পাকিস্তানে তাসিরের হত্যাকারী কাদরির মৃত্যুদণ্ড
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান তাসিরকে হত্যার ঘটনায় তাঁর দেহরক্ষী পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার এ রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।
গত ৪ জানুয়ারি ইসলামাবাদে দেহরক্ষী মালিক মুমতাজ হুসেন কাদরির গুলিতে নিহত হন সালমান তাসির। কাদরি এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বলেছেন, ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের কথা বলায় তিনি তাসিরকে হত্যা করেন।
কাদরির আইনজীবী সুজা-উর-রেহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমার মক্কেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সন্ত্রাসবাদ ও হত্যার দায়ে এর রায় দেওয়া হয়েছে।’ রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত সন্ত্রাসবিরোধী একটি বিশেষ আদালতের বিচারক পারভেজ আলী শাহ এ রায় দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
গতকাল রায় ঘোষণা উপলক্ষে কারাগারের আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তবে এর মধ্যে কয়েক শ মানুষ কাদিরের পক্ষে স্লোগান দিয়ে কারাগারের বাইরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বলে জানান এএফপির এক ফটো সাংবাদিক।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘একজন মুমতাজ কাদরিকে শাস্তি দেওয়া হলে হাজারো মুমতাজ কাদরি সৃষ্টি হবে।’ অপর এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা এ রায় মেনে নিতে পারি না, পারি না।’
আইনজীবী সুজা-উর-রেহমান আরও বলেন, আদালত একই সঙ্গে তাঁর মক্কেলকে দুই লাখ রুপি (দুই হাজার ৩০০ ডলার) জরিমানা করেছেন। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করবেন বলে জানান।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যার পর পাকিস্তানে গভর্নর সালমান তাসিরের হত্যাকাণ্ডটি ছিল সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
এ ছাড়া ব্লাসফেমি আইনের বিরোধিতা করায় এক খ্রিষ্টান মন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয় চলতি বছরের মার্চে। পাকিস্তানে বিতর্কিত ইসলামি শরিয়া আইনে এ পর্যন্ত কাউকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া না হলেও সমালোচকেরা বলছেন, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রে এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত ৪ জানুয়ারি ইসলামাবাদে দেহরক্ষী মালিক মুমতাজ হুসেন কাদরির গুলিতে নিহত হন সালমান তাসির। কাদরি এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বলেছেন, ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের কথা বলায় তিনি তাসিরকে হত্যা করেন।
কাদরির আইনজীবী সুজা-উর-রেহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমার মক্কেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সন্ত্রাসবাদ ও হত্যার দায়ে এর রায় দেওয়া হয়েছে।’ রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত সন্ত্রাসবিরোধী একটি বিশেষ আদালতের বিচারক পারভেজ আলী শাহ এ রায় দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
গতকাল রায় ঘোষণা উপলক্ষে কারাগারের আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তবে এর মধ্যে কয়েক শ মানুষ কাদিরের পক্ষে স্লোগান দিয়ে কারাগারের বাইরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বলে জানান এএফপির এক ফটো সাংবাদিক।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘একজন মুমতাজ কাদরিকে শাস্তি দেওয়া হলে হাজারো মুমতাজ কাদরি সৃষ্টি হবে।’ অপর এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা এ রায় মেনে নিতে পারি না, পারি না।’
আইনজীবী সুজা-উর-রেহমান আরও বলেন, আদালত একই সঙ্গে তাঁর মক্কেলকে দুই লাখ রুপি (দুই হাজার ৩০০ ডলার) জরিমানা করেছেন। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করবেন বলে জানান।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যার পর পাকিস্তানে গভর্নর সালমান তাসিরের হত্যাকাণ্ডটি ছিল সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
এ ছাড়া ব্লাসফেমি আইনের বিরোধিতা করায় এক খ্রিষ্টান মন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয় চলতি বছরের মার্চে। পাকিস্তানে বিতর্কিত ইসলামি শরিয়া আইনে এ পর্যন্ত কাউকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া না হলেও সমালোচকেরা বলছেন, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রে এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।
No comments