সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানিয়েছে বামাসপ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করতে না দেওয়ার সঙ্গে যে কর্মকর্তারা জড়িত, তাঁদের বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ (বামাসপ)। অন্যদিকে শনিবার কালের কণ্ঠে 'আইজি প্রিজনসের সাফাইয়ের চেষ্টা' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর দেশের কারাগারগুলোতে তোলপাড় শুরু হয়। প্রতিবেদন পড়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কারারক্ষী। তাঁদের দুঃখ-কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
কেউ কেউ জানান, কিভাবে কারাগারে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা আইজি প্রিজনসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করছেন। কারারক্ষীরা দাবি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে দুর্নীতির চিত্র।
বামাসপের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য আইনের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করতে না দেওয়ায় বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ-বামাসপ ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বামাসপ সভাপতি এ এইচ এম নোমান প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া, মানবাধিকার আন্দোলনকে পদদলিত করা নির্যাতন ও অপমানজনক। এ ধরনের গণমানবাধিকারবিরোধী মানসিকতার কারণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্তম্ভিত হয়েছে। এঘটনা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য অশনি সংকেত। নির্ধারিত কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া, জেলার কর্তৃক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বসিয়ে রাখা, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কারা ফটকের তালা খুলে দিতে বলা সত্ত্বেও না খুলে দেওয়ার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণে দেশবাসী ক্ষুব্ধ। মানবাধিকার কমিশনের কারাগার ও হাসপাতালের ন্যায় জাতীয় মানবতা সংবলিত স্থাপনায় পরিদর্শন ও প্রয়োজনে তদন্ত করার ম্যান্ডেট থাকা সত্ত্বেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির নামে এ ধরনের বাধা দান সাংবিধানিক কাজে বাধা দেওয়ারই সমতুল্য। তিনি আরো বলেন, এটি জেলখানার অভ্যন্তরে কয়েদিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, সময়মতো চিকিৎসা না দেওয়া, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, মানবতাবিরোধী আচরণ, ঘুষ-দুর্নীতিকে দেশবাসী থেকে আড়াল করারই অপপ্রয়াস। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের তাৎক্ষণিক অব্যাহতি দেওয়া ও আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানাচ্ছে বামাসপ।
কারা কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ : ১ অক্টোবর কালের কণ্ঠে প্রকাশিত 'আইজি প্রিজনসের সাফাইয়ের চেষ্টা' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারা মহাপরিদর্শকের পক্ষে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. কামাল হোসেন। তাঁর স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, সময় টেলিভিশনের মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে কাউকে প্রভাবিত করা হয়নি। এসএমএস করার জন্য গভীর রাতে দেশের কোনো কারাগারেই কোনো ধরনের লিফলেট বিতরণ এবং কারারক্ষীদের মধ্যে সাবান বিতরণ করা হয়নি। একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শাহ আলম।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রতিবাদপত্রে যা লেখা হয়েছে তা আইজি প্রিজনস আগেই তাঁর মন্তব্যে বলে দিয়েছেন যা প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনের কোথাও 'সময়' টিভির নাম উল্লেখ করা হয়নি। লিফলেট বিতরণ ও কারা কর্মকর্তা এবং কারারক্ষীদের এসএমএস করার জন্য দেওয়া নির্দেশের তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। যে লিফলেট ছাড়া হয়েছিল, এর কপিও রয়েছে কালের কণ্ঠের কাছে।
বামাসপের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য আইনের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করতে না দেওয়ায় বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ-বামাসপ ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বামাসপ সভাপতি এ এইচ এম নোমান প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া, মানবাধিকার আন্দোলনকে পদদলিত করা নির্যাতন ও অপমানজনক। এ ধরনের গণমানবাধিকারবিরোধী মানসিকতার কারণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্তম্ভিত হয়েছে। এঘটনা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য অশনি সংকেত। নির্ধারিত কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া, জেলার কর্তৃক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বসিয়ে রাখা, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কারা ফটকের তালা খুলে দিতে বলা সত্ত্বেও না খুলে দেওয়ার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণে দেশবাসী ক্ষুব্ধ। মানবাধিকার কমিশনের কারাগার ও হাসপাতালের ন্যায় জাতীয় মানবতা সংবলিত স্থাপনায় পরিদর্শন ও প্রয়োজনে তদন্ত করার ম্যান্ডেট থাকা সত্ত্বেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির নামে এ ধরনের বাধা দান সাংবিধানিক কাজে বাধা দেওয়ারই সমতুল্য। তিনি আরো বলেন, এটি জেলখানার অভ্যন্তরে কয়েদিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, সময়মতো চিকিৎসা না দেওয়া, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, মানবতাবিরোধী আচরণ, ঘুষ-দুর্নীতিকে দেশবাসী থেকে আড়াল করারই অপপ্রয়াস। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের তাৎক্ষণিক অব্যাহতি দেওয়া ও আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানাচ্ছে বামাসপ।
কারা কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ : ১ অক্টোবর কালের কণ্ঠে প্রকাশিত 'আইজি প্রিজনসের সাফাইয়ের চেষ্টা' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারা মহাপরিদর্শকের পক্ষে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. কামাল হোসেন। তাঁর স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, সময় টেলিভিশনের মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে কাউকে প্রভাবিত করা হয়নি। এসএমএস করার জন্য গভীর রাতে দেশের কোনো কারাগারেই কোনো ধরনের লিফলেট বিতরণ এবং কারারক্ষীদের মধ্যে সাবান বিতরণ করা হয়নি। একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শাহ আলম।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রতিবাদপত্রে যা লেখা হয়েছে তা আইজি প্রিজনস আগেই তাঁর মন্তব্যে বলে দিয়েছেন যা প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনের কোথাও 'সময়' টিভির নাম উল্লেখ করা হয়নি। লিফলেট বিতরণ ও কারা কর্মকর্তা এবং কারারক্ষীদের এসএমএস করার জন্য দেওয়া নির্দেশের তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। যে লিফলেট ছাড়া হয়েছিল, এর কপিও রয়েছে কালের কণ্ঠের কাছে।
No comments