তিক্ত অভিজ্ঞতা ও সাংবিধানিক কারণে
মূলত সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া বিগত তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের 'তিক্ত' অভিজ্ঞতাও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা। তাঁরা বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বর্তমানে দলের এ কঠোর অবস্থান। সংসদে গিয়ে বিএনপি বিকল্প প্রস্তাব দিলে ত্রুটিগুলো সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার সুযোগ ছিল।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, বর্তমানে সব দলের আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তবে বিএনপি নতুন কিছু চাইলে তাদেরকেই আগে শর্তমুক্ত আলোচনায় আসতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে বর্তমানে সরকার ও আওয়ামী লীগের অবস্থানের মূল কারণ সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও তিনি মত দেন। তিনি বলেন, 'সংবিধান সংশোধনের সময় বিএনপি আলোচনায় এলে এবং প্রস্তাব দিলে ভিন্ন গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত।'
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ওবায়দুল কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় এবং বিগত তিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে সংসদ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তবে বিএনপি সংসদে গিয়ে বিকল্প প্রস্তাব দিলে ত্রুটিমুক্ত করে এই ব্যবস্থা বহাল রাখার সুযোগ ছিল বলে মনে করেন তিনি।
ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, 'আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে মত দেওয়ার পরও আদালত এই ব্যবস্থাকে সাংঘর্ষিক বলে রায় দিয়েছেন এবং এটাকে বাতিল করেছেন। রায়ে আগামী দুই টার্মের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে পরামর্শ দিলেও বিচারপতিদের এই ব্যবস্থার সঙ্গে না জড়ানোর এবং সংসদকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন করেছে।'
আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ হোসেন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল হলেও বিগত তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা কারণে সংসদ এই ব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে দুই প্রধান দল যে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। ইউসুফ হোসেন বলেন, 'প্রয়োজনটা বিরোধী দলের হওয়ায় তাদেরকেই শর্তমুক্ত আলোচনায় আসতে হবে এবং এর মাধ্যমে সমাধান আসবেই।'
অন্যদিকে চিরস্থায়ীভাবে অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। এক-এগারোর সরকারের আমলে রাজনীতিবিদদের নির্যাতন এবং দুই নেত্রীর কারাবরণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, 'তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করলেও সেখানে নির্দিষ্ট মেয়াদের কথা বলা হয়েছিল।' তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের অভিজ্ঞতার পর এই ব্যবস্থা বহাল রাখার সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সংবিধান সংশোধন কমিটির বৈঠকেও আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে ছিল। সেই সময় বিএনপি বিকল্প প্রস্তাব দিলে অন্য রকম কিছু করা যেত।'
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আলোচনায় বিএনপি অংশ নিলে এবং স্বাধীন কমিশন গঠিত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
দলীয় সরকারের অধীনে হবিগঞ্জের উপনির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা কতটা সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই গত ৩০ জুন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বিলুপ্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন বিল পাস হয়। এই বিল পাস হওয়ার পরই তত্ত্বাবধায় সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে এর অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে বর্তমানে সরকার ও আওয়ামী লীগের অবস্থানের মূল কারণ সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও তিনি মত দেন। তিনি বলেন, 'সংবিধান সংশোধনের সময় বিএনপি আলোচনায় এলে এবং প্রস্তাব দিলে ভিন্ন গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত।'
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ওবায়দুল কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় এবং বিগত তিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে সংসদ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তবে বিএনপি সংসদে গিয়ে বিকল্প প্রস্তাব দিলে ত্রুটিমুক্ত করে এই ব্যবস্থা বহাল রাখার সুযোগ ছিল বলে মনে করেন তিনি।
ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, 'আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে মত দেওয়ার পরও আদালত এই ব্যবস্থাকে সাংঘর্ষিক বলে রায় দিয়েছেন এবং এটাকে বাতিল করেছেন। রায়ে আগামী দুই টার্মের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে পরামর্শ দিলেও বিচারপতিদের এই ব্যবস্থার সঙ্গে না জড়ানোর এবং সংসদকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন করেছে।'
আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ হোসেন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল হলেও বিগত তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা কারণে সংসদ এই ব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে দুই প্রধান দল যে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। ইউসুফ হোসেন বলেন, 'প্রয়োজনটা বিরোধী দলের হওয়ায় তাদেরকেই শর্তমুক্ত আলোচনায় আসতে হবে এবং এর মাধ্যমে সমাধান আসবেই।'
অন্যদিকে চিরস্থায়ীভাবে অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। এক-এগারোর সরকারের আমলে রাজনীতিবিদদের নির্যাতন এবং দুই নেত্রীর কারাবরণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, 'তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করলেও সেখানে নির্দিষ্ট মেয়াদের কথা বলা হয়েছিল।' তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের অভিজ্ঞতার পর এই ব্যবস্থা বহাল রাখার সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সংবিধান সংশোধন কমিটির বৈঠকেও আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে ছিল। সেই সময় বিএনপি বিকল্প প্রস্তাব দিলে অন্য রকম কিছু করা যেত।'
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আলোচনায় বিএনপি অংশ নিলে এবং স্বাধীন কমিশন গঠিত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
দলীয় সরকারের অধীনে হবিগঞ্জের উপনির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা কতটা সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই গত ৩০ জুন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বিলুপ্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন বিল পাস হয়। এই বিল পাস হওয়ার পরই তত্ত্বাবধায় সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে এর অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
No comments