উৎপাদনশীলতাকে জাতীয় আন্দোলন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
শ্রেষ্ঠ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাকে প্রতিবছর 'প্রডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড' দেওয়া হবে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রূপসী বাংলা হোটেলে ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন ও এশিয়ান প্রডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন সোসাইটি ফর বাংলাদেশ আয়োজিত 'প্রডাক্টিভিটি মুভমেন্ট ইন বাংলাদেশ : স্ট্র্যাটেজি ফর ২০২১' শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তনের কথা জানান।
শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উৎপাদনশীলতাকে 'জাতীয় আন্দোলন' ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর জাতীয়ভাবে ২ অক্টোবর উৎপাদনশীলতা দিবস পালন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে মালিক, ট্রেড ইউনিয়ন ও সরকার_এই তিন পক্ষের সমান দায়িত্ব রয়েছে। মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এর জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। কিন্তু বেসরকারি কারখানার মালিকরা প্রশিক্ষণে মনোযোগী হন না। এ খাতে অর্থ খরচকে তাঁরা অপচয় মনে করেন। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ন্যায্য মজুরি-ভাতার পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করার কথাও বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তাই যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে গিয়ে শ্রমিকদের বেকার করা যাবে না। যন্ত্রের ব্যবহার ও শ্রমিকের মধ্যে সমন্বয়ের সুপারিশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায়নি। উৎপাদনশীলতা বাড়লে শ্রমিকরা মজুরি বেশি পাবেন। মালিকদের মুনাফা বাড়বে। ভোক্তারা সস্তায় মানসম্মত পণ্য পাবেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে বড় অঙ্কের অর্থ।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের বিভিন্ন কাজের বর্ণনা দিয়ে বলেন, মংলা বন্দরকে সচল করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সব কাজে গতিশীলতা এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যে নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করা হচ্ছে। এসব ক্ষেত্র থেকে শিগগির গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, শিল্প খাতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক অবকাঠামো এবং পরিকাঠামো বাড়নোর সুপারিশ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিল্পের ৫০ ভাগ কাঁচামালের জোগান আসে কৃষি থেকে। তাই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি সবচেয়ে জরুরি। এ লক্ষ্যে চলতি বছর ১৬টি জেলায় কৃষিযন্ত্র কিনতে কৃষকদের বিশেষ ভর্তুকি দেওয়া হবে। যন্ত্রের মোট মূল্যের এক-চতুর্থাংশ সরকার দেবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর প্রধান শর্ত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা। ১৪০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে এ খাতের জন্য।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ সিদ্দিকী। এপিও সোসাইটির প্রেসিডেন্ট জাওয়াইদ ইয়াহিয়া, একাধিক সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় পর্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত। তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আট দফা সুপারিশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে মালিক, ট্রেড ইউনিয়ন ও সরকার_এই তিন পক্ষের সমান দায়িত্ব রয়েছে। মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এর জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। কিন্তু বেসরকারি কারখানার মালিকরা প্রশিক্ষণে মনোযোগী হন না। এ খাতে অর্থ খরচকে তাঁরা অপচয় মনে করেন। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ন্যায্য মজুরি-ভাতার পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করার কথাও বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তাই যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে গিয়ে শ্রমিকদের বেকার করা যাবে না। যন্ত্রের ব্যবহার ও শ্রমিকের মধ্যে সমন্বয়ের সুপারিশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায়নি। উৎপাদনশীলতা বাড়লে শ্রমিকরা মজুরি বেশি পাবেন। মালিকদের মুনাফা বাড়বে। ভোক্তারা সস্তায় মানসম্মত পণ্য পাবেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে বড় অঙ্কের অর্থ।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের বিভিন্ন কাজের বর্ণনা দিয়ে বলেন, মংলা বন্দরকে সচল করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সব কাজে গতিশীলতা এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যে নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করা হচ্ছে। এসব ক্ষেত্র থেকে শিগগির গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, শিল্প খাতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক অবকাঠামো এবং পরিকাঠামো বাড়নোর সুপারিশ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিল্পের ৫০ ভাগ কাঁচামালের জোগান আসে কৃষি থেকে। তাই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি সবচেয়ে জরুরি। এ লক্ষ্যে চলতি বছর ১৬টি জেলায় কৃষিযন্ত্র কিনতে কৃষকদের বিশেষ ভর্তুকি দেওয়া হবে। যন্ত্রের মোট মূল্যের এক-চতুর্থাংশ সরকার দেবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর প্রধান শর্ত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা। ১৪০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে এ খাতের জন্য।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ সিদ্দিকী। এপিও সোসাইটির প্রেসিডেন্ট জাওয়াইদ ইয়াহিয়া, একাধিক সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় পর্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত। তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আট দফা সুপারিশ করেন।
No comments