আশঙ্কা যথেষ্ট কমল
সৌরজগতের একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ আমাদের এই পৃথিবী। কিন্তু পৃথিবীর অস্তিত্বটাই হুমকির মুখে পড়েছে অগুনতি গ্রহাণুর কারণে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘোরার সময় হঠাৎই ঘটে যেতে পারে কোনো গ্রহাণুর সঙ্গে মারাত্মক সংঘর্ষ। এর ফলে গ্রহাণুটি ধ্বংস হয়ে যাবে ঠিকই কিন্তু এর আঘাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী। পরিমাণটা এমনই মারাত্মক যে পরমাণু বোমার হামলায় যত ক্ষতি হয় একেকটি মাঝারি আকৃতির গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে ক্ষতি হতে পারে এর কয়েকগুণ বেশি। এর ফলে মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে বড় কোনো শহরও।
মহাবিশ্বে পৃথিবীর জন্য সারাক্ষণ হুমকি হয়ে থাকা এই গ্রহাণুগুলো দীর্ঘকাল থেকেই বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে আছে। নিবিড়ভাবে গবেষণা চলে আসছে এগুলোর সংখ্যা নিয়ে। বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণের পর গ্রহাণুগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন : ছোট গ্রহাণু, মাঝারি গ্রহাণু এবং বড় আকৃতির গ্রহাণু। তবে বড় আকৃতির গ্রহাণুগুলো যথেষ্ট দূরে থাকায় এগুলোর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সঙ্গত কারণে মাঝারি আকৃতির গ্রহাণুগুলোই পৃথিবীর জন্য বেশি ভয়ের। তবে পৃথিবীর বিস্ময় ঘটানোর মতো ঘটনা শিগগিরই ঘটছে না।
আগের একটি গবেষণায় ধারণা করা হতো, পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথের মাঝখানে কমপক্ষে ৩৫ হাজার মাঝারি আকৃতির গ্রহাণু সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন_এ ধরনের গ্রহাণুর সংখ্যা ১৯ হাজার পাঁচ শতাধিক নয়। তুলনামূলক স্বস্তির খবর নিঃসন্দেহে; কিন্তু সঙ্গে দুশ্চিন্তাও আছে। কারণ ছোট গ্রহাণুগুলোর সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। সম্প্রতি ইনফ্রা রেড সার্ভে এঙ্প্লোরারের সাহায্যে পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথের মাঝখানে উড়ন্ত এসব মহাজাগতিক বস্তুকে দুই দফা অভিবীক্ষণের পর নাসার বিজ্ঞানীরা এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পৃথিবীর ব্যাস থেকে ১২০ কোটি মাইলের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়।
বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীর জন্য হুমকি হতে পারে এমন মাঝারি আকৃতির অধিকাংশ গ্রহাণুকেই তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন এবং এসবের অবস্থান ও ঘূর্ণনসংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য তাঁরা সংগ্রহ করতে পেরেছেন। অবশিষ্ট মাঝারি গ্রহাণুগুলোও তাঁদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ভয়ের বিষয় হচ্ছে, এই পরিসীমায় ছোট গ্রহাণুগুলো সংখ্যায় এতই বেশি যে এগুলো সম্পর্কে আনুমানিক সিদ্ধান্তে আসাও কঠিন কাজ। এগুলোকে এখনো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এগুলোর যেকোনোটাই পৃথিবীর কক্ষপথে ছুটে এসে আঘাত করতে পারে এবং তার ক্ষয়-ক্ষতিও কম হবে না। মোটের ওপর আগের জরিপের সংখ্যার চেয়ে নতুন জরিপে প্রাপ্ত মাঝারি আকৃতির গ্রহাণুগুলোর সংখ্যা কম, এটুকুই যা সান্ত্বনার বিষয়।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, মাঝারি আকৃতির একেকটি গ্রহাণু ৩৩০ ফুট থেকে ৩ হাজার ৩০০ ফুট পর্যন্ত চওড়া হয়। আর ৩ হাজার ৩০০ ফুটের চেয়েও বড় আকৃতির 'পর্বতসদৃশ' গ্রহাণুগুলোকে বলা হয় 'গ্রহবিধ্বংসী গ্রহাণু'। এগুলোর সঙ্গে কোনো গ্রহের সংঘর্ষ হলে সেই গ্রহটিরই বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথে এমন গ্রহাণুর সংখ্যা খুব কম। অল্প যে কটা আছে সেগুলো যথেষ্ট দূরে এবং সেগুলো ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
আগের একটি গবেষণায় ধারণা করা হতো, পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথের মাঝখানে কমপক্ষে ৩৫ হাজার মাঝারি আকৃতির গ্রহাণু সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন_এ ধরনের গ্রহাণুর সংখ্যা ১৯ হাজার পাঁচ শতাধিক নয়। তুলনামূলক স্বস্তির খবর নিঃসন্দেহে; কিন্তু সঙ্গে দুশ্চিন্তাও আছে। কারণ ছোট গ্রহাণুগুলোর সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। সম্প্রতি ইনফ্রা রেড সার্ভে এঙ্প্লোরারের সাহায্যে পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথের মাঝখানে উড়ন্ত এসব মহাজাগতিক বস্তুকে দুই দফা অভিবীক্ষণের পর নাসার বিজ্ঞানীরা এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পৃথিবীর ব্যাস থেকে ১২০ কোটি মাইলের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়।
বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীর জন্য হুমকি হতে পারে এমন মাঝারি আকৃতির অধিকাংশ গ্রহাণুকেই তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন এবং এসবের অবস্থান ও ঘূর্ণনসংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য তাঁরা সংগ্রহ করতে পেরেছেন। অবশিষ্ট মাঝারি গ্রহাণুগুলোও তাঁদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ভয়ের বিষয় হচ্ছে, এই পরিসীমায় ছোট গ্রহাণুগুলো সংখ্যায় এতই বেশি যে এগুলো সম্পর্কে আনুমানিক সিদ্ধান্তে আসাও কঠিন কাজ। এগুলোকে এখনো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এগুলোর যেকোনোটাই পৃথিবীর কক্ষপথে ছুটে এসে আঘাত করতে পারে এবং তার ক্ষয়-ক্ষতিও কম হবে না। মোটের ওপর আগের জরিপের সংখ্যার চেয়ে নতুন জরিপে প্রাপ্ত মাঝারি আকৃতির গ্রহাণুগুলোর সংখ্যা কম, এটুকুই যা সান্ত্বনার বিষয়।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, মাঝারি আকৃতির একেকটি গ্রহাণু ৩৩০ ফুট থেকে ৩ হাজার ৩০০ ফুট পর্যন্ত চওড়া হয়। আর ৩ হাজার ৩০০ ফুটের চেয়েও বড় আকৃতির 'পর্বতসদৃশ' গ্রহাণুগুলোকে বলা হয় 'গ্রহবিধ্বংসী গ্রহাণু'। এগুলোর সঙ্গে কোনো গ্রহের সংঘর্ষ হলে সেই গ্রহটিরই বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথে এমন গ্রহাণুর সংখ্যা খুব কম। অল্প যে কটা আছে সেগুলো যথেষ্ট দূরে এবং সেগুলো ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
No comments