্মৃতি মনে করে হাসিটা বন্ধ করুন।' পরিচালক এর পর থেকে আমাদের হাসির জন্য শুটিং বিরতি দিতেন। সাধারণ দর্শক খুব ভালোভাবে নাটকটি গ্রহণ করেছে। শুধু আমরা হাসি না, তারাও হাসতে পারছে।
No comments